ঢাকা , বুধবার, ০৭ মে ২০২৫, ২৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুসংস্কার রোধে শতবর্ষী বটগাছ কেটে ফেললেন মাদারীপুরের আলেমরা

মাদারীপুরের চরঘুনসি এলাকায় শত বছরের একটি বটগাছ কেটে ফেলেছেন স্থানীয় কয়েকজন আলেম, যাতে মানুষ ভ্রান্ত বিশ্বাস ও কুসংস্কার থেকে দূরে থাকে। সোমবার (৫ মে) আড়িয়াল খাঁ নদের পাশে ‘আলম মীরার কান্দি’ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে, যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।

 

স্থানীয়দের ভাষ্য, বহু বছর ধরে কিছু নারী-পুরুষ গাছটির গোড়ায় মানতের উদ্দেশ্যে মোমবাতি, আগরবাতি, কাপড় ও মিষ্টি ইত্যাদি অর্পণ করতেন। তাদের বিশ্বাস ছিল, এখানে মানত করলে মনোবাসনা পূর্ণ হয়। এসব কর্মকাণ্ডকে ইসলামবিরোধী ‘শিরক’ হিসেবে চিহ্নিত করে স্থানীয় আলেমরা গাছটি কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন এবং করাত মেশিন দিয়ে তা বাস্তবায়ন করেন।

 

জানা গেছে, বটগাছটি স্থানীয় আব্দুর সাত্তার হাওলাদারের মালিকানাধীন ছিল এবং মাত্র দেড় হাজার টাকায় আলেমদের কাছে বিক্রি করা হয়। এ বিষয়ে সাত্তার হাওলাদারের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

 

ঘটনার পর স্থানীয় প্রশাসন ও বন বিভাগ তদন্ত শুরু করেছে। মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াদিয়া শাবাব জানান, বিষয়টি পরিকল্পিত কি না তা যাচাই করে তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মাদারীপুর জেলা সভাপতি মাওলানা হাবিব আহম্মেদ চৌধুরী বলেন, ধর্মবিরোধী কাজের প্রতিবাদেই গাছটি কাটা হয়েছে। তবে স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. বাবুল হোসেন এই ঘটনাকে দুঃখজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত বলে মন্তব্য করে জানান, মানুষকে বোঝানোর মাধ্যমে সচেতন করা উচিত ছিল, কারণ পরিবেশের জন্য গাছ গুরুত্বপূর্ণ।

জনপ্রিয়

কুসংস্কার রোধে শতবর্ষী বটগাছ কেটে ফেললেন মাদারীপুরের আলেমরা

প্রকাশিত: ১৮ ঘন্টা আগে

মাদারীপুরের চরঘুনসি এলাকায় শত বছরের একটি বটগাছ কেটে ফেলেছেন স্থানীয় কয়েকজন আলেম, যাতে মানুষ ভ্রান্ত বিশ্বাস ও কুসংস্কার থেকে দূরে থাকে। সোমবার (৫ মে) আড়িয়াল খাঁ নদের পাশে ‘আলম মীরার কান্দি’ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে, যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।

 

স্থানীয়দের ভাষ্য, বহু বছর ধরে কিছু নারী-পুরুষ গাছটির গোড়ায় মানতের উদ্দেশ্যে মোমবাতি, আগরবাতি, কাপড় ও মিষ্টি ইত্যাদি অর্পণ করতেন। তাদের বিশ্বাস ছিল, এখানে মানত করলে মনোবাসনা পূর্ণ হয়। এসব কর্মকাণ্ডকে ইসলামবিরোধী ‘শিরক’ হিসেবে চিহ্নিত করে স্থানীয় আলেমরা গাছটি কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন এবং করাত মেশিন দিয়ে তা বাস্তবায়ন করেন।

 

জানা গেছে, বটগাছটি স্থানীয় আব্দুর সাত্তার হাওলাদারের মালিকানাধীন ছিল এবং মাত্র দেড় হাজার টাকায় আলেমদের কাছে বিক্রি করা হয়। এ বিষয়ে সাত্তার হাওলাদারের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

 

ঘটনার পর স্থানীয় প্রশাসন ও বন বিভাগ তদন্ত শুরু করেছে। মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াদিয়া শাবাব জানান, বিষয়টি পরিকল্পিত কি না তা যাচাই করে তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মাদারীপুর জেলা সভাপতি মাওলানা হাবিব আহম্মেদ চৌধুরী বলেন, ধর্মবিরোধী কাজের প্রতিবাদেই গাছটি কাটা হয়েছে। তবে স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. বাবুল হোসেন এই ঘটনাকে দুঃখজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত বলে মন্তব্য করে জানান, মানুষকে বোঝানোর মাধ্যমে সচেতন করা উচিত ছিল, কারণ পরিবেশের জন্য গাছ গুরুত্বপূর্ণ।