ঢাকা , শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে আরাফা: তাওবা ও রহমতের মহান দিন হামজা চৌধুরীর আগমনে জোয়ার বাংলাদেশ ফুটবলে, ভুটানের বিপক্ষে আজ প্রস্তুতি ম্যাচ রিলসের নামে অশ্লীলতার প্রতিযোগিতা: ভিউয়ের পেছনে দৌড়ে সমাজ হারাচ্ছে মূল্যবোধ আজ মিনায় অবস্থানের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা ভাঙ্গায় মাহিন্দ্রা-বাস সংঘর্ষে ৪ জন নিহত, আহত ৩ মাদরাসা ধ্বংস ঠেকাতে সরকারের বিরুদ্ধে আইনী লড়াই চালিয়ে যাবে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ মাংস বিক্রেতাদের সরাসরি গুলি করার হুমকি দিয়েছেন ভারতের গাজিয়াবাদ বিধায়ক গুর্জ ইসরাইলের সাথে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক ছিন্ন ও ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি বাতিল করেছে স্পেন বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়নি: এনবিআর চেয়ারম্যান

ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানে বাড়ছে বিদেশি পর্যটকদের ভিড়

ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের হেরাত প্রদেশে পর্যটন খাতে দৃষ্টিনন্দন অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে। গত ১৬ এপ্রিল প্রদেশটির তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ জানিয়েছে, গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। পর্যটন বৃদ্ধির এই ধারা এসেছে উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা, আন্তর্জাতিক মানের হোটেল, পর্যটকদের জন্য সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা এবং ঐতিহাসিক স্থানগুলোতে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা তৈরির মাধ্যমে।

‘আফগান ট্যুর’-এর প্রধান ওয়াকিল আহমাদ জাহিদমাল জানান, হেরাতের হোটেলগুলোর নাম যেমন আন্তর্জাতিক, তেমনি সেবাও আন্তর্জাতিক মানের। শয়নকক্ষ, বসার স্থান এবং খাদ্য ব্যবস্থাপনাসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে পর্যটকদের জন্য সর্বোচ্চ মানের সেবা প্রদান করা হয়। হেরাতের একটি হোটেলের ব্যবস্থাপক ওয়াহিদ আহমেদ আফজালি বলেন, বিদেশি পর্যটকদের হেরাতে এসে দেখা উচিত যে, ইমারতে ইসলামিয়ার নেতৃত্বে আফগানিস্তানে কীভাবে বিলাসবহুল ও আধুনিক হোটেল নির্মিত হয়েছে। এখানকার জনগণ অতিথিপরায়ণ, উষ্ণ হৃদয়ের ও বন্ধুত্বপূর্ণ—যা একজন পর্যটকের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয়।

হেরাতের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের পরিচালক হামিদুল্লাহ ঘিয়াসি বলেন, ইমারতে ইসলামিয়ার অধীনে সারা দেশে নিরাপত্তা বজায় রয়েছে। বিশেষ করে হেরাতে পর্যটকদের জন্য আধুনিক হোটেল, পরিবহন, গাইড ও অন্যান্য সেবা উন্নত করা হয়েছে। গত তিন বছরে প্রদেশটিতে পর্যটন শিল্পের বিকাশের জন্য ব্যাপক সুবিধা প্রদান করা হয়েছে, যার ফলে পর্যটকদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।

শত শত ঐতিহাসিক নিদর্শন, ইসলামি স্থাপত্য ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের কারণে হেরাত সব সময়ই বিদেশি পর্যটকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য ছিল। তবে বর্তমানে উন্নত নিরাপত্তা ও সুযোগ-সুবিধার ফলে এই আগ্রহ আরও বহুগুণে বেড়েছে। পর্যটকেরা এখন নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় ভ্রমণের সুযোগ পাচ্ছেন, যা আগের আফগানিস্তান থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি বাস্তবতা তুলে ধরছে।

কান্দাহার প্রদেশের পর্যটক গোল মোহাম্মদ আছাকজাই জানান, আফগানিস্তানের প্রতিটি প্রদেশ এখন নিরাপদ। তবে হেরাতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য তাকে বিশেষভাবে মুগ্ধ করেছে। তার মতে, আরও উন্নত পার্ক, হোটেল ও বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলা হলে হেরাত বিশ্বের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে।

এদিকে সংস্কৃতি বিশেষজ্ঞ আব্দুল কাইয়ুম ওয়াজিরি বলেন, আফগানিস্তানের পর্যটন সম্ভাবনা বিশ্বকে পরিচয় করিয়ে দিতে হলে আরও মানসম্মত হোটেল, রেস্টুরেন্ট, পরিবহন নেটওয়ার্ক এবং তথ্যভিত্তিক বই-পুস্তকের ব্যবস্থা করতে হবে। সেইসঙ্গে হেরাতের ঐতিহাসিক স্থানগুলোর সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধার জরুরি।

জনপ্রিয়

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে

ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানে বাড়ছে বিদেশি পর্যটকদের ভিড়

প্রকাশিত: ১২:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের হেরাত প্রদেশে পর্যটন খাতে দৃষ্টিনন্দন অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে। গত ১৬ এপ্রিল প্রদেশটির তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ জানিয়েছে, গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। পর্যটন বৃদ্ধির এই ধারা এসেছে উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা, আন্তর্জাতিক মানের হোটেল, পর্যটকদের জন্য সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা এবং ঐতিহাসিক স্থানগুলোতে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা তৈরির মাধ্যমে।

‘আফগান ট্যুর’-এর প্রধান ওয়াকিল আহমাদ জাহিদমাল জানান, হেরাতের হোটেলগুলোর নাম যেমন আন্তর্জাতিক, তেমনি সেবাও আন্তর্জাতিক মানের। শয়নকক্ষ, বসার স্থান এবং খাদ্য ব্যবস্থাপনাসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে পর্যটকদের জন্য সর্বোচ্চ মানের সেবা প্রদান করা হয়। হেরাতের একটি হোটেলের ব্যবস্থাপক ওয়াহিদ আহমেদ আফজালি বলেন, বিদেশি পর্যটকদের হেরাতে এসে দেখা উচিত যে, ইমারতে ইসলামিয়ার নেতৃত্বে আফগানিস্তানে কীভাবে বিলাসবহুল ও আধুনিক হোটেল নির্মিত হয়েছে। এখানকার জনগণ অতিথিপরায়ণ, উষ্ণ হৃদয়ের ও বন্ধুত্বপূর্ণ—যা একজন পর্যটকের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয়।

হেরাতের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের পরিচালক হামিদুল্লাহ ঘিয়াসি বলেন, ইমারতে ইসলামিয়ার অধীনে সারা দেশে নিরাপত্তা বজায় রয়েছে। বিশেষ করে হেরাতে পর্যটকদের জন্য আধুনিক হোটেল, পরিবহন, গাইড ও অন্যান্য সেবা উন্নত করা হয়েছে। গত তিন বছরে প্রদেশটিতে পর্যটন শিল্পের বিকাশের জন্য ব্যাপক সুবিধা প্রদান করা হয়েছে, যার ফলে পর্যটকদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।

শত শত ঐতিহাসিক নিদর্শন, ইসলামি স্থাপত্য ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের কারণে হেরাত সব সময়ই বিদেশি পর্যটকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য ছিল। তবে বর্তমানে উন্নত নিরাপত্তা ও সুযোগ-সুবিধার ফলে এই আগ্রহ আরও বহুগুণে বেড়েছে। পর্যটকেরা এখন নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় ভ্রমণের সুযোগ পাচ্ছেন, যা আগের আফগানিস্তান থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি বাস্তবতা তুলে ধরছে।

কান্দাহার প্রদেশের পর্যটক গোল মোহাম্মদ আছাকজাই জানান, আফগানিস্তানের প্রতিটি প্রদেশ এখন নিরাপদ। তবে হেরাতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য তাকে বিশেষভাবে মুগ্ধ করেছে। তার মতে, আরও উন্নত পার্ক, হোটেল ও বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলা হলে হেরাত বিশ্বের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে।

এদিকে সংস্কৃতি বিশেষজ্ঞ আব্দুল কাইয়ুম ওয়াজিরি বলেন, আফগানিস্তানের পর্যটন সম্ভাবনা বিশ্বকে পরিচয় করিয়ে দিতে হলে আরও মানসম্মত হোটেল, রেস্টুরেন্ট, পরিবহন নেটওয়ার্ক এবং তথ্যভিত্তিক বই-পুস্তকের ব্যবস্থা করতে হবে। সেইসঙ্গে হেরাতের ঐতিহাসিক স্থানগুলোর সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধার জরুরি।