ঢাকা , সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
গ্রাম আদালত বিলুপ্তির সুপারিশ করেছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন বাংলাদেশে কোনো সংখ্যালঘু নির্যাতন হয় না: ধর্ম উপদেষ্টা মার্কিন ভ্রমণ সতর্কতা নিয়ে ভারতীয় কিছু সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন বিভ্রান্তিকর: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদোন্নতির রায় স্থগিত করলেন চেম্বার আদালত দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৬.৭০ বিলিয়ন ডলার: বাংলাদেশ ব্যাংক ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা নিয়ে পিএসসির নতুন বিজ্ঞপ্তি চবির সমাবর্তনের ১৮ হাজার সনদে নিজ হাতে স্বাক্ষর করছেন উপাচার্য উখিয়ায় চাকমা তরুণীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে রোহিঙ্গা যুবক আটক বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন প্লাটফর্মের বিলুপ্তি চান সাধারণ শিক্ষার্থীরা টঙ্গীতে চায়ের দোকান থেকে ডেকে নিয়ে যুবককে কুপিয়ে হত্যা

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে হাজারো জনতার বিক্ষোভ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে আবারও বিক্ষোভে নেমেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ। ১৯ এপ্রিল, শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের রাস্তায় নেমে আসে হাজার হাজার মানুষ। ‘৫০৫০১’ নামে পরিচিত এই বিক্ষোভ মার্কিন বিপ্লবের সূচনার ২৫০তম বার্ষিকীকে কেন্দ্র করে আয়োজিত হয়। এর অর্থ ‘৫০টি প্রতিবাদ, ৫০টি অঙ্গরাজ্য, ১টি আন্দোলন’। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি, নিউইয়র্ক এবং শিকাগোসহ প্রধান শহরগুলো বিক্ষোভ হয়। হোয়াইট হাউজের বাইরে টেসলা ডিলারশিপগুলোর সামনে এবং বিভিন্ন শহরের কেন্দ্রে বিভিন্ন দাবিদাওয়া তুলে ধরেন বিক্ষোভকারীরা। ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসীদের বিতাড়ন, সরকারি চাকরি থেকে ছাঁটাই, গাজা ও ইউক্রেন নীতির বিরোধীরা বিক্ষোভে অংশ নেন।

অনেক বিক্ষোভকারী ‘রাজতন্ত্রকে না বলুন’ লেখা পোস্টার বহন করছিলেন, যা ছিল ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে বিপ্লবের সূচনার স্মরণে একটি বার্তা। এছাড়া ‘শ্রমিকদের অবশ্য শক্তি থাকা উচিত’, ‘ইসরায়েলকে অস্ত্র দেওয়া বন্ধ করুন’, ‘অভিবাসীদের সুরক্ষা দাও, পৃথিবীকে রক্ষা করো’, অভিবাসীদের স্বাগত’সহ বিভিন্ন স্লোগান লেখা পোস্টার তারা বহন করছিল। বিক্ষোভের সময় ওয়াশিংটন মনুমেন্টের পাশে বিভিন্ন ব্যানারে লেখা ছিল, ‘ঘৃণা কোনো জাতিকে মহান করে না’, ‘সবার জন্য সমান অধিকার মানে আপনার অধিকার কমে যাওয়া নয়’।

কোনো কোনো বিক্ষোভকারীকে ফিলিস্তিনি পতাকা ওড়াতে এবং ফিলিস্তিনি রুমাল কেফিয়েহ গলায় জড়াতে দেখা গেছে। তাঁরা ফিলিস্তিনিদের নির্বিচারে হত্যার প্রতিবাদ জানান। অনেকে ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন বা ফিলিস্তিন মুক্ত’ বলে স্লোগান দেন।

ট্রাম্প প্রশাসন সম্প্রতি অনেক বিদেশি শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার করেছে। তাঁদের অনেককে দেশে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা চলছে। এসব শিক্ষার্থীদের অনেকে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন। বর্তমান প্রশাসনের জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য নীতি নিয়েও অনেকের আপত্তি রয়েছে। অধিকার গোষ্ঠীগুলো ট্রাম্পের এসব নীতি সমালোচনা করে আসছে।

যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক বিক্ষোভ ক্রমেই বাড়ছে। ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে প্রথম বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়েছিল ৫ এপ্রিল। ‘হ্যান্ডস অফ’ নামের ওই আন্দোলনেও ব্যাপক জনসমাগম হয়েছিল। সেটি ছিল শনিবারের চেয়েও বড় বিক্ষোভ। সে সময় ৫০টি অঙ্গরাজ্যের ১,২০০টি স্থানে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়, যা ছিল ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় জাতীয় প্রতিবাদ। সাম্প্রতিক জরিপে দেখা যাচ্ছে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা কমছে।

‘৫০৫০১’ আগামী পহেলা মে আবারও যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে পরবর্তী বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে। এই দিনের কর্মসূচির নাম ‘মে দিবসের শক্তি’।

জনপ্রিয়

গ্রাম আদালত বিলুপ্তির সুপারিশ করেছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে হাজারো জনতার বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ৮ ঘন্টা আগে

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে আবারও বিক্ষোভে নেমেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ। ১৯ এপ্রিল, শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের রাস্তায় নেমে আসে হাজার হাজার মানুষ। ‘৫০৫০১’ নামে পরিচিত এই বিক্ষোভ মার্কিন বিপ্লবের সূচনার ২৫০তম বার্ষিকীকে কেন্দ্র করে আয়োজিত হয়। এর অর্থ ‘৫০টি প্রতিবাদ, ৫০টি অঙ্গরাজ্য, ১টি আন্দোলন’। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি, নিউইয়র্ক এবং শিকাগোসহ প্রধান শহরগুলো বিক্ষোভ হয়। হোয়াইট হাউজের বাইরে টেসলা ডিলারশিপগুলোর সামনে এবং বিভিন্ন শহরের কেন্দ্রে বিভিন্ন দাবিদাওয়া তুলে ধরেন বিক্ষোভকারীরা। ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসীদের বিতাড়ন, সরকারি চাকরি থেকে ছাঁটাই, গাজা ও ইউক্রেন নীতির বিরোধীরা বিক্ষোভে অংশ নেন।

অনেক বিক্ষোভকারী ‘রাজতন্ত্রকে না বলুন’ লেখা পোস্টার বহন করছিলেন, যা ছিল ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে বিপ্লবের সূচনার স্মরণে একটি বার্তা। এছাড়া ‘শ্রমিকদের অবশ্য শক্তি থাকা উচিত’, ‘ইসরায়েলকে অস্ত্র দেওয়া বন্ধ করুন’, ‘অভিবাসীদের সুরক্ষা দাও, পৃথিবীকে রক্ষা করো’, অভিবাসীদের স্বাগত’সহ বিভিন্ন স্লোগান লেখা পোস্টার তারা বহন করছিল। বিক্ষোভের সময় ওয়াশিংটন মনুমেন্টের পাশে বিভিন্ন ব্যানারে লেখা ছিল, ‘ঘৃণা কোনো জাতিকে মহান করে না’, ‘সবার জন্য সমান অধিকার মানে আপনার অধিকার কমে যাওয়া নয়’।

কোনো কোনো বিক্ষোভকারীকে ফিলিস্তিনি পতাকা ওড়াতে এবং ফিলিস্তিনি রুমাল কেফিয়েহ গলায় জড়াতে দেখা গেছে। তাঁরা ফিলিস্তিনিদের নির্বিচারে হত্যার প্রতিবাদ জানান। অনেকে ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন বা ফিলিস্তিন মুক্ত’ বলে স্লোগান দেন।

ট্রাম্প প্রশাসন সম্প্রতি অনেক বিদেশি শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার করেছে। তাঁদের অনেককে দেশে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা চলছে। এসব শিক্ষার্থীদের অনেকে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন। বর্তমান প্রশাসনের জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য নীতি নিয়েও অনেকের আপত্তি রয়েছে। অধিকার গোষ্ঠীগুলো ট্রাম্পের এসব নীতি সমালোচনা করে আসছে।

যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক বিক্ষোভ ক্রমেই বাড়ছে। ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে প্রথম বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়েছিল ৫ এপ্রিল। ‘হ্যান্ডস অফ’ নামের ওই আন্দোলনেও ব্যাপক জনসমাগম হয়েছিল। সেটি ছিল শনিবারের চেয়েও বড় বিক্ষোভ। সে সময় ৫০টি অঙ্গরাজ্যের ১,২০০টি স্থানে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়, যা ছিল ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় জাতীয় প্রতিবাদ। সাম্প্রতিক জরিপে দেখা যাচ্ছে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা কমছে।

‘৫০৫০১’ আগামী পহেলা মে আবারও যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে পরবর্তী বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে। এই দিনের কর্মসূচির নাম ‘মে দিবসের শক্তি’।