ঢাকা , শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
ক্রিমিয়া নিয়ে ছাড়? শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে রাশিয়াকে স্বীকৃতি দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ব্লুমবার্গ যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ইয়েমেনের রাস ঈসা বন্দরে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮০, আহত ১৭১ দিলীপ ঘোষের বিয়ে ঘিরে প্রশ্ন: আরএসএস প্রচারকেরা কি বিয়ে করতে পারেন? সংগঠনটির প্রচারক ছিলেন মোদিও নিখোঁজের ১৪ ঘণ্টা পর চট্টগ্রামে শিশুর লাশ উদ্ধার টাঙ্গাইলে অবৈধ ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু শায়েস্তাগঞ্জে আগুনে পুড়ল ১৫ টি দোকান বিডিআর হত্যাকাণ্ড: সহায়ক তথ্য আহ্বান করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশিসহ ৫০৬ জন অভিবাসী আটক ইভ্যালির অর্থ আত্মসাৎ: গ্রাহকদের মানববন্ধন ও রাসেলের গ্রেফতারের দাবি কক্সবাজার-মহেশখালী রুটে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলো সি-ট্রাক

লেবাননে দুই শতাধিক শিশুকে হত্যা করেছে ইসরায়েল

Oplus_131072

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ লেবাননে হানাদার ইসরায়েলের অবিরাম হামলায় অন্তত ২৩১ শিশু নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরো ১ হাজার ১০০ শিশু। এর মধ্যে কেবল গত দু’মাসেই নিহত হয়েছে দুই শতাধিক শিশু।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ইউনিসেফের মুখপাত্র জেমস এলডার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য প্রকাশ করেন।

ইউনিসেফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত নিহত শিশুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে অন্তত ২৩১।

জেনেভায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এলডার বলেছেন, শুধু গত দু’মাসেই দুই শতাধিক শিশু নিহত হয়েছে। এই ভয়াবহতা সকলের কাছে অগ্রহণযোগ্য। কিন্তু সহিংসতা বন্ধে উল্লেখযোগ্য কোনো উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না।

তিনি হতাহতের জন্য নির্দিষ্ট কোনও পক্ষকে দায়ী না করলেও বলেন, যারা কিছুটা হলেও সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসরণ করেন, তারা জানেন এর জন্য কারা দায়ী।

গত দুই মাসে লেবাননে প্রতিদিন অন্তত তিনজন শিশু নিহত হয়েছে বলেও জানিয়েছে ইউনিসেফ। অনেক শিশু আহত এবং মানসিক সমস্যায় ভুগছে।

হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলের মধ্যে চলা সংঘর্ষে লেবাননে এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৫১০ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এলডার বলেন, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় সব মিলিয়ে ২৩১ জন শিশু নিহত হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যাশা গাজার মতো পরিস্থিতি লেবাননে না হোক।

ইউনিসেফের মতে, পরিস্থিতি মারাত্মক মানবিক বিপর্যয়ের দিকে এগোচ্ছে। শিশুদের এই প্রাণহানি শুধু একটি সংখ্যা নয়, বরং এটি তাদের পরিবার ও পুরো সমাজের জন্য এক অমূল্য ক্ষতি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে এটি যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তার বার্তা বহন করছে।

চলমান সংঘাত শিশুদের জীবন, ভবিষ্যৎ ও মৌলিক অধিকারকে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। যুদ্ধের মধ্যে শিশুদের রক্ষা করা অন্যতম অগ্রাধিকার হওয়া উচিত বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

সূত্র: আল-জাজিরা, রয়টার্স

জনপ্রিয়

ক্রিমিয়া নিয়ে ছাড়? শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে রাশিয়াকে স্বীকৃতি দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ব্লুমবার্গ

লেবাননে দুই শতাধিক শিশুকে হত্যা করেছে ইসরায়েল

প্রকাশিত: ১১:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ লেবাননে হানাদার ইসরায়েলের অবিরাম হামলায় অন্তত ২৩১ শিশু নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরো ১ হাজার ১০০ শিশু। এর মধ্যে কেবল গত দু’মাসেই নিহত হয়েছে দুই শতাধিক শিশু।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ইউনিসেফের মুখপাত্র জেমস এলডার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য প্রকাশ করেন।

ইউনিসেফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত নিহত শিশুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে অন্তত ২৩১।

জেনেভায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এলডার বলেছেন, শুধু গত দু’মাসেই দুই শতাধিক শিশু নিহত হয়েছে। এই ভয়াবহতা সকলের কাছে অগ্রহণযোগ্য। কিন্তু সহিংসতা বন্ধে উল্লেখযোগ্য কোনো উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না।

তিনি হতাহতের জন্য নির্দিষ্ট কোনও পক্ষকে দায়ী না করলেও বলেন, যারা কিছুটা হলেও সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসরণ করেন, তারা জানেন এর জন্য কারা দায়ী।

গত দুই মাসে লেবাননে প্রতিদিন অন্তত তিনজন শিশু নিহত হয়েছে বলেও জানিয়েছে ইউনিসেফ। অনেক শিশু আহত এবং মানসিক সমস্যায় ভুগছে।

হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলের মধ্যে চলা সংঘর্ষে লেবাননে এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৫১০ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এলডার বলেন, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় সব মিলিয়ে ২৩১ জন শিশু নিহত হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যাশা গাজার মতো পরিস্থিতি লেবাননে না হোক।

ইউনিসেফের মতে, পরিস্থিতি মারাত্মক মানবিক বিপর্যয়ের দিকে এগোচ্ছে। শিশুদের এই প্রাণহানি শুধু একটি সংখ্যা নয়, বরং এটি তাদের পরিবার ও পুরো সমাজের জন্য এক অমূল্য ক্ষতি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে এটি যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তার বার্তা বহন করছে।

চলমান সংঘাত শিশুদের জীবন, ভবিষ্যৎ ও মৌলিক অধিকারকে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। যুদ্ধের মধ্যে শিশুদের রক্ষা করা অন্যতম অগ্রাধিকার হওয়া উচিত বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

সূত্র: আল-জাজিরা, রয়টার্স