ঢাকা , রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
কুরআনী আইনকে কটাক্ষ করে দেয়া নারী অধিকার সংস্কারের প্রস্তাবনা কমিটিসহ বাতিল এবং আরোও বেশ কিছু দাবী নিয়ে আগামী ৩ মে হেফাজতের মহাসমাবেশের ডাক হিন্দুত্ববাদী স্লোগান না দেওয়ায় মুসলিম কিশোরকে মারধর বিতর্কিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল ভারতের হায়দারাবাদ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে হাজারো জনতার বিক্ষোভ পতিতাদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতির সুপারিশ করল অন্তবর্তী সরকারের নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন কাশ্মীরে আরও দুই যুবকের সম্পদ জব্দ করলো ভারতীয় পুলিশ চট্টগ্রামে চলন্ত অটোরিকশায় মুখোশধারীদের পেট্রলবোমা হামলা, দগ্ধ ২ নারী হাতিরঝিলে দুর্বৃত্তের গুলিতে আহত যুবদলকর্মী, অবস্থা আশংকাজনক ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ডা. সুমিত সাহা গ্রেফতার রবার্ট এফ কেনেডি হত্যাকাণ্ড নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ১০ হাজার নথি প্রকাশ

জি এম কাদেরকে গ্রেফতারে আইনি নোটিশ

জুলাই-অগাস্টে আন্দোলনের সময় হত্যার ঘটনায় করা মামলায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিলুপ্ত সংসদের বিরোধী দল নেতা জি এম কাদেরকে গ্রেফতার করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে।

রোববার প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, পুলিশের আইজিপি, ডিএমপি কমিশনার, মিরপুর জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) ও মিরপুর মডেল থানার ওসিকে এ নোটিশ পাঠান ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী মো. সফিকুল ইসলাম সবুজ খান।

নোটিশ প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে তাদের গ্রেফতারে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানানো হয়েছে। অন্যথায় আইনগত সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।

আইনি নোটিশে বলা হয়, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেলেও জাতীয় পার্টি সদস্যদের ও শেখ হাসিনার নামে অসংখ্য হত্যা মামলা হয়। তবে জাতীয় পার্টি কৌশল অবলম্বন করে গ্রেফতার এড়িয়ে যায়। কিন্তু বিগত আমলগুলো দেখলে ও বিগত হাসিনা সরকারের শাসনামল দেখলে লক্ষ্য করা যায়, ২০১৪ সাল, ২০১৮ সাল ও সর্বশেষ ২০২৪ সালে স্বৈরাচারী সরকারের যতগুলো নির্বাচন হয়েছে সবগুলো নির্বাচনে জাতীয় পার্টির কারণেই শেখ হাসিনা একদলীয় নির্বাচন করেছে। জাতীয় পাটির ওপর ভর করে শেখ হাসিনা জনগণের দিনের ভোট রাতে দিয়েছে এবং ভোটার বিহীন নির্বাচন করেছে।

শুধুমাত্র তথাকথিত বিরোধী দল থাকার জন্য স্বৈরাচারের সুরের সঙ্গে সুর মিলিয়ে অবাধ লুটপাট করেছে। তাই সব অপরাধের দায় তাদেরকেও নিতে হবে বলে এতে বলা হয়।

নোটিশে আরো বলা হয়, শেখ হাসিনাকে দিয়ে তারা ক্ষমতায় থাকার জন্য একতরফা নির্বাচন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও আওয়ামী লীগের এমপি, মন্ত্রীরা হত্যা মামলার আসামি হয়ে জেলে গেলেও জাতীয় পার্টি অনুতপ্ত না হয়ে উল্টো ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিত্ব করছে এবং শেখ হাসিনাকে পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্র করছে।

আইন সবার জন্য সমান হলেও জাতীয় পার্টির দুর্নীতিবাজ এমপি মন্ত্রীদের তা এড়ানোর সুযোগ তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। ১৪ দলের নেতারা হত্যা মামলায় গ্রেফতার হলেও জিএম কাদেরসহ তার অনুসারীদের আইনের আওতায় নিয়ে না আসায় জুলাইয়ের ছাত্র-জনতা মর্মাহত।

জি এম কাদের মিরপুর মডেল থানার এজাহারনামীয় আসামি। অথচ তাকে এই মামলার আসামির চোখে দেখা হচ্ছে না। দ্রুত হত্যা মামলার আসামিকে গ্রেফতার করে শহিদদের আত্মার প্রতি সুবিচার করার অনুরোধ জানান তিনি।

জনপ্রিয়

কুরআনী আইনকে কটাক্ষ করে দেয়া নারী অধিকার সংস্কারের প্রস্তাবনা কমিটিসহ বাতিল এবং আরোও বেশ কিছু দাবী নিয়ে আগামী ৩ মে হেফাজতের মহাসমাবেশের ডাক

জি এম কাদেরকে গ্রেফতারে আইনি নোটিশ

প্রকাশিত: ০৮:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪

জুলাই-অগাস্টে আন্দোলনের সময় হত্যার ঘটনায় করা মামলায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিলুপ্ত সংসদের বিরোধী দল নেতা জি এম কাদেরকে গ্রেফতার করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে।

রোববার প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, পুলিশের আইজিপি, ডিএমপি কমিশনার, মিরপুর জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) ও মিরপুর মডেল থানার ওসিকে এ নোটিশ পাঠান ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী মো. সফিকুল ইসলাম সবুজ খান।

নোটিশ প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে তাদের গ্রেফতারে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানানো হয়েছে। অন্যথায় আইনগত সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।

আইনি নোটিশে বলা হয়, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেলেও জাতীয় পার্টি সদস্যদের ও শেখ হাসিনার নামে অসংখ্য হত্যা মামলা হয়। তবে জাতীয় পার্টি কৌশল অবলম্বন করে গ্রেফতার এড়িয়ে যায়। কিন্তু বিগত আমলগুলো দেখলে ও বিগত হাসিনা সরকারের শাসনামল দেখলে লক্ষ্য করা যায়, ২০১৪ সাল, ২০১৮ সাল ও সর্বশেষ ২০২৪ সালে স্বৈরাচারী সরকারের যতগুলো নির্বাচন হয়েছে সবগুলো নির্বাচনে জাতীয় পার্টির কারণেই শেখ হাসিনা একদলীয় নির্বাচন করেছে। জাতীয় পাটির ওপর ভর করে শেখ হাসিনা জনগণের দিনের ভোট রাতে দিয়েছে এবং ভোটার বিহীন নির্বাচন করেছে।

শুধুমাত্র তথাকথিত বিরোধী দল থাকার জন্য স্বৈরাচারের সুরের সঙ্গে সুর মিলিয়ে অবাধ লুটপাট করেছে। তাই সব অপরাধের দায় তাদেরকেও নিতে হবে বলে এতে বলা হয়।

নোটিশে আরো বলা হয়, শেখ হাসিনাকে দিয়ে তারা ক্ষমতায় থাকার জন্য একতরফা নির্বাচন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও আওয়ামী লীগের এমপি, মন্ত্রীরা হত্যা মামলার আসামি হয়ে জেলে গেলেও জাতীয় পার্টি অনুতপ্ত না হয়ে উল্টো ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিত্ব করছে এবং শেখ হাসিনাকে পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্র করছে।

আইন সবার জন্য সমান হলেও জাতীয় পার্টির দুর্নীতিবাজ এমপি মন্ত্রীদের তা এড়ানোর সুযোগ তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। ১৪ দলের নেতারা হত্যা মামলায় গ্রেফতার হলেও জিএম কাদেরসহ তার অনুসারীদের আইনের আওতায় নিয়ে না আসায় জুলাইয়ের ছাত্র-জনতা মর্মাহত।

জি এম কাদের মিরপুর মডেল থানার এজাহারনামীয় আসামি। অথচ তাকে এই মামলার আসামির চোখে দেখা হচ্ছে না। দ্রুত হত্যা মামলার আসামিকে গ্রেফতার করে শহিদদের আত্মার প্রতি সুবিচার করার অনুরোধ জানান তিনি।