ঢাকা , রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ‘শহীদ তুরাব স্ট্যান্ড’ নামকরণ চার বছরে এসএসসি পরীক্ষার্থী কমেছে তিন লাখের বেশি চাঁদপুরে পুকুর খননের সময় মিলল পুরনো থ্রি নট থ্রি রাইফেল ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে আইন উপদেষ্টা পদে নিয়োগ প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছুরিকাঘাতে নিহত, অভিযুক্ত একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানে বাড়ছে বিদেশি পর্যটকদের ভিড় ক্রিমিয়া নিয়ে ছাড়? শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে রাশিয়াকে স্বীকৃতি দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ব্লুমবার্গ যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ইয়েমেনের রাস ঈসা বন্দরে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮০, আহত ১৭১ দিলীপ ঘোষের বিয়ে ঘিরে প্রশ্ন: আরএসএস প্রচারকেরা কি বিয়ে করতে পারেন? সংগঠনটির প্রচারক ছিলেন মোদিও নিখোঁজের ১৪ ঘণ্টা পর চট্টগ্রামে শিশুর লাশ উদ্ধার

সমুদ্রেপথে মাছ ধরার একটি ট্রলারে এলো ৩৬ রোহিঙ্গা

কক্সবাজারের টেকনাফের মেরিনড্রাইভ দিয়ে মাছ ধরার একটি ট্রলারে করে সমুদ্রে পাড়ি দিয়ে অনুপ্রবেশ করেছে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ৩৬ জন রোহিঙ্গা। রবিবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে টেকনাফ উপজেলার সাবরাংয়ের মুন্ডারডেইল ঘাট এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে তারা।

 

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) জানিয়েছে, অনুপ্রবেশ করা রোহিঙ্গারা এখন বিজিবির হেফাজতে রয়েছে। তাদের ফেরত পাঠানো হবে। তাদের মধ্য পাঁচজন নারী, ১০ জন শিশু ও ২১ জন পুরুষ রয়েছে।

 

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সেলিম বলেন, মেরিন ড্রাইভের মুন্ডারডেইল ঘাট দিয়ে একটি ট্রলারে নারী-শিশুসহ ৩৬ জন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। তারা এখন বিজিবির হেফাজতে রয়েছে। এছাড়া বাহারছড়া ঘাট দিয়ে আরও একটা রোহিঙ্গা বোঝাই ফিশিং বোট (নৌকা) সমুদ্রে ভাসছে বলে জানা গেছে।

 

৪ দিন সমুদ্রে ভাসমান থাকা দোস মোহাম্মদ (৩০) নামে এক রোহিঙ্গা বলেন, মিয়ানমারের আকিয়াবের পূর্বে নাইচং এলাকায় আমাদের গ্রাম। সেখানে ‘মগ বাগি’ আরকান আর্মি রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে। তাই আমরা প্রাণে বাঁচতে একটি কাঠের ফিশিং বোট নিয়ে পাঁচ দিন আগে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করি।

 

আজ আমাদের ইঞ্জিন নষ্ট হওয়ায় একটি ট্রলার টেনে নিয়ে আমাদের বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে।

 

একই এলাকার রোহিঙ্গা জাহেদ আলম বলেন, ‘আমাদের এলাকায় পাঁচটি মুসলিম গ্রাম রয়েছে। সেখান থেকে জোর করে ধরে নিয়ে অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের দিয়ে জান্তার বিপক্ষে দাঁড় করাচ্ছে।

 

‘মগ বাগির’ দলে যোগ না দিলে রোহিঙ্গাদের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়। মূলত রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করছে আরাকান আর্মি। যুদ্ধ করার চেয়ে বাংলাদেশে মরলে ভালো হবে। তাই বাংলাদেশে চলে আসি।

 

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.এহসান উদ্দিন বলেন,রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।

 

টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের মেজর ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, সমুদ্রপথে ৩৬ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। তাদের প্রতিহত করা হবে।

জনপ্রিয়

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ‘শহীদ তুরাব স্ট্যান্ড’ নামকরণ

সমুদ্রেপথে মাছ ধরার একটি ট্রলারে এলো ৩৬ রোহিঙ্গা

প্রকাশিত: ০৮:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫

কক্সবাজারের টেকনাফের মেরিনড্রাইভ দিয়ে মাছ ধরার একটি ট্রলারে করে সমুদ্রে পাড়ি দিয়ে অনুপ্রবেশ করেছে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ৩৬ জন রোহিঙ্গা। রবিবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে টেকনাফ উপজেলার সাবরাংয়ের মুন্ডারডেইল ঘাট এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে তারা।

 

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) জানিয়েছে, অনুপ্রবেশ করা রোহিঙ্গারা এখন বিজিবির হেফাজতে রয়েছে। তাদের ফেরত পাঠানো হবে। তাদের মধ্য পাঁচজন নারী, ১০ জন শিশু ও ২১ জন পুরুষ রয়েছে।

 

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সেলিম বলেন, মেরিন ড্রাইভের মুন্ডারডেইল ঘাট দিয়ে একটি ট্রলারে নারী-শিশুসহ ৩৬ জন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। তারা এখন বিজিবির হেফাজতে রয়েছে। এছাড়া বাহারছড়া ঘাট দিয়ে আরও একটা রোহিঙ্গা বোঝাই ফিশিং বোট (নৌকা) সমুদ্রে ভাসছে বলে জানা গেছে।

 

৪ দিন সমুদ্রে ভাসমান থাকা দোস মোহাম্মদ (৩০) নামে এক রোহিঙ্গা বলেন, মিয়ানমারের আকিয়াবের পূর্বে নাইচং এলাকায় আমাদের গ্রাম। সেখানে ‘মগ বাগি’ আরকান আর্মি রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে। তাই আমরা প্রাণে বাঁচতে একটি কাঠের ফিশিং বোট নিয়ে পাঁচ দিন আগে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করি।

 

আজ আমাদের ইঞ্জিন নষ্ট হওয়ায় একটি ট্রলার টেনে নিয়ে আমাদের বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে।

 

একই এলাকার রোহিঙ্গা জাহেদ আলম বলেন, ‘আমাদের এলাকায় পাঁচটি মুসলিম গ্রাম রয়েছে। সেখান থেকে জোর করে ধরে নিয়ে অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের দিয়ে জান্তার বিপক্ষে দাঁড় করাচ্ছে।

 

‘মগ বাগির’ দলে যোগ না দিলে রোহিঙ্গাদের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়। মূলত রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করছে আরাকান আর্মি। যুদ্ধ করার চেয়ে বাংলাদেশে মরলে ভালো হবে। তাই বাংলাদেশে চলে আসি।

 

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.এহসান উদ্দিন বলেন,রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।

 

টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের মেজর ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, সমুদ্রপথে ৩৬ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। তাদের প্রতিহত করা হবে।