ঢাকা , রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
চট্টগ্রামে চলন্ত অটোরিকশায় মুখোশধারীদের পেট্রলবোমা হামলা, দগ্ধ ২ নারী হাতিরঝিলে দুর্বৃত্তের গুলিতে আহত যুবদলকর্মী, অবস্থা আশংকাজনক ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ডা. সুমিত সাহা গ্রেফতার রবার্ট এফ কেনেডি হত্যাকাণ্ড নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ১০ হাজার নথি প্রকাশ এপ্রিলের রাতের আকাশে দুর্লভ জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক চমক কিশোরগঞ্জে ভেজাল খাদ্য তৈরির দায়ে ৪ প্রতিষ্ঠানকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা মুন্সীগঞ্জে পুকুর থেকে ৩২৬ রাউন্ড চায়না রাইফেলের গুলি উদ্ধার গণ-অভ্যুত্থানের পর সমঝোতার সংস্কার দরকার: এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ভিসির প্রতীকী চেয়ারে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ কুয়েট শিক্ষার্থীদের আবাসিকে গ্যাস সংযোগ নিয়ে প্রতারণা: সতর্ক করলো তিতাস গ্যাস

মালয়েশিয়ায় ১০ বাংলাদেশি ভুয়া চিকিৎসক ও ১২ প্রশিক্ষণার্থী গ্রেপ্তার

মালয়েশিয়ায় মিথ্যা পরিচয়ে থাকা ২২ বাংলাদেশিকে আলাদা অভিযানে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। দেশটির সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ২২ বাংলাদেশির মধ্যে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয় কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (কেএলআইএ) থেকে, যারা দেশটির ফিশারিজ একাডেমির প্রশিক্ষণার্থী পরিচয়ে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করেছিলেন। বাকি ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয় কুয়ালালামপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে, যারা কোনো সনদ না থাকার পরও নিজেদের চিকিৎসক পরিচয় দিতেন।

 

১২ জনের গ্রেপ্তারের বিষয়ে কেএলআইএর অভিবাসন বিভাগের পরিচালক ইব্রাহিম মোহাম্মদ ইউসফের বরাতে মালয়েশিয়ান সংবাদমাধ্যম দ্য স্টার লিখেছে, তাদের প্রত্যেকেই ইউনিফর্ম পরা ছিল। প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে ইউসফ বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের দাবি, তারা মালয়েশিয়ান ফিশারিজ একাডেমির প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে আমন্ত্রণ পেয়ে এসেছেন। তারা একটি আমন্ত্রণপত্রও দেখিয়েছেন, যেখানে সারাওয়াক প্রদেশের কুচিং শহরের ঠিকানা লেখা রয়েছে। তদন্তে দেখা গেছে, তাদের এসব কাগজপত্র অবৈধ। তিনি বলেন, ১২ জনের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হচ্ছিল। পরবর্তী তদন্তের জন্য গ্রেপ্তার ব্যক্তিদেরকে ইমিগ্রেশন অপারেশনস অফিসে পাঠানো হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।

 

এদিকে ১০ ভুয়া চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয় কুয়ালালামপুরের ১০টি এলাকা থেকে। দেশটির অভিবাসন বিভাগের মহাসচিব জাকারিয়া শাবান বলেন, বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযান চালানোর আগে আমরা প্রায় দুই সপ্তাহ ওই এলাকায় নজরদারি চালাই। গ্রেপ্তার ১০ জনের বয়স ৩১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। তাদের কাছে নানা চিকিৎসা সরঞ্জামসহ ৫০২ ধরনের ওষুধ পাওয়া গেছে।

 

জাকারিয়া শাবান বলেন, মালয়েশিয়ায় এসব ওষুধের কোনো অনুমোদন নেই। ভ্রমণ ভিসায় আসা ব্যক্তিদের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে এসব ওষুধ আনা হয়। কর্তৃপক্ষের নজর এড়াতে তারা বিভিন্ন রেস্তোরাঁ ও দোকানে ছদ্মবেশে কাজ করত। ব্যবস্থাপত্র ও ওষুধ বাবদ প্রতি রোগীর কাছ থেকে ৫০ থেকে ২০০ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত নিত তারা। জাকারিয়া বলেন, আমাদের বিশ্বাস, এই সিন্ডিকেট এক বছর ধরে এখানে কাজ করছে। তাদের বিষয়ে বিস্তারিত তদন্তে সহযোগিতা করতে দুই বাংলাদেশি ও স্থানীয় এক নারীকে নোটিস পাঠানো হয়েছে।

জনপ্রিয়

চট্টগ্রামে চলন্ত অটোরিকশায় মুখোশধারীদের পেট্রলবোমা হামলা, দগ্ধ ২ নারী

মালয়েশিয়ায় ১০ বাংলাদেশি ভুয়া চিকিৎসক ও ১২ প্রশিক্ষণার্থী গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: ০৯:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫

মালয়েশিয়ায় মিথ্যা পরিচয়ে থাকা ২২ বাংলাদেশিকে আলাদা অভিযানে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। দেশটির সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ২২ বাংলাদেশির মধ্যে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয় কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (কেএলআইএ) থেকে, যারা দেশটির ফিশারিজ একাডেমির প্রশিক্ষণার্থী পরিচয়ে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করেছিলেন। বাকি ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয় কুয়ালালামপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে, যারা কোনো সনদ না থাকার পরও নিজেদের চিকিৎসক পরিচয় দিতেন।

 

১২ জনের গ্রেপ্তারের বিষয়ে কেএলআইএর অভিবাসন বিভাগের পরিচালক ইব্রাহিম মোহাম্মদ ইউসফের বরাতে মালয়েশিয়ান সংবাদমাধ্যম দ্য স্টার লিখেছে, তাদের প্রত্যেকেই ইউনিফর্ম পরা ছিল। প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে ইউসফ বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের দাবি, তারা মালয়েশিয়ান ফিশারিজ একাডেমির প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে আমন্ত্রণ পেয়ে এসেছেন। তারা একটি আমন্ত্রণপত্রও দেখিয়েছেন, যেখানে সারাওয়াক প্রদেশের কুচিং শহরের ঠিকানা লেখা রয়েছে। তদন্তে দেখা গেছে, তাদের এসব কাগজপত্র অবৈধ। তিনি বলেন, ১২ জনের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হচ্ছিল। পরবর্তী তদন্তের জন্য গ্রেপ্তার ব্যক্তিদেরকে ইমিগ্রেশন অপারেশনস অফিসে পাঠানো হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।

 

এদিকে ১০ ভুয়া চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয় কুয়ালালামপুরের ১০টি এলাকা থেকে। দেশটির অভিবাসন বিভাগের মহাসচিব জাকারিয়া শাবান বলেন, বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযান চালানোর আগে আমরা প্রায় দুই সপ্তাহ ওই এলাকায় নজরদারি চালাই। গ্রেপ্তার ১০ জনের বয়স ৩১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। তাদের কাছে নানা চিকিৎসা সরঞ্জামসহ ৫০২ ধরনের ওষুধ পাওয়া গেছে।

 

জাকারিয়া শাবান বলেন, মালয়েশিয়ায় এসব ওষুধের কোনো অনুমোদন নেই। ভ্রমণ ভিসায় আসা ব্যক্তিদের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে এসব ওষুধ আনা হয়। কর্তৃপক্ষের নজর এড়াতে তারা বিভিন্ন রেস্তোরাঁ ও দোকানে ছদ্মবেশে কাজ করত। ব্যবস্থাপত্র ও ওষুধ বাবদ প্রতি রোগীর কাছ থেকে ৫০ থেকে ২০০ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত নিত তারা। জাকারিয়া বলেন, আমাদের বিশ্বাস, এই সিন্ডিকেট এক বছর ধরে এখানে কাজ করছে। তাদের বিষয়ে বিস্তারিত তদন্তে সহযোগিতা করতে দুই বাংলাদেশি ও স্থানীয় এক নারীকে নোটিস পাঠানো হয়েছে।