রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিরসনের সম্ভাব্য শান্তিচুক্তির অংশ হিসেবে রাশিয়ার দখলে থাকা ক্রিমিয়া অঞ্চলকে মস্কোর অধীনে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার ব্লুমবার্গ নিউজের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। সংস্থাটি জানায়, এখনো এ বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি, তবে আলোচনার স্তরে বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে।
২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া অঞ্চল দখল করে নেয় রাশিয়া। সেই থেকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে আসছেন।
একই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেন, “শান্তিচুক্তির প্রচেষ্টা যদি অতিমাত্রায় জটিল হয়ে পড়ে, তাহলে আমরা কিছুটা পেছনে সরে আসবো।” তবে তিনি এটাও স্পষ্ট করেন যে, আলোচনা থেকে পুরোপুরি সরে যাওয়ার পরিকল্পনা তার নেই।
তিনি আরও জানান, রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে সাম্প্রতিক আলোচনাকে তিনি “খুবই ভালো ও ফলপ্রসূ” বলে মনে করেছেন এবং শান্তির সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদী।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ সম্প্রতি রাশিয়ার কমারসান্ট পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি বাস্তবভিত্তিক, পারস্পরিকভাবে লাভজনক শান্তিচুক্তিতে পৌঁছানো সহজ হবে না, তবে আলোচনা চলছে।”
তিনি সতর্ক করেন, “আমরা জানি কোন ধরনের প্রস্তাব আমাদের ফাঁদে ফেলতে চায়, তাই সেদিকে আমরা সর্তক দৃষ্টি রাখছি।”
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানিয়েছেন, শান্তিচুক্তি নিয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি না হলে ট্রাম্প প্রশাসন সাময়িকভাবে আলোচনার প্রচেষ্টা থেকে সরে আসার কথা ভাবতে পারে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সম্ভাবনা বাস্তবায়িত হলে তা হবে এই দীর্ঘ যুদ্ধের একটি মোড় ঘোরানো পদক্ষেপ। তবে এর ফলে ইউক্রেন ও পশ্চিমা মিত্রদের মধ্যে বিভাজনও দেখা দিতে পারে।