ঢাকা , রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে আরাফা: তাওবা ও রহমতের মহান দিন হামজা চৌধুরীর আগমনে জোয়ার বাংলাদেশ ফুটবলে, ভুটানের বিপক্ষে আজ প্রস্তুতি ম্যাচ রিলসের নামে অশ্লীলতার প্রতিযোগিতা: ভিউয়ের পেছনে দৌড়ে সমাজ হারাচ্ছে মূল্যবোধ আজ মিনায় অবস্থানের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা ভাঙ্গায় মাহিন্দ্রা-বাস সংঘর্ষে ৪ জন নিহত, আহত ৩ মাদরাসা ধ্বংস ঠেকাতে সরকারের বিরুদ্ধে আইনী লড়াই চালিয়ে যাবে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ মাংস বিক্রেতাদের সরাসরি গুলি করার হুমকি দিয়েছেন ভারতের গাজিয়াবাদ বিধায়ক গুর্জ ইসরাইলের সাথে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক ছিন্ন ও ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি বাতিল করেছে স্পেন বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়নি: এনবিআর চেয়ারম্যান

বিপ্লব উদ্যানের নতুন মার্কেটের জন্য করা স্থাপনা ভাঙা হবে : মেয়র শাহাদাত

বিপ্লব উদ্যানের নতুন মার্কেটের জন্য করা স্থাপনা ভেঙে দেওয়া হবে জানিয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এ বিপ্লব উদ্যান থেকে অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, যেটা ঠিক এর পেছনেই ছিল সেখান থেকে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। সেদিন উনি কর্নেল জানজুয়াকে হত্যা করে পাক হানাদার বাহিনীকে বলেছিলেন আমি বিদ্রোহ ঘোষণা করছি। উনি পাকিস্তানি আর্মির মেজর ছিলেন। বিদ্রোহ করার কারণে উনার কোর্ট মার্শাল হতে পারত।’

 

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকালে নগরীর দুই নম্বর গেটের বিপ্লব উদ্যানে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে তিনি এসব কথা জানান।

 

 

তিনি আরও বলেন, ‘গত ১৬ বছর ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছে। ইতিহাস বিকৃত করে তারা সব জায়গায় বাণিজ্যিক রুপ দিয়েছে। ইতিহাস ইতিহাসের গতিতে চলবে। আওয়ামী লীগের যে সঠিক ইতিহাস আছে সেটাকে আমরা বিকৃত করতে চাই না। ঠিক তেমনি বিএনপির যুগে যুগে অথবা দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে যেসব মহানায়করা একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিল তাদের ইতিহাসকেও আমরা বিকৃত করতে চাই না।’

 

মেয়র আর বলেন, ‘সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এ বিপ্লব উদ্যান থেকে অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, যেটা ঠিক এর পেছনেই ছিল সেখান থেকে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। সেদিন উনি কর্নেল জানজুয়াকে হত্যা করে পাক হানাদার বাহিনীকে বলেছিলেন আমি বিদ্রোহ ঘোষণা করছি। উনি পাকিস্তানি আর্মির মেজর ছিলেন। বিদ্রোহ করার কারণে উনার কোর্ট মার্শাল হতে পারত।’

 

চসিক মেয়র বলেন, ‘সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের যে নাম মুছে দেওয়া হয়েছে সেটা ইতিহাসে থাকবে। আমি আবারও বলছি মাওলানা ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী বা শেরে বাংলা একে ফজলুল হকসহ যাদের ইতিহাসে অবদান আছে তাদের নাম স্মরণীয় করে রাখতে হবে। সেটার ইতিহাস বিকৃত করা যাবে না। যার যা ইতিহাস আছে সেখানে থাকবে। আমরা কারও নামফলক মুছে দেওয়ার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। আমরা চাই নতুন প্রজম্ম সঠিক ইতিহাস জানুক। বিএনপি নামফলক মুছে দেওয়ার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না।’

 

এসময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব আশরাফুল আমিনসহ বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয়

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে

বিপ্লব উদ্যানের নতুন মার্কেটের জন্য করা স্থাপনা ভাঙা হবে : মেয়র শাহাদাত

প্রকাশিত: ০৫:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪

বিপ্লব উদ্যানের নতুন মার্কেটের জন্য করা স্থাপনা ভেঙে দেওয়া হবে জানিয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এ বিপ্লব উদ্যান থেকে অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, যেটা ঠিক এর পেছনেই ছিল সেখান থেকে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। সেদিন উনি কর্নেল জানজুয়াকে হত্যা করে পাক হানাদার বাহিনীকে বলেছিলেন আমি বিদ্রোহ ঘোষণা করছি। উনি পাকিস্তানি আর্মির মেজর ছিলেন। বিদ্রোহ করার কারণে উনার কোর্ট মার্শাল হতে পারত।’

 

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকালে নগরীর দুই নম্বর গেটের বিপ্লব উদ্যানে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে তিনি এসব কথা জানান।

 

 

তিনি আরও বলেন, ‘গত ১৬ বছর ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছে। ইতিহাস বিকৃত করে তারা সব জায়গায় বাণিজ্যিক রুপ দিয়েছে। ইতিহাস ইতিহাসের গতিতে চলবে। আওয়ামী লীগের যে সঠিক ইতিহাস আছে সেটাকে আমরা বিকৃত করতে চাই না। ঠিক তেমনি বিএনপির যুগে যুগে অথবা দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে যেসব মহানায়করা একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিল তাদের ইতিহাসকেও আমরা বিকৃত করতে চাই না।’

 

মেয়র আর বলেন, ‘সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এ বিপ্লব উদ্যান থেকে অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, যেটা ঠিক এর পেছনেই ছিল সেখান থেকে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। সেদিন উনি কর্নেল জানজুয়াকে হত্যা করে পাক হানাদার বাহিনীকে বলেছিলেন আমি বিদ্রোহ ঘোষণা করছি। উনি পাকিস্তানি আর্মির মেজর ছিলেন। বিদ্রোহ করার কারণে উনার কোর্ট মার্শাল হতে পারত।’

 

চসিক মেয়র বলেন, ‘সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের যে নাম মুছে দেওয়া হয়েছে সেটা ইতিহাসে থাকবে। আমি আবারও বলছি মাওলানা ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী বা শেরে বাংলা একে ফজলুল হকসহ যাদের ইতিহাসে অবদান আছে তাদের নাম স্মরণীয় করে রাখতে হবে। সেটার ইতিহাস বিকৃত করা যাবে না। যার যা ইতিহাস আছে সেখানে থাকবে। আমরা কারও নামফলক মুছে দেওয়ার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। আমরা চাই নতুন প্রজম্ম সঠিক ইতিহাস জানুক। বিএনপি নামফলক মুছে দেওয়ার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না।’

 

এসময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব আশরাফুল আমিনসহ বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।