ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও দখলদার ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঘোষণার পর থেকে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১০১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার সিভিল ডিফেন্স। যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
গাজার সিভিল ডিফেন্স সার্ভিসের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেন, সর্বশেষ হামলায় ৩১ জন নারী ও ২৭ জন শিশু নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু এজেন্সি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার সিভিল ডিফেন্স সার্ভিসের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল নিশ্চিত করেছেন যে মোট হতাহতের মধ্যে ৮২ জন গাজার উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশে এবং ১৬ জন দক্ষিণাঞ্চলে নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে খান ইউনিসে ১৪ জন এবং রাফায় দুজন নিহত হয়েছেন। বাকি পাঁচজন গাজার কেন্দ্রীয় প্রদেশে নিহত হন।
এছাড়া, ইসরায়েলি সহিংসতায় ২৬৪ জনেরও বেশি লোক আহত হয়েছে। হামলা অব্যাহত থাকায় এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গাজা উপত্যকায় ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি প্রাণঘাতী হামলার অবসান ঘটাতে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঘোষণা করেছে মধ্যস্ততাকারী দেশ কাতার। আসন্ন রোববার (১৯ জানুয়ারি) থেকে এ যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল-থানি বলেছেন, তিন ধাপের এই চুক্তি রোববার থেকে কার্যকর হবে।
চুক্তির মধ্যে রয়েছে বন্দি বিনিময় এবং টেকসই শান্তি, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহার।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যায় প্রায় ৪৬ হাজার ৮০০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। নিখোঁজ হয়েছেন ১১ হাজারেরও বেশি মানুষ।
গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গত নভেম্বরে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। এছাড়া গাজায় গণহত্যার দায়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও রয়েছে।