বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সাকিব আল হাসানের নিরাপত্তা সম্পর্কিত কোন দায়দায়িত্ব নিতে রাজি হয়নি। আজ এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ জানান, সাকিবকে নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়টি বোর্ডের হাতে নেই এবং এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত সাকিবকেই নিতে হবে। তিনি বলেন, “আমাদের কাছে নির্দিষ্ট একজনের জন্য নিরাপত্তা দেওয়ার সামর্থ্য নেই। সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।”
বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ সাকিব আল হাসানের ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট বাংলাদেশে খেলার প্রতি আশাবাদ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “সাকিব যদি এখান (বাংলাদেশ) থেকে শেষ টেস্ট খেলতে পারে, তবে আমি বিশ্বাস করি এটি তার জন্য একটি অসাধারণ ঘটনা হবে।”
সাকিবের অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফারুক আহমেদ মন্তব্য করেন, “সাকিব বর্তমানে তার জীবনের খুব কঠিন সময় পার করছে। আমি তাকে বোঝানোর চেষ্টা করিনি, কারণ সে মনে করেছে যে অবসর নেওয়ার এটাই সঠিক সময়। আমি তার সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাই এবং আমার পক্ষ থেকে তার জন্য খুব বেশি কিছু বলার নেই।” এই মন্তব্য সাকিবের অবসরের প্রসঙ্গে বোর্ড সভাপতির সহানুভূতির পরিচয় দেয়।
এইদিকে সাকিব আল হাসান জানিয়েছেন, তিনি যদি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেন, তবে ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টটি মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে খেলতে চান। আগামী মাসে দক্ষিণ আফ্রিকা বাংলাদেশ সফরে আসছে। আজ কানপুরে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করে সাকিব বলেন, “যদি আমাকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া হয়, আমি দেশের মাটিতে আমার শেষ টেস্ট খেলার সুযোগ কামনা করছি।” সাকিবের এই ইচ্ছা দেশের ক্রিকেটের জন্য একটি বিশেষ মুহূর্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা তার দীর্ঘ ও সফল ক্রিকেট ক্যারিয়ারের সমাপ্তির একটি চমৎকার সমাপ্তি হতে পারে।
সরকারের পতনের পর সাকিব আল হাসান পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজ খেলার জন্য দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। সিরিজ শেষ হওয়ার পর দলের অন্য সদস্যরা দেশে ফিরলেও, সাকিব ইংল্যান্ডে চলে যান। সেখানে তিনি সার্সের হয়ে একটি কাউন্টি ম্যাচে অংশগ্রহণ করেন। অনেকের ধারণা, মামলার কারণে তিনি দেশে ফেরেননি। পরে ইংল্যান্ড থেকেই সাকিব ভারতে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যোগ দেন।
দেশে ফেরা নিয়ে সাকিব বেশ উদ্বিগ্ন, কারণ তার পরিবার যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করে। বাংলাদেশে টেস্ট খেলতে এলেও, তিনি আবার মার্কিন মুলুকে ফিরে যাবেন। তবে দেশে আসার পর যদি তাকে গ্রেপ্তার না করা হয়, তবুও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি রয়েছে। এই কারণে সাকিব সবদিক থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাইছেন। তার নিরাপত্তা নিশ্চিত হলে, দেশের মাটিতে খেলার সম্ভাবনাও উন্মুক্ত হবে।