ঢাকা , রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ‘শহীদ তুরাব স্ট্যান্ড’ নামকরণ চার বছরে এসএসসি পরীক্ষার্থী কমেছে তিন লাখের বেশি চাঁদপুরে পুকুর খননের সময় মিলল পুরনো থ্রি নট থ্রি রাইফেল ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে আইন উপদেষ্টা পদে নিয়োগ প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছুরিকাঘাতে নিহত, অভিযুক্ত একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানে বাড়ছে বিদেশি পর্যটকদের ভিড় ক্রিমিয়া নিয়ে ছাড়? শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে রাশিয়াকে স্বীকৃতি দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ব্লুমবার্গ যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ইয়েমেনের রাস ঈসা বন্দরে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮০, আহত ১৭১ দিলীপ ঘোষের বিয়ে ঘিরে প্রশ্ন: আরএসএস প্রচারকেরা কি বিয়ে করতে পারেন? সংগঠনটির প্রচারক ছিলেন মোদিও নিখোঁজের ১৪ ঘণ্টা পর চট্টগ্রামে শিশুর লাশ উদ্ধার

পাঁচলাইশে জুলাই স্মৃতি উদ্যান উদ্বোধন

সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে নগরের পাঁচলাইশ ‘জুলাই স্মৃতি উদ্যান’। গতকাল সকালে পার্কটি উদ্বোধন করেন অর্ন্তবর্তী সরকারের শিল্প এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্তবিষয়ক উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। এ সময় সিটি মেয়র শাহাদাত হোসেন, জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমসহ গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ১২ কোটি ৬৫ লাখ টাকায় ‘পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকায় আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন জাতিসংঘ সবুজ উদ্যান উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় পার্কটি সংস্কার করে গণপূর্ত অধিদপ্তর। পূর্বে ‘জাতিসংঘ পার্ক’ থাকলেও নাম পাল্টে রাখা হয় ‘জুলাই স্মৃতি উদ্যান’।

 

উদ্বোধন শেষে আদিলুর রহমান খান সাংবাদিকদের বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে যাঁরা শহীদ হয়েছেন, তাঁদের স্মরণে স্মৃতিচিহ্ন তৈরি করছি। যেন সারা দেশের মানুষ এবং আগামী প্রজন্ম তাঁদের অবদানের কথা জানতে পারে। ১৬ বছরের অন্যায়ের বিরুদ্ধে যাঁরা লড়াই করেছেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যাঁরা আন্দোলন করেছেন; তাঁদের মনে রাখতেই এ উদ্যোগ। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যাতে সেটি সব সময় মনে রাখতে পারে, সে জন্যই এখানে আসা।

 

এক প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, শহীদদের নিয়ে কোনো বিতর্ক থাকবে না। শহীদরা শহীদ। শহীদদের তালিকা দেওয়া থাকবে। শহীদদের সম্মান দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার দৃশ্যমান করার কাজ মেয়র সাহেবরা করবেন। আন্ডারপাসও দরকার।

 

তিনি বলেন, উদ্যান জায়গা সবার জন্য উন্মুক্ত, কোনো গোষ্ঠীর ব্যবহারের জন্য না। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় থাকা, যেন মানুষ যেতে পারে সেই কাজগুলো আমরা চেষ্টা করছি। ইনশাআল্লাহ সবার সহযোগিতায় এটা বাস্তবায়িত হবে। তিনি বলেন, বড় বিষয় হচ্ছে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা। এটি আমাদের নজরে আছে। জলাবদ্ধতা থেকে মানুষ মুক্তি পায় সেই চেষ্টা হচ্ছে। মেয়র, সিডিএ, ডিসি সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ হচ্ছে।

 

ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, পাঁচলাইশে ঐতিহ্যবাহী পার্ক, আমরা একসময় জাতিসংঘ পার্ক নামে চিনতাম। শৈশব এখানে কেটেছে। এটি নান্দনিকভাবে সাজানো হয়েছে। আমি মনে করি এটার দায়িত্ব চসিক, সিডিও, জেলাপ্রশাসন, আমাদের নিতে হবে। একসময় আমাদের সমন্বয় ছিল না। এখন একসাথে মিলে কাজ করছি। একসাথে মিলে চট্টগ্রামকে সাজাতে চাই। সব কিছু জনগণের জন্য আমরা করতে চাই। পতেঙ্গাকে আন্তর্জাতিক পর্যটন কেন্দ্র করতে চাই। সময় লাগবে। আমরা আশা করছি, আমাদের মধ্যে যে সমন্বয় আছে এটার মাধ্যমে কাজ করতে পারলে চট্টগ্রামকে ক্লিন ও গ্রিন সিটি করতে পারবো।

 

জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, যে চেতনা নিয়ে আমাদের এই জুলাই অভ্যুত্থানে চট্টগ্রামের নয়জন বীর শহীদ প্রাণ দিয়েছেন, নতুন একটি গণতান্ত্রিক ইতিহাস লিখেছেন তাদের সেই চেতনা আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে পারি সরকার সেই কাজ করছে। এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। যেসব পার্ক অবৈধ দখলদারদের আওতায় রয়েছে তা উদ্ধার করবো। ইতিমধ্যে ডিসি পার্কের ১৯৪ একর জায়গা মাদকের আস্তানা থেকে রক্ষা করেছি। পতেঙ্গা মাঝখানে জৌলুস হারিয়েছিল। সেই জৌলুস ফিরিয়ে দিতে সিডিএ, সিটি কর্পোরেশন বা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সমন্বিত প্রচেষ্টা চলছে।

 

জানা গেছে, জাতিসংঘ পার্কটি দুই দশমিক ২৭ একর জায়গার উপর অবস্থিত। ১৯৫৪ সালে পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকাটি বরাদ্দ দেয় গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। ঐ সময়ে লে–আউটে পার্কটি ছিল। ১৯৮৮ সালে গণপূর্ত বিভাগ এ পার্ক সংস্কার ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে (চসিক) দেয়। তখন এটি ‘পাঁচলাইশ পার্ক’ নামে পরিচিত ছিল। ২০০২ সালে চসিক নাম পরিবর্তন করে রাখে জাতিসংঘ পার্ক।

 

নতুন করে নির্মিত পার্কে সবুজ প্রাধান্য পেয়েছে। এখানে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন সীমানা প্রাচীর ও প্রবেশপথ। হাঁটার জন্য ওয়াকওয়ে’সহ অন্যান্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হয়। নতুন করে নির্মিত পার্কে রয়েছে– বসার সিট, শিশুদের জন্য খেলাধুলার সরঞ্জাম এবং শরীর চর্চার জন্য হরিজন্টাল বার ও মেটাল পারগোলা। আছে টয়লেট ব্লক, ড্রেন, ডাস্টবিন, কম্পাউন্ড লাইট, স্ট্রিট লাইট, পাম্প মোটর, বজ্র নিরোধক। পার্কে লাগানো হয় গাছ ও ঘাস।

 

জানা গেছে, শিশু কিশোরসহ বিনোদন প্রেমী মানুষের কাছে এ পার্কটি একসময় দর্শনীয় স্থান হিসাবে মন জয় করে নেয়। কিন্তু দিনে দিনে পার্কটির প্রতি অবহেলা আর অযত্নের চাপ পড়তে থাকে। এতে পার্কটি জৌলুস হারায়। প্রায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পৌঁছে যায়। ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে পার্কে থাকা একটি পুকুরও। এরপর ২০১২ সালের ৩ ডিসেম্বর পার্কের একটি অংশে সুইমিং পুল নির্মাণের ভিত্তির প্রস্তর করেন তৎকালীন মেয়র এম মনজুর আলম। ২০১৫ সালের জুনে তিন কোটি ৯৪ লাখ দুইটি সুইমিং পুল ও জিমনেশিয়াম নির্মাণ কাজ শেষ হয়। যা নতুন করে পার্কটি সাজানোর জন্য ভেঙে ফেলা হয়। এর আগে সুইমিং পুল নির্মাণের সময় চসিকের পক্ষে বলা হয়েছিল, পার্কটির উন্মুক্ত অংশটিও সাজানো হবে। গড়ে তোলা হবে নান্দনিক বিনোদন পার্ক। কিন্তু তা করা হয়নি। ফলে ২০১২ সালে চসিকের সুইমিং পুল নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ থেকেই কার্যত পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল পার্কটি। এখন নতুন করে নির্মিত হওয়ায় দীর্ঘ একযুগ পর প্রাণ ফিরে পাচ্ছে পার্কটি।

জনপ্রিয়

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ‘শহীদ তুরাব স্ট্যান্ড’ নামকরণ

পাঁচলাইশে জুলাই স্মৃতি উদ্যান উদ্বোধন

প্রকাশিত: ০২:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৫

সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে নগরের পাঁচলাইশ ‘জুলাই স্মৃতি উদ্যান’। গতকাল সকালে পার্কটি উদ্বোধন করেন অর্ন্তবর্তী সরকারের শিল্প এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্তবিষয়ক উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। এ সময় সিটি মেয়র শাহাদাত হোসেন, জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমসহ গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ১২ কোটি ৬৫ লাখ টাকায় ‘পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকায় আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন জাতিসংঘ সবুজ উদ্যান উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় পার্কটি সংস্কার করে গণপূর্ত অধিদপ্তর। পূর্বে ‘জাতিসংঘ পার্ক’ থাকলেও নাম পাল্টে রাখা হয় ‘জুলাই স্মৃতি উদ্যান’।

 

উদ্বোধন শেষে আদিলুর রহমান খান সাংবাদিকদের বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে যাঁরা শহীদ হয়েছেন, তাঁদের স্মরণে স্মৃতিচিহ্ন তৈরি করছি। যেন সারা দেশের মানুষ এবং আগামী প্রজন্ম তাঁদের অবদানের কথা জানতে পারে। ১৬ বছরের অন্যায়ের বিরুদ্ধে যাঁরা লড়াই করেছেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যাঁরা আন্দোলন করেছেন; তাঁদের মনে রাখতেই এ উদ্যোগ। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যাতে সেটি সব সময় মনে রাখতে পারে, সে জন্যই এখানে আসা।

 

এক প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, শহীদদের নিয়ে কোনো বিতর্ক থাকবে না। শহীদরা শহীদ। শহীদদের তালিকা দেওয়া থাকবে। শহীদদের সম্মান দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার দৃশ্যমান করার কাজ মেয়র সাহেবরা করবেন। আন্ডারপাসও দরকার।

 

তিনি বলেন, উদ্যান জায়গা সবার জন্য উন্মুক্ত, কোনো গোষ্ঠীর ব্যবহারের জন্য না। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় থাকা, যেন মানুষ যেতে পারে সেই কাজগুলো আমরা চেষ্টা করছি। ইনশাআল্লাহ সবার সহযোগিতায় এটা বাস্তবায়িত হবে। তিনি বলেন, বড় বিষয় হচ্ছে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা। এটি আমাদের নজরে আছে। জলাবদ্ধতা থেকে মানুষ মুক্তি পায় সেই চেষ্টা হচ্ছে। মেয়র, সিডিএ, ডিসি সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ হচ্ছে।

 

ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, পাঁচলাইশে ঐতিহ্যবাহী পার্ক, আমরা একসময় জাতিসংঘ পার্ক নামে চিনতাম। শৈশব এখানে কেটেছে। এটি নান্দনিকভাবে সাজানো হয়েছে। আমি মনে করি এটার দায়িত্ব চসিক, সিডিও, জেলাপ্রশাসন, আমাদের নিতে হবে। একসময় আমাদের সমন্বয় ছিল না। এখন একসাথে মিলে কাজ করছি। একসাথে মিলে চট্টগ্রামকে সাজাতে চাই। সব কিছু জনগণের জন্য আমরা করতে চাই। পতেঙ্গাকে আন্তর্জাতিক পর্যটন কেন্দ্র করতে চাই। সময় লাগবে। আমরা আশা করছি, আমাদের মধ্যে যে সমন্বয় আছে এটার মাধ্যমে কাজ করতে পারলে চট্টগ্রামকে ক্লিন ও গ্রিন সিটি করতে পারবো।

 

জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, যে চেতনা নিয়ে আমাদের এই জুলাই অভ্যুত্থানে চট্টগ্রামের নয়জন বীর শহীদ প্রাণ দিয়েছেন, নতুন একটি গণতান্ত্রিক ইতিহাস লিখেছেন তাদের সেই চেতনা আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে পারি সরকার সেই কাজ করছে। এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। যেসব পার্ক অবৈধ দখলদারদের আওতায় রয়েছে তা উদ্ধার করবো। ইতিমধ্যে ডিসি পার্কের ১৯৪ একর জায়গা মাদকের আস্তানা থেকে রক্ষা করেছি। পতেঙ্গা মাঝখানে জৌলুস হারিয়েছিল। সেই জৌলুস ফিরিয়ে দিতে সিডিএ, সিটি কর্পোরেশন বা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সমন্বিত প্রচেষ্টা চলছে।

 

জানা গেছে, জাতিসংঘ পার্কটি দুই দশমিক ২৭ একর জায়গার উপর অবস্থিত। ১৯৫৪ সালে পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকাটি বরাদ্দ দেয় গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। ঐ সময়ে লে–আউটে পার্কটি ছিল। ১৯৮৮ সালে গণপূর্ত বিভাগ এ পার্ক সংস্কার ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে (চসিক) দেয়। তখন এটি ‘পাঁচলাইশ পার্ক’ নামে পরিচিত ছিল। ২০০২ সালে চসিক নাম পরিবর্তন করে রাখে জাতিসংঘ পার্ক।

 

নতুন করে নির্মিত পার্কে সবুজ প্রাধান্য পেয়েছে। এখানে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন সীমানা প্রাচীর ও প্রবেশপথ। হাঁটার জন্য ওয়াকওয়ে’সহ অন্যান্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হয়। নতুন করে নির্মিত পার্কে রয়েছে– বসার সিট, শিশুদের জন্য খেলাধুলার সরঞ্জাম এবং শরীর চর্চার জন্য হরিজন্টাল বার ও মেটাল পারগোলা। আছে টয়লেট ব্লক, ড্রেন, ডাস্টবিন, কম্পাউন্ড লাইট, স্ট্রিট লাইট, পাম্প মোটর, বজ্র নিরোধক। পার্কে লাগানো হয় গাছ ও ঘাস।

 

জানা গেছে, শিশু কিশোরসহ বিনোদন প্রেমী মানুষের কাছে এ পার্কটি একসময় দর্শনীয় স্থান হিসাবে মন জয় করে নেয়। কিন্তু দিনে দিনে পার্কটির প্রতি অবহেলা আর অযত্নের চাপ পড়তে থাকে। এতে পার্কটি জৌলুস হারায়। প্রায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পৌঁছে যায়। ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে পার্কে থাকা একটি পুকুরও। এরপর ২০১২ সালের ৩ ডিসেম্বর পার্কের একটি অংশে সুইমিং পুল নির্মাণের ভিত্তির প্রস্তর করেন তৎকালীন মেয়র এম মনজুর আলম। ২০১৫ সালের জুনে তিন কোটি ৯৪ লাখ দুইটি সুইমিং পুল ও জিমনেশিয়াম নির্মাণ কাজ শেষ হয়। যা নতুন করে পার্কটি সাজানোর জন্য ভেঙে ফেলা হয়। এর আগে সুইমিং পুল নির্মাণের সময় চসিকের পক্ষে বলা হয়েছিল, পার্কটির উন্মুক্ত অংশটিও সাজানো হবে। গড়ে তোলা হবে নান্দনিক বিনোদন পার্ক। কিন্তু তা করা হয়নি। ফলে ২০১২ সালে চসিকের সুইমিং পুল নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ থেকেই কার্যত পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল পার্কটি। এখন নতুন করে নির্মিত হওয়ায় দীর্ঘ একযুগ পর প্রাণ ফিরে পাচ্ছে পার্কটি।