ঢাকা , রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
কুরআনী আইনকে কটাক্ষ করে দেয়া নারী অধিকার সংস্কারের প্রস্তাবনা কমিটিসহ বাতিল এবং আরোও বেশ কিছু দাবী নিয়ে আগামী ৩ মে হেফাজতের মহাসমাবেশের ডাক হিন্দুত্ববাদী স্লোগান না দেওয়ায় মুসলিম কিশোরকে মারধর বিতর্কিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল ভারতের হায়দারাবাদ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে হাজারো জনতার বিক্ষোভ পতিতাদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতির সুপারিশ করল অন্তবর্তী সরকারের নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন কাশ্মীরে আরও দুই যুবকের সম্পদ জব্দ করলো ভারতীয় পুলিশ চট্টগ্রামে চলন্ত অটোরিকশায় মুখোশধারীদের পেট্রলবোমা হামলা, দগ্ধ ২ নারী হাতিরঝিলে দুর্বৃত্তের গুলিতে আহত যুবদলকর্মী, অবস্থা আশংকাজনক ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ডা. সুমিত সাহা গ্রেফতার রবার্ট এফ কেনেডি হত্যাকাণ্ড নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ১০ হাজার নথি প্রকাশ

২৬ ঘণ্টা পর চলল ট্রেন শুরুতে সিডিউল বিপর্যয়

রেলের রানিং স্টাফদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের পর গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চট্টগ্রাম থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যাওয়া প্রায় সব গুলো ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে। প্রায় ২৬ ঘণ্টা কর্মবিরতির পর মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটায় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের বাসায় বৈঠক শেষে ধর্মঘট তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় নেতারা। এরপর ট্রেন চলাচল চালু হলেও পূর্বাঞ্চলের বেশ কয়েকটি ট্রেন সিডিউল বিপর্যয়ে পড়েছে। গতকাল ভোর থেকে বিলম্বিত সূচিতে চট্টগ্রাম থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। কর্মবিরতি প্রত্যাহারের পর গতকাল ভোর সাড়ে ৫টায় চাঁদপুর থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে প্রথম ট্রেন ছেড়ে আসে বিলম্বে। চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আবু জাফর মজুমদার আজাদীকে বলেন, রানিং স্টাফরা তাদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেয়ার পর সকাল থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। শুরু থেকে আমাদের কিছু কিছু ট্রেনের এক থেকে দেড় ঘণ্টা সিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে। দুপুরের পর থেকে সব ট্রেন নির্ধারিত সময়ে যাত্রা করেছে। এরপর আর কোনো ট্রেনের বিলম্ব হয়নি। এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি দিবাগত রাত ১২ টা ১ মিনিট থেকে রেলের রানিং স্টাফটা তাদের দাবি–দাওয়া নিয়ে সারাদেশে কর্মবিরতির ডাক দেয়। এর ফলে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াউটা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। এরপর থেকে ট্রেন চলাচলের ঘোষণা দেয়া হয়।

 

চট্টগ্রাম থেকে যেসব ট্রেন বিলম্বে ছেড়েছে : গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ভোর ৬টায় ঢাকাগামী চট্টলা এঙপ্রেস ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও ট্রেনটি প্রায় ২ ঘণ্টা বিলম্বে ৮ টা ১০ মিনিটে ছেড়ে গেছে। এরপর ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেন সুবর্ণ এঙপ্রেস ছাড়ার কথা সকাল সাড়ে ৭টায়, সেই ট্রেন চট্টগ্রাম রেল স্টেশন ছেড়েছে সকাল ৯টা ৫ মিনিটে। সিলেটগামী পাহাড়িকা এঙপ্রেস সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে চট্টগ্রাম স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও পাহাড়িকা ট্রেন সিলেটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে ৮টা ৪০ মিনিটে। বিজয় এঙপ্রেস সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও ট্রেনটি ছেড়ে গেছে দেড় ঘণ্টা বিলম্বে। পরবর্তীতে দুপুর সাড়ে ১২টায় মহানগর এঙপ্রেস ঠিক সময়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। এরপর মহানগর গোধুলী, মেঘনা, সোনার বাংলা সব ট্রেন ঠিক সময়ে ছেড়ে গেছে বলে জানান চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আবু জাফর মজুমদার।

 

যেসব ট্রেন চট্টগ্রাম ফিরে আসতে দেরি করেছে সেসব ট্রেন ছাড়তে বিলম্ব হয়ে বলে জানান চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আবু জাফর মজুমদার। তিনি বলেন, বেলা সাড়ে ১২টায় সোনার বাংলা চট্টগ্রাম স্টেশন পৌঁছার কথা থাকলেও সেটি বিলম্ব হয়েছে। মহানগর প্রভাতীও বিলম্বে পৌঁছেছে। অন্যান্য সব ট্রেন ঠিক সময়ে এসেছে এবং ছেড়ে গেছে। উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম থেকে প্রতিদিন ১২টি আন্তঃনগর ট্রেনসহ ১৬টি ট্রেন দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচল করে। ১৬টি ট্রেনে গড়ে ১০ হাজারের মতো যাত্রী ভ্রমণ করেন।

জনপ্রিয়

কুরআনী আইনকে কটাক্ষ করে দেয়া নারী অধিকার সংস্কারের প্রস্তাবনা কমিটিসহ বাতিল এবং আরোও বেশ কিছু দাবী নিয়ে আগামী ৩ মে হেফাজতের মহাসমাবেশের ডাক

২৬ ঘণ্টা পর চলল ট্রেন শুরুতে সিডিউল বিপর্যয়

প্রকাশিত: ০৭:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫

রেলের রানিং স্টাফদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের পর গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চট্টগ্রাম থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যাওয়া প্রায় সব গুলো ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে। প্রায় ২৬ ঘণ্টা কর্মবিরতির পর মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটায় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের বাসায় বৈঠক শেষে ধর্মঘট তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় নেতারা। এরপর ট্রেন চলাচল চালু হলেও পূর্বাঞ্চলের বেশ কয়েকটি ট্রেন সিডিউল বিপর্যয়ে পড়েছে। গতকাল ভোর থেকে বিলম্বিত সূচিতে চট্টগ্রাম থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। কর্মবিরতি প্রত্যাহারের পর গতকাল ভোর সাড়ে ৫টায় চাঁদপুর থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে প্রথম ট্রেন ছেড়ে আসে বিলম্বে। চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আবু জাফর মজুমদার আজাদীকে বলেন, রানিং স্টাফরা তাদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেয়ার পর সকাল থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। শুরু থেকে আমাদের কিছু কিছু ট্রেনের এক থেকে দেড় ঘণ্টা সিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে। দুপুরের পর থেকে সব ট্রেন নির্ধারিত সময়ে যাত্রা করেছে। এরপর আর কোনো ট্রেনের বিলম্ব হয়নি। এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি দিবাগত রাত ১২ টা ১ মিনিট থেকে রেলের রানিং স্টাফটা তাদের দাবি–দাওয়া নিয়ে সারাদেশে কর্মবিরতির ডাক দেয়। এর ফলে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াউটা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। এরপর থেকে ট্রেন চলাচলের ঘোষণা দেয়া হয়।

 

চট্টগ্রাম থেকে যেসব ট্রেন বিলম্বে ছেড়েছে : গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ভোর ৬টায় ঢাকাগামী চট্টলা এঙপ্রেস ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও ট্রেনটি প্রায় ২ ঘণ্টা বিলম্বে ৮ টা ১০ মিনিটে ছেড়ে গেছে। এরপর ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেন সুবর্ণ এঙপ্রেস ছাড়ার কথা সকাল সাড়ে ৭টায়, সেই ট্রেন চট্টগ্রাম রেল স্টেশন ছেড়েছে সকাল ৯টা ৫ মিনিটে। সিলেটগামী পাহাড়িকা এঙপ্রেস সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে চট্টগ্রাম স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও পাহাড়িকা ট্রেন সিলেটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে ৮টা ৪০ মিনিটে। বিজয় এঙপ্রেস সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও ট্রেনটি ছেড়ে গেছে দেড় ঘণ্টা বিলম্বে। পরবর্তীতে দুপুর সাড়ে ১২টায় মহানগর এঙপ্রেস ঠিক সময়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। এরপর মহানগর গোধুলী, মেঘনা, সোনার বাংলা সব ট্রেন ঠিক সময়ে ছেড়ে গেছে বলে জানান চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আবু জাফর মজুমদার।

 

যেসব ট্রেন চট্টগ্রাম ফিরে আসতে দেরি করেছে সেসব ট্রেন ছাড়তে বিলম্ব হয়ে বলে জানান চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আবু জাফর মজুমদার। তিনি বলেন, বেলা সাড়ে ১২টায় সোনার বাংলা চট্টগ্রাম স্টেশন পৌঁছার কথা থাকলেও সেটি বিলম্ব হয়েছে। মহানগর প্রভাতীও বিলম্বে পৌঁছেছে। অন্যান্য সব ট্রেন ঠিক সময়ে এসেছে এবং ছেড়ে গেছে। উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম থেকে প্রতিদিন ১২টি আন্তঃনগর ট্রেনসহ ১৬টি ট্রেন দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচল করে। ১৬টি ট্রেনে গড়ে ১০ হাজারের মতো যাত্রী ভ্রমণ করেন।