ঢাকা , শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে আরাফা: তাওবা ও রহমতের মহান দিন হামজা চৌধুরীর আগমনে জোয়ার বাংলাদেশ ফুটবলে, ভুটানের বিপক্ষে আজ প্রস্তুতি ম্যাচ রিলসের নামে অশ্লীলতার প্রতিযোগিতা: ভিউয়ের পেছনে দৌড়ে সমাজ হারাচ্ছে মূল্যবোধ আজ মিনায় অবস্থানের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা ভাঙ্গায় মাহিন্দ্রা-বাস সংঘর্ষে ৪ জন নিহত, আহত ৩ মাদরাসা ধ্বংস ঠেকাতে সরকারের বিরুদ্ধে আইনী লড়াই চালিয়ে যাবে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ মাংস বিক্রেতাদের সরাসরি গুলি করার হুমকি দিয়েছেন ভারতের গাজিয়াবাদ বিধায়ক গুর্জ ইসরাইলের সাথে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক ছিন্ন ও ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি বাতিল করেছে স্পেন বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়নি: এনবিআর চেয়ারম্যান

আশুলিয়ায় পোশাক কারখানায় আগুন, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় একটি তৈরি পোশাক কারখানায় ভয়াবহ আগুন লেগেছে। আগুনে শ্রমিকপল্লির কমপক্ষে ২০টি কক্ষ পুড়ে গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কারখানা খোলা রাখাকে কেন্দ্র করে বহিরাগত শ্রমিকরা কারখানাটিতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন। ফায়ার সার্ভিস দেরিতে ঘটনাস্থলে আসায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে।

 

সোমবার সকাল ১১টার দিকে আশুলিয়ার জিরানী নবী টেক্সটাইল এলাকার অ্যামাজন নিটওয়্যার লিমিটেড (আল আমিন ফ্যাক্টরি নামে পরিচিত) নামে কারখানায় এই ঘটনা ঘটে।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সকালে স্থানীয় অ্যামাজন ফ্যাক্টরিতে কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। গত কয়েকদিন ধরেই পার্শ্ববর্তী বেক্সিমকো কারখানায় শ্রমিকরা বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলন করছেন। আজ স্থানীয় ডরিন নামে আরও একটি কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়৷ পরে বেক্সিমকো কারখানার কয়েকশ শ্রমিক অ্যামাজন কারখানায় এসে হট্টগোল করে কাজ বন্ধ করে রাখতে বলেন। এ সময় অ্যামাজন কারখানার মালিক ও স্টাফরা বাধা দিলে বেক্সিমকো কারখানার এক শ্রমিকের মাথা ফাটিয়ে দেওয়াসহ কয়েকজনকে মারধরের ঘটনা ঘটে।

 

পরে ক্ষুব্ধ হয়ে বেক্সিমকোর শ্রমিকরা অ্যামাজন কারখানায় ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে চলে যায়। আগুন কারখানা থেকে আশপাশের শ্রমিক কলোনিতে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে আগুন জ্বললেও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দুপুর ১টা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে না পৌঁছানোয় সবকিছু পুড়ে গেছে।

 

তারা আরও অভিযোগ করেন, ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছলে হয়তো এত ক্ষয়ক্ষতি হতো না। সকাল ১১টায় আগুন লাগলেও তারা দুপুর পর্যন্ত এখানে আসেনি। কারখানার পাশাপাশি শ্রমিকপল্লির অনেক অসহায় শ্রমিকের মূল্যবান জিনিসপত্রসহ আসবাবপত্র পুড়ে গেছে।

 

ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার প্রণব চৌধুরী বলেন, ‘জিরানী এলাকায় একটি কারখানায় আগুনের ঘটনা ঘটেছে। আমরা দুটি ফায়ার ইউনিট নিয়ে অনেক আগেই রওনা হলেও পথে আন্দোলনরত শ্রমিকরা বাধা দিয়েছেন। যে কারণে সময়মতো ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারিনি।’

 

দুপুর দেড়টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট। তবে ততক্ষণে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

জনপ্রিয়

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে

আশুলিয়ায় পোশাক কারখানায় আগুন, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

প্রকাশিত: ০৯:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় একটি তৈরি পোশাক কারখানায় ভয়াবহ আগুন লেগেছে। আগুনে শ্রমিকপল্লির কমপক্ষে ২০টি কক্ষ পুড়ে গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কারখানা খোলা রাখাকে কেন্দ্র করে বহিরাগত শ্রমিকরা কারখানাটিতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন। ফায়ার সার্ভিস দেরিতে ঘটনাস্থলে আসায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে।

 

সোমবার সকাল ১১টার দিকে আশুলিয়ার জিরানী নবী টেক্সটাইল এলাকার অ্যামাজন নিটওয়্যার লিমিটেড (আল আমিন ফ্যাক্টরি নামে পরিচিত) নামে কারখানায় এই ঘটনা ঘটে।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সকালে স্থানীয় অ্যামাজন ফ্যাক্টরিতে কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। গত কয়েকদিন ধরেই পার্শ্ববর্তী বেক্সিমকো কারখানায় শ্রমিকরা বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলন করছেন। আজ স্থানীয় ডরিন নামে আরও একটি কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়৷ পরে বেক্সিমকো কারখানার কয়েকশ শ্রমিক অ্যামাজন কারখানায় এসে হট্টগোল করে কাজ বন্ধ করে রাখতে বলেন। এ সময় অ্যামাজন কারখানার মালিক ও স্টাফরা বাধা দিলে বেক্সিমকো কারখানার এক শ্রমিকের মাথা ফাটিয়ে দেওয়াসহ কয়েকজনকে মারধরের ঘটনা ঘটে।

 

পরে ক্ষুব্ধ হয়ে বেক্সিমকোর শ্রমিকরা অ্যামাজন কারখানায় ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে চলে যায়। আগুন কারখানা থেকে আশপাশের শ্রমিক কলোনিতে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে আগুন জ্বললেও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দুপুর ১টা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে না পৌঁছানোয় সবকিছু পুড়ে গেছে।

 

তারা আরও অভিযোগ করেন, ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছলে হয়তো এত ক্ষয়ক্ষতি হতো না। সকাল ১১টায় আগুন লাগলেও তারা দুপুর পর্যন্ত এখানে আসেনি। কারখানার পাশাপাশি শ্রমিকপল্লির অনেক অসহায় শ্রমিকের মূল্যবান জিনিসপত্রসহ আসবাবপত্র পুড়ে গেছে।

 

ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার প্রণব চৌধুরী বলেন, ‘জিরানী এলাকায় একটি কারখানায় আগুনের ঘটনা ঘটেছে। আমরা দুটি ফায়ার ইউনিট নিয়ে অনেক আগেই রওনা হলেও পথে আন্দোলনরত শ্রমিকরা বাধা দিয়েছেন। যে কারণে সময়মতো ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারিনি।’

 

দুপুর দেড়টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট। তবে ততক্ষণে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।