ঢাকা , রবিবার, ০৪ মে ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
এবার পাকিস্তানি রেঞ্জারকে আটক করেছে বিএসএফ, পাল্টা প্রতিক্রিয়া নিয়ে আশঙ্কা তুরস্কের আকাশসীমা ব্যবহার করতে না পারায় নেতানিয়াহুর আজারবাইজান সফর বাতিল বরগুনার হাটে চাপিলা নামেই চলছে জাটকা বেচাকেনা ডাকাতিয়া নদীতে আবারও অবৈধ বাঁধ: রায়পুরে প্রভাবশালীদের মাছ চাষে হুমকির মুখে পরিবেশ ও কৃষি আইনের জালে অ্যাপল: আদালতের আদেশ অমান্য, মিথ্যা সাক্ষ্যের অভিযোগ আইএমএফ অতিরিক্ত শর্ত চাপালে ঋণ থেকে সরে আসবে বাংলাদেশ: আনিসুজ্জামান চৌধুরী কিডনি রোগে ভুগছেন দুই কোটি মানুষ, সংকট নিরসনে কিনছে এক হাজার ডায়ালাইসিস যন্ত্র হ্যাকড হওয়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজ উদ্ধারে কাজ চলছে নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশ পর্যালোচনায় বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে রিট প্লাস্টিক দূষণ রোধে কঠোর নীতিমালার পথে সরকার

প্লাস্টিক দূষণ রোধে কঠোর নীতিমালার পথে সরকার

প্লাস্টিক ব্যবহারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পরিবেশ দূষণ, যা উদ্বেগজনক হারে প্রভাব ফেলছে মানবস্বাস্থ্য, খাদ্য নিরাপত্তা ও জলবায়ু পরিবর্তনে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বন্ধ বা পুনঃব্যবহারে গুরুত্ব দিতে হবে। সরকারও এই সমস্যা মোকাবেলায় কঠোর নীতিমালার পথে হাঁটছে।

 

সরকারি তথ্যমতে, বাংলাদেশে বছরে সাড়ে আট লাখ টনের বেশি প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হয়, যার মাত্র ৪০ শতাংশ পুনঃব্যবহার হয়। রাজধানী ঢাকায় মাথাপিছু প্লাস্টিক ব্যবহারের পরিমাণ প্রায় ২৪ কেজি, যা দুই দশকে তিনগুণ বেড়েছে। যদিও পলিথিন নিষিদ্ধ, প্রায় ৬১ ভাগ মানুষ এখনো তা ব্যবহার করছে।

 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুনঃব্যবহারযোগ্যতা ও সচেতনতার অভাব, রিসাইকেলিং অব্যবস্থাপনা এবং আইন প্রয়োগে দুর্বলতা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। সমাজবিজ্ঞানী ড. শাহরিয়ার হোসেন এবং পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ড. গাউসিয়া ওয়াহিদুন্নেসা চৌধুরী এই পরিস্থিতি সামাল দিতে নাগরিক সম্পৃক্ততা ও সচেতনতামূলক উদ্যোগ বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন।

 

পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন, একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক নিরুৎসাহিত করতে এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কঠোর নির্দেশনা যুক্ত করে নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করছে সরকার। তিনি পরিবেশ রক্ষায় নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাওয়ার কথাও জানান।

জনপ্রিয়

এবার পাকিস্তানি রেঞ্জারকে আটক করেছে বিএসএফ, পাল্টা প্রতিক্রিয়া নিয়ে আশঙ্কা

প্লাস্টিক দূষণ রোধে কঠোর নীতিমালার পথে সরকার

প্রকাশিত: ৬ ঘন্টা আগে

প্লাস্টিক ব্যবহারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পরিবেশ দূষণ, যা উদ্বেগজনক হারে প্রভাব ফেলছে মানবস্বাস্থ্য, খাদ্য নিরাপত্তা ও জলবায়ু পরিবর্তনে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বন্ধ বা পুনঃব্যবহারে গুরুত্ব দিতে হবে। সরকারও এই সমস্যা মোকাবেলায় কঠোর নীতিমালার পথে হাঁটছে।

 

সরকারি তথ্যমতে, বাংলাদেশে বছরে সাড়ে আট লাখ টনের বেশি প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হয়, যার মাত্র ৪০ শতাংশ পুনঃব্যবহার হয়। রাজধানী ঢাকায় মাথাপিছু প্লাস্টিক ব্যবহারের পরিমাণ প্রায় ২৪ কেজি, যা দুই দশকে তিনগুণ বেড়েছে। যদিও পলিথিন নিষিদ্ধ, প্রায় ৬১ ভাগ মানুষ এখনো তা ব্যবহার করছে।

 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুনঃব্যবহারযোগ্যতা ও সচেতনতার অভাব, রিসাইকেলিং অব্যবস্থাপনা এবং আইন প্রয়োগে দুর্বলতা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। সমাজবিজ্ঞানী ড. শাহরিয়ার হোসেন এবং পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ড. গাউসিয়া ওয়াহিদুন্নেসা চৌধুরী এই পরিস্থিতি সামাল দিতে নাগরিক সম্পৃক্ততা ও সচেতনতামূলক উদ্যোগ বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন।

 

পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন, একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক নিরুৎসাহিত করতে এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কঠোর নির্দেশনা যুক্ত করে নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করছে সরকার। তিনি পরিবেশ রক্ষায় নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাওয়ার কথাও জানান।