ঢাকা , রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
রবার্ট এফ কেনেডি হত্যাকাণ্ড নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ১০ হাজার নথি প্রকাশ এপ্রিলের রাতের আকাশে দুর্লভ জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক চমক কিশোরগঞ্জে ভেজাল খাদ্য তৈরির দায়ে ৪ প্রতিষ্ঠানকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা মুন্সীগঞ্জে পুকুর থেকে ৩২৬ রাউন্ড চায়না রাইফেলের গুলি উদ্ধার গণ-অভ্যুত্থানের পর সমঝোতার সংস্কার দরকার: এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ভিসির প্রতীকী চেয়ারে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ কুয়েট শিক্ষার্থীদের আবাসিকে গ্যাস সংযোগ নিয়ে প্রতারণা: সতর্ক করলো তিতাস গ্যাস ঘুষ ও হয়রানির অভিযোগে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি স্ট্যান্ড রিলিজ সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ‘শহীদ তুরাব স্ট্যান্ড’ নামকরণ চার বছরে এসএসসি পরীক্ষার্থী কমেছে তিন লাখের বেশি

১১ দিনে সিরিয়ায় আসাদ সরকারের পতন: এক নজরে ঘটনাক্রম

সিরিয়ার সরকার-বিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো ঘোষণা করেছে যে, তারা বাশার আল-আসাদের শাসনের অবসান ঘটিয়েছে। ১১ দিনের একটি ঝটিকা অভিযানে রাজধানী দামেস্ক দখল করে আসাদকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করে। এই অভিযানে সিরিয়ার বিরোধী গোষ্ঠীগুলো ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করেছে। তবে আসাদ সরকারের পতনের পর দেশটির ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পরিস্থিতি কীভাবে গড়ে উঠবে, তা এখনও অনিশ্চিত। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকাও এই পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করবে।

 

নিচে আসাদ সরকারের পতনের ধারাবাহিক ঘটনাগুলো তুলে ধরা হলো:

 

 

২৭ নভেম্বর

 

উত্তরাঞ্চলীয় আলেপ্পো প্রদেশে সিরীয় সেনাবাহিনীর ওপর আকস্মিক আক্রমণ শুরু করে বিরোধী বিদ্রোহীরা।

 

২৮ নভেম্বর

 

 

বিরোধীরা আলেপ্পো থেকে দামেস্কের সংযোগকারী প্রধান মহাসড়ক কেটে ফেলে, সরকার বাহিনীর যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়।

 

২৯-৩০ নভেম্বর

 

বিরোধী বাহিনী আলেপ্পো শহরে প্রচণ্ড গোলাবর্ষণ চালায় এবং শহরে প্রবেশ করে। তারা বিদ্যুৎগতিতে সরকারি বাহিনীর প্রতিরোধ ভেঙে ফেলে।

রুশ যুদ্ধবিমানগুলো ২০১৬ সালের পর প্রথমবারের মতো আলেপ্পোতে বোমাবর্ষণ করে।

বিরোধীরা একদিনের মধ্যে আলেপ্পোর বেশিরভাগ অংশ এবং উত্তরাঞ্চলের ৮০টিরও বেশি শহর ও গ্রাম দখল করে।

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ইরান ও তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে এই সংঘাতময় পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

 

১ ডিসেম্বর

 

এক দশকেরও বেশি সময় পর সিরীয় সরকার আলেপ্পো শহরের নিয়ন্ত্রণ হারায়। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি দামেস্ক সফরে আসাদ সরকারের প্রতি দৃঢ় সমর্থনের ঘোষণা দেন।

 

২ ডিসেম্বর

 

রাশিয়া ও ইরান ঘোষণা দেয়, তারা আসাদ সরকারের প্রতি ‘নিঃশর্ত সমর্থন’ অব্যাহত রাখবে।

 

৫ ডিসেম্বর

 

বিদ্রোহীরা সিরিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম শহর হামা দখল করে নেয়। কয়েকদিনের তীব্র লড়াইয়ের পর সরকার বাহিনী শহরটি ছাড়তে বাধ্য হয়।

 

৬ ডিসেম্বর

 

বিরোধীরা সিরিয়ার হোমস শহরের কাছে পৌঁছে যায়। হোমসকে ‘বিপ্লবের রাজধানী’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

 

৭ ডিসেম্বর

 

বিরোধীরা হোমস দখল করে নেয়।

সরকারি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দামেস্ক থেকে সেনা প্রত্যাহারের খবর অস্বীকার করে।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান বলেন, সিরিয়া যুদ্ধ, রক্তপাত ও অশ্রুতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে।

 

৮ ডিসেম্বর

 

দামেস্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সরকারি বাহিনী ও অন্যান্য সেনারা পিছু হটে।

বাশার আল-আসাদ দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন বলে খবর পাওয়া যায়।

বিরোধীরা দামেস্ক দখল করে আসাদ সরকারের পতনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়।

শহরের বাসিন্দারা রাস্তায় নেমে আসাদ সরকারের পতন উদযাপন করে।

সিরিয়ার প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-জালালি জনগণের পছন্দ করা নেতৃত্বের সঙ্গে সহযোগিতা এবং ক্ষমতা হস্তান্তরে প্রস্তুতির ঘোষণা দেন।

 

 

জনপ্রিয়

রবার্ট এফ কেনেডি হত্যাকাণ্ড নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ১০ হাজার নথি প্রকাশ

১১ দিনে সিরিয়ায় আসাদ সরকারের পতন: এক নজরে ঘটনাক্রম

প্রকাশিত: ০৭:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪

সিরিয়ার সরকার-বিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো ঘোষণা করেছে যে, তারা বাশার আল-আসাদের শাসনের অবসান ঘটিয়েছে। ১১ দিনের একটি ঝটিকা অভিযানে রাজধানী দামেস্ক দখল করে আসাদকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করে। এই অভিযানে সিরিয়ার বিরোধী গোষ্ঠীগুলো ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করেছে। তবে আসাদ সরকারের পতনের পর দেশটির ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পরিস্থিতি কীভাবে গড়ে উঠবে, তা এখনও অনিশ্চিত। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকাও এই পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করবে।

 

নিচে আসাদ সরকারের পতনের ধারাবাহিক ঘটনাগুলো তুলে ধরা হলো:

 

 

২৭ নভেম্বর

 

উত্তরাঞ্চলীয় আলেপ্পো প্রদেশে সিরীয় সেনাবাহিনীর ওপর আকস্মিক আক্রমণ শুরু করে বিরোধী বিদ্রোহীরা।

 

২৮ নভেম্বর

 

 

বিরোধীরা আলেপ্পো থেকে দামেস্কের সংযোগকারী প্রধান মহাসড়ক কেটে ফেলে, সরকার বাহিনীর যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়।

 

২৯-৩০ নভেম্বর

 

বিরোধী বাহিনী আলেপ্পো শহরে প্রচণ্ড গোলাবর্ষণ চালায় এবং শহরে প্রবেশ করে। তারা বিদ্যুৎগতিতে সরকারি বাহিনীর প্রতিরোধ ভেঙে ফেলে।

রুশ যুদ্ধবিমানগুলো ২০১৬ সালের পর প্রথমবারের মতো আলেপ্পোতে বোমাবর্ষণ করে।

বিরোধীরা একদিনের মধ্যে আলেপ্পোর বেশিরভাগ অংশ এবং উত্তরাঞ্চলের ৮০টিরও বেশি শহর ও গ্রাম দখল করে।

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ইরান ও তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে এই সংঘাতময় পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

 

১ ডিসেম্বর

 

এক দশকেরও বেশি সময় পর সিরীয় সরকার আলেপ্পো শহরের নিয়ন্ত্রণ হারায়। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি দামেস্ক সফরে আসাদ সরকারের প্রতি দৃঢ় সমর্থনের ঘোষণা দেন।

 

২ ডিসেম্বর

 

রাশিয়া ও ইরান ঘোষণা দেয়, তারা আসাদ সরকারের প্রতি ‘নিঃশর্ত সমর্থন’ অব্যাহত রাখবে।

 

৫ ডিসেম্বর

 

বিদ্রোহীরা সিরিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম শহর হামা দখল করে নেয়। কয়েকদিনের তীব্র লড়াইয়ের পর সরকার বাহিনী শহরটি ছাড়তে বাধ্য হয়।

 

৬ ডিসেম্বর

 

বিরোধীরা সিরিয়ার হোমস শহরের কাছে পৌঁছে যায়। হোমসকে ‘বিপ্লবের রাজধানী’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

 

৭ ডিসেম্বর

 

বিরোধীরা হোমস দখল করে নেয়।

সরকারি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দামেস্ক থেকে সেনা প্রত্যাহারের খবর অস্বীকার করে।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান বলেন, সিরিয়া যুদ্ধ, রক্তপাত ও অশ্রুতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে।

 

৮ ডিসেম্বর

 

দামেস্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সরকারি বাহিনী ও অন্যান্য সেনারা পিছু হটে।

বাশার আল-আসাদ দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন বলে খবর পাওয়া যায়।

বিরোধীরা দামেস্ক দখল করে আসাদ সরকারের পতনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়।

শহরের বাসিন্দারা রাস্তায় নেমে আসাদ সরকারের পতন উদযাপন করে।

সিরিয়ার প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-জালালি জনগণের পছন্দ করা নেতৃত্বের সঙ্গে সহযোগিতা এবং ক্ষমতা হস্তান্তরে প্রস্তুতির ঘোষণা দেন।