ঢাকা , শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
ক্রিমিয়া নিয়ে ছাড়? শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে রাশিয়াকে স্বীকৃতি দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ব্লুমবার্গ যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ইয়েমেনের রাস ঈসা বন্দরে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮০, আহত ১৭১ দিলীপ ঘোষের বিয়ে ঘিরে প্রশ্ন: আরএসএস প্রচারকেরা কি বিয়ে করতে পারেন? সংগঠনটির প্রচারক ছিলেন মোদিও নিখোঁজের ১৪ ঘণ্টা পর চট্টগ্রামে শিশুর লাশ উদ্ধার টাঙ্গাইলে অবৈধ ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু শায়েস্তাগঞ্জে আগুনে পুড়ল ১৫ টি দোকান বিডিআর হত্যাকাণ্ড: সহায়ক তথ্য আহ্বান করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশিসহ ৫০৬ জন অভিবাসী আটক ইভ্যালির অর্থ আত্মসাৎ: গ্রাহকদের মানববন্ধন ও রাসেলের গ্রেফতারের দাবি কক্সবাজার-মহেশখালী রুটে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলো সি-ট্রাক

লক্ষ্মীপুরে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে ৩ জনকে অচেতন, স্বর্ণালংকার লুট

লক্ষ্মীপুরে রাতে খাবারের সঙ্গে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে একই পরিবারের তিনজনকে অচেতন করে স্বর্ণসহ মালামাল চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোর সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে দুই ভরি স্বর্ণ, লাখ টাকা ও একটি মোবাইল নিয়ে যায়।

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য ব্যাংক কর্মকর্তা সৌরভ চন্দ্র নাথ সদর মডেল থানায় অজ্ঞাত চোরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) রাত দেড়টার দিকে সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের বিজয়নগর গ্রামে রাম কিশোর বেপারী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে অভিযোগ পেয়ে সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনিছুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তিনি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছেন।

অসুস্থরা হলেন শংকর দেবনাথ, তার স্ত্রী স্বপ্না রাণী নাথ ও পুত্রবধূ তমা রাণী নাথ। তাদের বাড়িতে রেখা চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত তারা স্বাভাবিক হননি।

অভিযোগ সূত্র জানায়, গৃহকর্তা শংকরসহ তার স্ত্রী, পুত্রবধূ রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। তবে রাতে ঘরে খাবার খাননি তার ছেলে সৌরভ। তবে তিনিও ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ১টার দিকে ঘুম ভেঙে গেলে সৌরভ ঘরের দরজা খোলা দেখে। পরে উঠে দেখেন ঘরের বিভিন্ন জিনিসপত্র এলোমেলো। একপর্যায়ে সৌরভ তার মোবাইলও খুঁজে পাচ্ছিলেন না। তার বাবা, মা ও স্ত্রীকেও ঘুম থেকে উঠাতে পারছিলেন না। তাদের কোনো সাড়াশব্দ ছিল না। পরে ঘরের মালামাল যাচাই শেষে দুই ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ এক লাখ টাকা পাওয়া যায়নি। চোর মোবাইল, স্বর্ণও টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।

সৌরভ চন্দ্র নাথ বলেন, রাতে আমি ঘরে খাবার খাইনি। ঘুমিয়ে পড়ে ছিলাম। হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেলে দেখি দরজা খোলা। জিনিসপত্র এলোমেলো দেখে ঘরে কেউ আছে মনে হচ্ছিল। দেখতে গেলে ঘর থেকে বের হয়ে বাগানের দিকে দৌড়ে পালিয়ে যায় চোর। চেষ্টা করেও তাকে ধরতে পারিনি। কোনো এক সময় খাবারের সঙ্গে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে রাখে ওই চোরের দল। আমার বাবা-মা ও স্ত্রী এখনো অসুস্থ অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছে।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোন্নাফ বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাটি তদন্ত করার জন্য একজন এসআইকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জড়িতদের শনাক্তে চেষ্টা করা হচ্ছে।

জনপ্রিয়

ক্রিমিয়া নিয়ে ছাড়? শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে রাশিয়াকে স্বীকৃতি দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ব্লুমবার্গ

লক্ষ্মীপুরে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে ৩ জনকে অচেতন, স্বর্ণালংকার লুট

প্রকাশিত: ০৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ জানুয়ারী ২০২৫

লক্ষ্মীপুরে রাতে খাবারের সঙ্গে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে একই পরিবারের তিনজনকে অচেতন করে স্বর্ণসহ মালামাল চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোর সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে দুই ভরি স্বর্ণ, লাখ টাকা ও একটি মোবাইল নিয়ে যায়।

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য ব্যাংক কর্মকর্তা সৌরভ চন্দ্র নাথ সদর মডেল থানায় অজ্ঞাত চোরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) রাত দেড়টার দিকে সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের বিজয়নগর গ্রামে রাম কিশোর বেপারী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে অভিযোগ পেয়ে সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনিছুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তিনি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছেন।

অসুস্থরা হলেন শংকর দেবনাথ, তার স্ত্রী স্বপ্না রাণী নাথ ও পুত্রবধূ তমা রাণী নাথ। তাদের বাড়িতে রেখা চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত তারা স্বাভাবিক হননি।

অভিযোগ সূত্র জানায়, গৃহকর্তা শংকরসহ তার স্ত্রী, পুত্রবধূ রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। তবে রাতে ঘরে খাবার খাননি তার ছেলে সৌরভ। তবে তিনিও ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ১টার দিকে ঘুম ভেঙে গেলে সৌরভ ঘরের দরজা খোলা দেখে। পরে উঠে দেখেন ঘরের বিভিন্ন জিনিসপত্র এলোমেলো। একপর্যায়ে সৌরভ তার মোবাইলও খুঁজে পাচ্ছিলেন না। তার বাবা, মা ও স্ত্রীকেও ঘুম থেকে উঠাতে পারছিলেন না। তাদের কোনো সাড়াশব্দ ছিল না। পরে ঘরের মালামাল যাচাই শেষে দুই ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ এক লাখ টাকা পাওয়া যায়নি। চোর মোবাইল, স্বর্ণও টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।

সৌরভ চন্দ্র নাথ বলেন, রাতে আমি ঘরে খাবার খাইনি। ঘুমিয়ে পড়ে ছিলাম। হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেলে দেখি দরজা খোলা। জিনিসপত্র এলোমেলো দেখে ঘরে কেউ আছে মনে হচ্ছিল। দেখতে গেলে ঘর থেকে বের হয়ে বাগানের দিকে দৌড়ে পালিয়ে যায় চোর। চেষ্টা করেও তাকে ধরতে পারিনি। কোনো এক সময় খাবারের সঙ্গে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে রাখে ওই চোরের দল। আমার বাবা-মা ও স্ত্রী এখনো অসুস্থ অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছে।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোন্নাফ বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাটি তদন্ত করার জন্য একজন এসআইকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জড়িতদের শনাক্তে চেষ্টা করা হচ্ছে।