সরকারি তিতুমীর কলেজের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংক্রান্ত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘তারা মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলছে। একেবারেই অসহনীয়! দিনের পর দিন তাদের দাবি-দাওয়া বেড়েই চলেছে। এর পেছনে কারা আছে, সেটাও আপনারা জানেন, প্রকাশ করেন।’
- জনদুর্ভোগের সমাধান জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আপানারাই বলুন, কীভাবে এই জনদুর্ভোগ দূর করব? রেললাইন ছেড়ে তাদের ক্যাম্পাসে ফিরে যাওয়া উচিত। তাদের যে দাবিই থাকুক না কেন, তারা তাদের কর্তৃপক্ষের কাছে তা পেশ করুক। জনজীবনে ব্যাঘাত না ঘটিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হওয়া উচিত।’ তিনি বলেন, ‘জনগণ শেষ পর্যন্ত তাদের রেললাইন থেকে উঠিয়ে দেবে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘গত রাতে আপনারা দেখেছেন আমাদের অনেক ভাইয়েরা রাত ২টা বা আড়াইটা পর্যন্ত রাস্তায় আটকে ছিল। আপনি তাদের বলতে পারেন, তারা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে যাক এবং রাস্তা ছেড়ে দিক যাতে জনসাধারণের দুর্ভোগ সৃষ্টি আর না হয়।’
তিনি বলেন, ‘আমি সব সময় বলি, তাদের দাবি থাকলে তারা আলোচনায় বসতে পারে এবং এর মাধ্যমে সমাধান বের করতে পারে। এসব আলোচনা তাদের ক্যাম্পাসের ভেতরেই হতে পারে। এমনকি তারা তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করার জন্য খোলা মাঠও ব্যবহার করতে পারে। তবে সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা উচিত না। আপনাদেরও বলা উচিত যে, ভাইয়েরা, রেলপথ অবরোধ করবেন না, রাস্তা অবরোধ করবেন না। কীভাবে মানুষের ভোগান্তি না করে সমস্যা সমাধান করা যায়, সেটা তাদেরকে বলেন।’
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের জানান, সাত কলেজের জন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিষয়ে কমিটি কাজ করছে। একটি বিশ্ববিদ্যালয় করার জন্য সময় প্রয়োজন হয়। এর মধ্যেই তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের জন্য আলাদা বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি জানান। এখন তিতুমীরের জন্য আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় করার যৌক্তিকতা আরও পর্যালোচনা করতে হবে। কারণ ঢাকাসহ সারাদেশে এ ধরনের অনেক কলেজ রয়েছে। কমিটি বিষয়টি মনোযোগ দিয়ে বিবেচনা করবে।