ঢাকা , শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে আরাফা: তাওবা ও রহমতের মহান দিন হামজা চৌধুরীর আগমনে জোয়ার বাংলাদেশ ফুটবলে, ভুটানের বিপক্ষে আজ প্রস্তুতি ম্যাচ রিলসের নামে অশ্লীলতার প্রতিযোগিতা: ভিউয়ের পেছনে দৌড়ে সমাজ হারাচ্ছে মূল্যবোধ আজ মিনায় অবস্থানের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা ভাঙ্গায় মাহিন্দ্রা-বাস সংঘর্ষে ৪ জন নিহত, আহত ৩ মাদরাসা ধ্বংস ঠেকাতে সরকারের বিরুদ্ধে আইনী লড়াই চালিয়ে যাবে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ মাংস বিক্রেতাদের সরাসরি গুলি করার হুমকি দিয়েছেন ভারতের গাজিয়াবাদ বিধায়ক গুর্জ ইসরাইলের সাথে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক ছিন্ন ও ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি বাতিল করেছে স্পেন বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়নি: এনবিআর চেয়ারম্যান

চাঁপাইনবাবগঞ্জে সড়ক মেরামতের কাজে চাঁদা না পেয়ে বাধা: ইউপি সদস্য ও পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার গোবরাতলায় সরকারি রাস্তা মেরামতের কাজে চাঁদা না পেয়ে বাধা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া প্রদানের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য রাফেজ মীরের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ঠিকাদার মো. ডালিম মিয়া সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

 

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) বাস্তবায়নে গকুল-খিন্নিতলা সড়ক মেরামতের কাজ শুরু করেন ঠিকাদার ডালিম মিয়া। গত ১১ এপ্রিল কাজের স্থানে উপস্থিত হয়ে ইউপি সদস্য রাফেজ মীর চাঁদা না পেয়ে কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন এবং শ্রমিকদের গালিগালাজ করেন। পরে রাফেজ মীরের বাবা এরমান মীর ও ভাই রাসেল মীর দেশীয় অস্ত্রসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের হুমকি দেন। স্থানীয়দের প্রতিরোধে তারা অস্ত্র ফেলে পালিয়ে যান, যা পুলিশ পরবর্তীতে উদ্ধার করে।

 

স্থানীয় বাসিন্দা তাসেম আলী বলেন, “সড়কটি দীর্ঘদিন খারাপ অবস্থায় ছিল। এখন মেরামতের কাজ শুরু হওয়ায় আমরা খুশি ছিলাম। কিন্তু কাজ বন্ধ করতে চাঁদা দাবি করায় ক্ষোভ বিরাজ করছে। আমরা চাই দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।”

 

প্রত্যক্ষদর্শী সুমন আলী জানান, “ক্ষমতার অপব্যবহার করে ইউপি সদস্য কাজ বন্ধ করতে চেয়েছিলেন। গ্রামবাসীর প্রতিরোধে অস্ত্র ফেলে পালিয়ে যান। এরপর গ্রামবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে তার বাড়ি ঘেরাও করলেও সমবায় নেতাদের অনুরোধে ফিরে আসেন।”

 

অভিযুক্ত ইউপি সদস্য রাফেজ মীর অবশ্য চাঁদা দাবির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন, “আমি শুধু ঠিকাদারকে চা খাওয়ার জন্য ফোন দিয়েছিলাম। কাজ বন্ধ করিনি। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে।”

 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিউর রহমান জানান, “ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে, প্রমাণ মিললে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

 

এ ঘটনায় উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো. আজহারুল ইসলাম ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাছমিনা খাতুনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি।

 

স্থানীয়দের দাবি, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করে উন্নয়ন কাজ অব্যাহত রাখা হোক।

জনপ্রিয়

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে

চাঁপাইনবাবগঞ্জে সড়ক মেরামতের কাজে চাঁদা না পেয়ে বাধা: ইউপি সদস্য ও পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ

প্রকাশিত: ১২:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার গোবরাতলায় সরকারি রাস্তা মেরামতের কাজে চাঁদা না পেয়ে বাধা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া প্রদানের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য রাফেজ মীরের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ঠিকাদার মো. ডালিম মিয়া সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

 

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) বাস্তবায়নে গকুল-খিন্নিতলা সড়ক মেরামতের কাজ শুরু করেন ঠিকাদার ডালিম মিয়া। গত ১১ এপ্রিল কাজের স্থানে উপস্থিত হয়ে ইউপি সদস্য রাফেজ মীর চাঁদা না পেয়ে কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন এবং শ্রমিকদের গালিগালাজ করেন। পরে রাফেজ মীরের বাবা এরমান মীর ও ভাই রাসেল মীর দেশীয় অস্ত্রসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের হুমকি দেন। স্থানীয়দের প্রতিরোধে তারা অস্ত্র ফেলে পালিয়ে যান, যা পুলিশ পরবর্তীতে উদ্ধার করে।

 

স্থানীয় বাসিন্দা তাসেম আলী বলেন, “সড়কটি দীর্ঘদিন খারাপ অবস্থায় ছিল। এখন মেরামতের কাজ শুরু হওয়ায় আমরা খুশি ছিলাম। কিন্তু কাজ বন্ধ করতে চাঁদা দাবি করায় ক্ষোভ বিরাজ করছে। আমরা চাই দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।”

 

প্রত্যক্ষদর্শী সুমন আলী জানান, “ক্ষমতার অপব্যবহার করে ইউপি সদস্য কাজ বন্ধ করতে চেয়েছিলেন। গ্রামবাসীর প্রতিরোধে অস্ত্র ফেলে পালিয়ে যান। এরপর গ্রামবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে তার বাড়ি ঘেরাও করলেও সমবায় নেতাদের অনুরোধে ফিরে আসেন।”

 

অভিযুক্ত ইউপি সদস্য রাফেজ মীর অবশ্য চাঁদা দাবির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন, “আমি শুধু ঠিকাদারকে চা খাওয়ার জন্য ফোন দিয়েছিলাম। কাজ বন্ধ করিনি। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে।”

 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিউর রহমান জানান, “ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে, প্রমাণ মিললে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

 

এ ঘটনায় উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো. আজহারুল ইসলাম ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাছমিনা খাতুনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি।

 

স্থানীয়দের দাবি, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করে উন্নয়ন কাজ অব্যাহত রাখা হোক।