মধ্যপ্রাচ্যের দেশ লেবাননে হানাদার ইসরায়েলের অবিরাম হামলায় অন্তত ২৩১ শিশু নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরো ১ হাজার ১০০ শিশু। এর মধ্যে কেবল গত দু’মাসেই নিহত হয়েছে দুই শতাধিক শিশু।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ইউনিসেফের মুখপাত্র জেমস এলডার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য প্রকাশ করেন।
ইউনিসেফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত নিহত শিশুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে অন্তত ২৩১।
জেনেভায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এলডার বলেছেন, শুধু গত দু’মাসেই দুই শতাধিক শিশু নিহত হয়েছে। এই ভয়াবহতা সকলের কাছে অগ্রহণযোগ্য। কিন্তু সহিংসতা বন্ধে উল্লেখযোগ্য কোনো উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না।
তিনি হতাহতের জন্য নির্দিষ্ট কোনও পক্ষকে দায়ী না করলেও বলেন, যারা কিছুটা হলেও সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসরণ করেন, তারা জানেন এর জন্য কারা দায়ী।
গত দুই মাসে লেবাননে প্রতিদিন অন্তত তিনজন শিশু নিহত হয়েছে বলেও জানিয়েছে ইউনিসেফ। অনেক শিশু আহত এবং মানসিক সমস্যায় ভুগছে।
হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলের মধ্যে চলা সংঘর্ষে লেবাননে এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৫১০ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এলডার বলেন, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় সব মিলিয়ে ২৩১ জন শিশু নিহত হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যাশা গাজার মতো পরিস্থিতি লেবাননে না হোক।
ইউনিসেফের মতে, পরিস্থিতি মারাত্মক মানবিক বিপর্যয়ের দিকে এগোচ্ছে। শিশুদের এই প্রাণহানি শুধু একটি সংখ্যা নয়, বরং এটি তাদের পরিবার ও পুরো সমাজের জন্য এক অমূল্য ক্ষতি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে এটি যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তার বার্তা বহন করছে।
চলমান সংঘাত শিশুদের জীবন, ভবিষ্যৎ ও মৌলিক অধিকারকে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। যুদ্ধের মধ্যে শিশুদের রক্ষা করা অন্যতম অগ্রাধিকার হওয়া উচিত বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
সূত্র: আল-জাজিরা, রয়টার্স