ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃক পুশইন করা ৭৮ জনের মধ্যে ৭৫ বাংলাদেশিকে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি তিনজনকে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানা চত্বরে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান কোস্টগার্ডের লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আবরার হাসান।
তিনি জানান, গত ৯ মে ভোরে সুন্দরবনের মান্দারবাড়িয়া চরে ৭৫ বাংলাদেশি মুসলিম এবং ৩ জন ভারতীয় মুসলিমকে জোরপূর্বক বাংলাদেশে পুশইন করে বিএসএফ। তাদের অধিকাংশই ভারতের গুজরাটে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করতেন এবং বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন।
ভুক্তভোগীদের ভাষ্যমতে, ভারতে আটকে রেখে তাদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হয়েছে। দুই সপ্তাহে দিনে একটি বিস্কুট ও রাতে একটি পাউরুটি এবং সামান্য পানি ছাড়া আর কিছু দেওয়া হয়নি। এমনকি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার অনুরোধ করলেও তাদের ওপর চালানো হয় লাঠিচার্জ।
৭৫ জনকে পরিবারে ফেরত দেওয়া হলেও ভারতে জন্মের কারণে তিন তরুণকে বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী হিসেবে চিহ্নিত করে মামলা করা হয় এবং কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তিন তরুণ হলেন:
আব্দুর রহমান (২০), খুলনার বটিয়াঘাটা থানার খালিদ শেখ ও কাকলী দম্পতির ছেলে; মো. হাসান শাহ (২২), নড়াইলের কালিয়া থানার মৃত মুন্না শাহ ও মৃত নুরজাহান বেগমের ছেলে; সাইফুল শেখ (১৯), সোহেল শেখ ও সাবিনা দম্পতির ছেলে।
তাদের বিরুদ্ধে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের পিও (মিউজ) মো. মশিউর রহমান বাদী হয়ে ১৯৫২ সালের অবৈধ অনুপ্রবেশ আইনে মামলা দায়ের করেন।
শ্যামনগর থানার ওসি হুমায়ুন কবির মোল্যা জানান, রোববার রাতে ৭৮ জনকে থানায় বুঝিয়ে দেওয়া হয়। আইন অনুযায়ী তিনজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে এবং বাকি ৭৫ জনকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।