ঢাকা , বুধবার, ০৭ মে ২০২৫, ২৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৩এফ৪ডি সেচ পদ্ধতিতে চালের আর্সেনিক কমবে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত: বাকৃবির গবেষণা

ধান চাষে ভূগর্ভস্থ পানির আর্সেনিক দূষণজনিত সমস্যা সমাধানে ‘তিনদিন ভেজানো ও চারদিন শুকনো’ (৩এফ৪ডি) ভিত্তিক একটি পরিবর্তিত সেচ কৌশল উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) একদল গবেষক। এই পদ্ধতিতে চালের অজৈব আর্সেনিকের মাত্রা সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস পাবে বলে জানান প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম।

 

তিনি বলেন, বাংলাদেশে অবিরাম জলাবদ্ধতার মাধ্যমে ধান চাষ করলে চালের মধ্যে আর্সেনিকের মাত্রা উদ্বেগজনকভাবে বাড়ে। ৩এফ৪ডি পদ্ধতিতে নিষ্কাশন ছাড়াও কার্যকরভাবে আর্সেনিক হ্রাস করা সম্ভব হয়েছে। টানা তিনটি বোরো মৌসুমে পরিচালিত গবেষণায় দেখা যায়, এই পদ্ধতিতে মাটির আর্দ্রতা কমে গিয়ে রিডক্স পোটেনশিয়াল বৃদ্ধি পায়, ফলে গাছের আর্সেনিক শোষণ কমে।

 

গবেষণায় আরও দেখা গেছে, ৩এফ৪ডি পদ্ধতিতে ধানের ফলন অপরিবর্তিত রেখে সেচের জন্য প্রয়োজনীয় পানির ব্যবহার ৬৫ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত সাশ্রয় করা সম্ভব। এই পদ্ধতি নিরাপদ চাল উৎপাদনের পাশাপাশি ভূগর্ভস্থ পানির উপর চাপ কমায়।

 

জাইকার সহায়তায় পরিচালিত ‘নিরাপদ ও পুষ্টিকর ধান উৎপাদনের জন্য প্রজনন ও পানি ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তির উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় এই গবেষণা পরিচালিত হয়। এ উপলক্ষে বাকৃবির মৃত্তিকা বিজ্ঞান মাঠ গবেষণাগারে স্থানীয় কৃষকদের নিয়ে এক মাঠ দিবসের আয়োজন করা হয়, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক, জাইকা প্রতিনিধিসহ কৃষকরা অংশ নেন।

 

মাঠ দিবসে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ড. সালমা লাইজু বলেন, কৃষকদের প্রযুক্তি গ্রহণে উৎসাহী করতে গবেষণাগুলোকে সহজ ও ঝামেলাহীন করতে হবে। মাঠ পর্যায়ে এই গবেষণার সফলতা কৃষকের জন্য টেকসই সমাধান হয়ে উঠবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

জনপ্রিয়

৩এফ৪ডি সেচ পদ্ধতিতে চালের আর্সেনিক কমবে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত: বাকৃবির গবেষণা

প্রকাশিত: ১৮ ঘন্টা আগে

ধান চাষে ভূগর্ভস্থ পানির আর্সেনিক দূষণজনিত সমস্যা সমাধানে ‘তিনদিন ভেজানো ও চারদিন শুকনো’ (৩এফ৪ডি) ভিত্তিক একটি পরিবর্তিত সেচ কৌশল উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) একদল গবেষক। এই পদ্ধতিতে চালের অজৈব আর্সেনিকের মাত্রা সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস পাবে বলে জানান প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম।

 

তিনি বলেন, বাংলাদেশে অবিরাম জলাবদ্ধতার মাধ্যমে ধান চাষ করলে চালের মধ্যে আর্সেনিকের মাত্রা উদ্বেগজনকভাবে বাড়ে। ৩এফ৪ডি পদ্ধতিতে নিষ্কাশন ছাড়াও কার্যকরভাবে আর্সেনিক হ্রাস করা সম্ভব হয়েছে। টানা তিনটি বোরো মৌসুমে পরিচালিত গবেষণায় দেখা যায়, এই পদ্ধতিতে মাটির আর্দ্রতা কমে গিয়ে রিডক্স পোটেনশিয়াল বৃদ্ধি পায়, ফলে গাছের আর্সেনিক শোষণ কমে।

 

গবেষণায় আরও দেখা গেছে, ৩এফ৪ডি পদ্ধতিতে ধানের ফলন অপরিবর্তিত রেখে সেচের জন্য প্রয়োজনীয় পানির ব্যবহার ৬৫ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত সাশ্রয় করা সম্ভব। এই পদ্ধতি নিরাপদ চাল উৎপাদনের পাশাপাশি ভূগর্ভস্থ পানির উপর চাপ কমায়।

 

জাইকার সহায়তায় পরিচালিত ‘নিরাপদ ও পুষ্টিকর ধান উৎপাদনের জন্য প্রজনন ও পানি ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তির উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় এই গবেষণা পরিচালিত হয়। এ উপলক্ষে বাকৃবির মৃত্তিকা বিজ্ঞান মাঠ গবেষণাগারে স্থানীয় কৃষকদের নিয়ে এক মাঠ দিবসের আয়োজন করা হয়, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক, জাইকা প্রতিনিধিসহ কৃষকরা অংশ নেন।

 

মাঠ দিবসে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ড. সালমা লাইজু বলেন, কৃষকদের প্রযুক্তি গ্রহণে উৎসাহী করতে গবেষণাগুলোকে সহজ ও ঝামেলাহীন করতে হবে। মাঠ পর্যায়ে এই গবেষণার সফলতা কৃষকের জন্য টেকসই সমাধান হয়ে উঠবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।