রাজধানীর আসাদগেট এলাকায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) যৌথ অভিযানে আনুমানিক ৩০টি ব্যাটারিচালিত রিকশা জব্দ এবং তিনটি রিকশা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। অভিযানের সময় রিকশাচালকদের কান্নার ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়।
এর প্রেক্ষিতে ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ মঙ্গলবার রাতে এক ফেসবুক পোস্টে জানান, যাদের রিকশা ভাঙা হয়েছে তাদেরকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে এবং পরিবারগুলোর বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
অভিযানের সময় তিনি জানান, রাজধানীর মূলসড়কে কোনো রিকশা চলতে পারবে না, রিকশার জন্য নির্ধারিত থাকবে অভ্যন্তরীণ সড়ক। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, সড়ক দুর্ঘটনার ২০ শতাংশের পেছনে রয়েছে ব্যাটারিচালিত রিকশা, যা নারী ও শিশুদের জন্য বিশেষ ঝুঁকি তৈরি করছে।
তিনি জানান, এসব রিকশা যাত্রী নিরাপত্তার নীতিমালা ছাড়াই তৈরি হয়, প্রায়ই অনিয়ন্ত্রিত গতিতে পথচারীদের ওপর উঠে যায়। এজন্য ডেসকোর সহায়তায় রিকশার চার্জিং পয়েন্ট ও ওয়ার্কশপগুলো বন্ধ করা হবে।
সরকার ইতোমধ্যে বুয়েটের সহায়তায় নিরাপদ ব্যাটারিচালিত রিকশার নকশা প্রস্তুত করেছে এবং অনুমোদিত কয়েকটি কোম্পানিকে তা তৈরি করতে অনুমতি দিয়েছে।
ডিএনসিসি রিকশাচালকদের প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিচ্ছে, প্রশিক্ষণ শেষে যারা উত্তীর্ণ হবেন, শুধু তারাই বৈধ লাইসেন্স পাবেন। প্রতিটি রিকশা নির্দিষ্ট এলাকায় চলবে এবং ভাড়া নির্ধারিত থাকবে। একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে একটি রিকশার লাইসেন্স দেওয়া হবে, রিকশা ব্যবসার অপব্যবহার বন্ধ করা হবে বলেও জানান প্রশাসক।