ঢাকা , শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
বিডিআর হত্যাকাণ্ড: সহায়ক তথ্য আহ্বান করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশিসহ ৫০৬ জন অভিবাসী আটক ইভ্যালির অর্থ আত্মসাৎ: গ্রাহকদের মানববন্ধন ও রাসেলের গ্রেফতারের দাবি কক্সবাজার-মহেশখালী রুটে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলো সি-ট্রাক সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় শাহে আলম মুরাদ ও আনিসুর রহমান ৪ দিনের রিমান্ডে বিচারের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানির চট্টগ্রামের চকবাজারে নালায় পড়ে ৬ মাসের শিশু নিখোঁজ ১৮ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কা: সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অফিস কুয়াকাটায় শুরু হয়েছে রাখাইনদের প্রাচীন ‘জলকেলি’ উৎসব: মিলন, আত্মশুদ্ধি আর মানবিকতার বার্তা জুলাই আন্দোলনে শহীদ ইমনের মরদেহ উত্তোলন: আদালতের নির্দেশে নতুন তদন্তের সূচনা

ক্যানসারের ঝুঁকি লুকিয়ে আছে আপনার রান্নাঘরে!

আমাদের রান্নাঘরেই লুকিয়ে থাকতে পারে স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ। পিএফএএস, মাইক্রোপ্লাস্টিক, বিপিএ—এ ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ প্রায়ই রান্নার পাত্র, সংরক্ষণ বাক্স এবং রান্নার বিভিন্ন উপকরণে পাওয়া যায়। দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, এ ধরনের উপাদান শরীরে প্রবেশ করলে তা ক্যানসার, হরমোনজনিত সমস্যা, কিডনি রোগ এবং অন্যান্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। রান্নাঘর থেকে এসব ক্ষতিকর উপাদান দূর করতে কিছু সহজ পরিবর্তন আনলেই ঝুঁকি কমানো সম্ভব। এখানে তিনটি কার্যকর পদক্ষেপ উল্লেখ করা হলো, যা আপনি এখনই নিতে পারেন।

১. প্লাস্টিক বাদ দিন এবং নিরাপদ উপাদান বেছে নিনঃ  রান্নাঘরে প্লাস্টিক পণ্যের আধিক্য দেখা যায়—স্প্যাচুলা, চামচ, সংরক্ষণ বাক্স, পানির বোতল, এমনকি কফি মেকারও প্লাস্টিকের তৈরি হতে পারে। কিন্তু প্লাস্টিক থেকে নির্গত বিপিএ এবং অন্যান্য ক্ষতিকর রাসায়নিক খাবারের সঙ্গে মিশতে পারে, বিশেষত যখন এটি গরম খাবারের সংস্পর্শে আসে।
নিরাপদ বিকল্প হিসেবে কাঠ, বোরোসিলিকেট গ্লাস, স্টেইনলেস স্টিল বা উচ্চমানের সিলিকন ব্যবহার করুন। স্টেইনলেস স্টিলের চামচ, কাঠের স্প্যাচুলা ও গ্লাসের সংরক্ষণ বাক্স বেছে নিলে রান্নার সময় রাসায়নিক দূষণের ঝুঁকি কমে যাবে।

২.সঠিক রান্নার পাত্র ব্যবহারঃ অনেক জনপ্রিয় নন-স্টিক প্যান এবং সিরামিক বা এনামেল কাস্ট আয়রন পাত্রে বিষাক্ত রাসায়নিক থাকতে পারে। বিশেষত নন-স্টিক প্যানে ব্যবহৃত পিএফএএস শরীরে জমা হয়ে দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতি করতে পারে। নিরাপদ বিকল্প হিসেবে স্টেইনলেস স্টিল, কাস্ট আয়রন বা উচ্চমানের গ্লাসের পাত্র ব্যবহার করা ভালো। কাস্ট আয়রন প্যান প্রাকৃতিকভাবে নন-স্টিক হয়ে ওঠে, তাই এটি নিরাপদ ও দীর্ঘস্থায়ী বিকল্প হতে পারে। এছাড়া, বাজারে এমন কিছু ব্র্যান্ড পাওয়া যায় যারা ক্ষতিকর রাসায়নিকবিহীন রান্নার পাত্র তৈরি করে থাকে।

৩. কাঠের কাটিং বোর্ড ব্যবহারঃ প্লাস্টিকের কাটিং বোর্ড ব্যবহারের ফলে মাইক্রোপ্লাস্টিক খাদ্যের সঙ্গে মিশে শরীরে প্রবেশ করতে পারে। এ সমস্যা এড়াতে কাঠের কাটিং বোর্ড ব্যবহার করুন। তবে খেয়াল রাখতে হবে, একক টুকরো কাঠের তৈরি বোর্ড বেছে নিতে হবে, যাতে কোনো ধরনের বিষাক্ত আঠা বা ফরমালডিহাইড না থাকে।
বাঁশের কাটিং বোর্ড অনেকে নিরাপদ মনে করেন, কিন্তু বেশিরভাগ বাঁশের বোর্ড একাধিক টুকরো জোড়া দিয়ে তৈরি হয় এবং এতে থাকা আঠায় ফরমালডিহাইড থাকতে পারে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই একক টুকরো কাঠের বোর্ড বেছে নেয়াই সবচেয়ে নিরাপদ বিকল্প।

এই তিনটি সহজ পরিবর্তন আপনার রান্নাঘরকে আরও নিরাপদ করে তুলতে পারে। প্লাস্টিক এড়িয়ে, নিরাপদ রান্নার পাত্র ব্যবহার করে এবং রাসায়নিকমুক্ত কাটিং বোর্ড বেছে নিয়ে আপনি ও আপনার পরিবার সুস্থ থাকতে পারেন। স্বাস্থ্যকর খাবারের পাশাপাশি রান্নাঘরের পরিবেশও নিরাপদ রাখা সমান গুরুত্বপূর্ণ।

জনপ্রিয়

বিডিআর হত্যাকাণ্ড: সহায়ক তথ্য আহ্বান করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি

ক্যানসারের ঝুঁকি লুকিয়ে আছে আপনার রান্নাঘরে!

প্রকাশিত: ১১:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আমাদের রান্নাঘরেই লুকিয়ে থাকতে পারে স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ। পিএফএএস, মাইক্রোপ্লাস্টিক, বিপিএ—এ ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ প্রায়ই রান্নার পাত্র, সংরক্ষণ বাক্স এবং রান্নার বিভিন্ন উপকরণে পাওয়া যায়। দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, এ ধরনের উপাদান শরীরে প্রবেশ করলে তা ক্যানসার, হরমোনজনিত সমস্যা, কিডনি রোগ এবং অন্যান্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। রান্নাঘর থেকে এসব ক্ষতিকর উপাদান দূর করতে কিছু সহজ পরিবর্তন আনলেই ঝুঁকি কমানো সম্ভব। এখানে তিনটি কার্যকর পদক্ষেপ উল্লেখ করা হলো, যা আপনি এখনই নিতে পারেন।

১. প্লাস্টিক বাদ দিন এবং নিরাপদ উপাদান বেছে নিনঃ  রান্নাঘরে প্লাস্টিক পণ্যের আধিক্য দেখা যায়—স্প্যাচুলা, চামচ, সংরক্ষণ বাক্স, পানির বোতল, এমনকি কফি মেকারও প্লাস্টিকের তৈরি হতে পারে। কিন্তু প্লাস্টিক থেকে নির্গত বিপিএ এবং অন্যান্য ক্ষতিকর রাসায়নিক খাবারের সঙ্গে মিশতে পারে, বিশেষত যখন এটি গরম খাবারের সংস্পর্শে আসে।
নিরাপদ বিকল্প হিসেবে কাঠ, বোরোসিলিকেট গ্লাস, স্টেইনলেস স্টিল বা উচ্চমানের সিলিকন ব্যবহার করুন। স্টেইনলেস স্টিলের চামচ, কাঠের স্প্যাচুলা ও গ্লাসের সংরক্ষণ বাক্স বেছে নিলে রান্নার সময় রাসায়নিক দূষণের ঝুঁকি কমে যাবে।

২.সঠিক রান্নার পাত্র ব্যবহারঃ অনেক জনপ্রিয় নন-স্টিক প্যান এবং সিরামিক বা এনামেল কাস্ট আয়রন পাত্রে বিষাক্ত রাসায়নিক থাকতে পারে। বিশেষত নন-স্টিক প্যানে ব্যবহৃত পিএফএএস শরীরে জমা হয়ে দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতি করতে পারে। নিরাপদ বিকল্প হিসেবে স্টেইনলেস স্টিল, কাস্ট আয়রন বা উচ্চমানের গ্লাসের পাত্র ব্যবহার করা ভালো। কাস্ট আয়রন প্যান প্রাকৃতিকভাবে নন-স্টিক হয়ে ওঠে, তাই এটি নিরাপদ ও দীর্ঘস্থায়ী বিকল্প হতে পারে। এছাড়া, বাজারে এমন কিছু ব্র্যান্ড পাওয়া যায় যারা ক্ষতিকর রাসায়নিকবিহীন রান্নার পাত্র তৈরি করে থাকে।

৩. কাঠের কাটিং বোর্ড ব্যবহারঃ প্লাস্টিকের কাটিং বোর্ড ব্যবহারের ফলে মাইক্রোপ্লাস্টিক খাদ্যের সঙ্গে মিশে শরীরে প্রবেশ করতে পারে। এ সমস্যা এড়াতে কাঠের কাটিং বোর্ড ব্যবহার করুন। তবে খেয়াল রাখতে হবে, একক টুকরো কাঠের তৈরি বোর্ড বেছে নিতে হবে, যাতে কোনো ধরনের বিষাক্ত আঠা বা ফরমালডিহাইড না থাকে।
বাঁশের কাটিং বোর্ড অনেকে নিরাপদ মনে করেন, কিন্তু বেশিরভাগ বাঁশের বোর্ড একাধিক টুকরো জোড়া দিয়ে তৈরি হয় এবং এতে থাকা আঠায় ফরমালডিহাইড থাকতে পারে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই একক টুকরো কাঠের বোর্ড বেছে নেয়াই সবচেয়ে নিরাপদ বিকল্প।

এই তিনটি সহজ পরিবর্তন আপনার রান্নাঘরকে আরও নিরাপদ করে তুলতে পারে। প্লাস্টিক এড়িয়ে, নিরাপদ রান্নার পাত্র ব্যবহার করে এবং রাসায়নিকমুক্ত কাটিং বোর্ড বেছে নিয়ে আপনি ও আপনার পরিবার সুস্থ থাকতে পারেন। স্বাস্থ্যকর খাবারের পাশাপাশি রান্নাঘরের পরিবেশও নিরাপদ রাখা সমান গুরুত্বপূর্ণ।