ক্যামব্রিয়ান এডুকেশন গ্রুপের চেয়ারম্যান ও অঙ্গ প্রতিষ্ঠান বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের প্রতিষ্ঠাতা এম কে বাশারের বিরুদ্ধে ৫০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে ‘ভুক্তভোগী সহস্রাধিক শিক্ষার্থী’ ব্যানারে মানববন্ধনে এই অভিযোগ করা হয়। বিএসসি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান বাশারের বিরুদ্ধে বিদেশে উচ্চশিক্ষার নামে প্রতারণার প্রতিবাদে মানববন্ধনটি করেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক কানাডা, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং পৃথিবীর উন্নত দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা নিয়েছে।
কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও সেখানে পাঠাতে পারেনি। বিদেশি কলেজগুলোর ভুয়া অফার লেটার তৈরি করে টাকা না পাঠিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। এ রকম ভুক্তভোগীর সংখ্যা হাজারের বেশি। তিনি গড়ে ২০ লাখ টাকা করে নিয়েছেন।
তাঁদের দেওয়া লিস্ট অনুযায়ী ৮৫০ জনের বেশি শিক্ষার্থীকে বিদেশে পাঠানো যায়নি। কিন্তু আমাদের ধারণা দুই হাজারের বেশি শিক্ষার্থী তাঁর প্রতারণার শিকার হয়েছেন। সে অনুযায়ী তিনি প্রায় ৫০০ কোটি টাকা আত্মসাত্ করেছেন।
শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে টাকা ফেরত চাইলে টালবাহানা করে সময় ক্ষেপণ করা হয়েছে।
ফলে বেশির ভাগ ছাত্র-ছাত্রীর শিক্ষাজীবন বিপর্যস্ত হয়েছে, উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন ভেঙে গেছে এবং আর্থিকভাবে প্রতিটি পরিবার অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরে অনেক দেনদরবার করার পর পাওনা টাকার বিপরীতে বিএসবি কর্তৃপক্ষ অনেক পাওনাদারকে বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান মো. খাইরুল বাশারের সই করা চেক দিলেও তা ব্যাংক প্রত্যাখ্যান করেছে।
মনববন্ধনে বলা হয়, ‘টাকা উদ্ধারের জন্য থানায় লিখিত অভিযোগ করা হলে এবং পরে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে গেলে বাশারের গুণ্ডাবাহিনী আক্রমণ চালায়। এ ছাড়া পাওনাদারদের টাকা না দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। আমরা নিরুপায় হয়ে টাকা উদ্ধার ও নিরাপত্তার জন্য অনেকে জিডি, প্রতারণা ও চেক জালিয়াতির মামলা করেছি।
কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। এখন বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। সব মোবাইল নম্বর বন্ধ করে রাখা হয়েছে। তাই আমরা বাধ্য হয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়েছি।’