ঢাকা , বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
আগামী পাঁচ দিন ঝড়বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা, তাপমাত্রা থাকবে প্রায় অপরিবর্তিত কারাগারে নববর্ষ, তবু হাস্যোজ্জ্বল শাজাহান খান বললেন: ‘বাইরের চেয়ে ভিতরেই ভালো আছি’ দেশ-বিদেশে এস আলম গ্রুপের আরও জমি ও বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের সন্ধান গাইবান্ধায় পরিত্যক্ত কুপে মিলল অজ্ঞাত পরিচয় কিশোরের অর্ধগলিত লাশ নেত্রকোনায় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ, মুদি দোকানি গ্রেফতার নোয়াখালীতে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২ আউটসোর্সিং সেবা কর্মীদের জন্য ‘সেবা গ্রহণ নীতিমালা-২০২৫’ জারি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তির আবেদন শুরু সাতটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন: পাঁচটিতে বাদ পড়েছে নজরুল ইসলাম বাবুর নাম ‘প্রো-বাংলাদেশ’ নীতিই অন্তর্বর্তী সরকারের কূটনৈতিক অগ্রাধিকার: প্রেস সচিব

চারুকলায় আবারও নির্মিত হচ্ছে “স্বৈরাচারের প্রতিকৃতি”: আগুনের পর জবাব দিচ্ছেন শিল্পীরা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের নববর্ষ আনন্দ শোভাযাত্রার মূল মোটিফ “স্বৈরাচারের প্রতিকৃতি” আবারও নতুন করে নির্মাণ শুরু হয়েছে। আগুনে পুড়ে যাওয়া আগের শিল্পকর্মটি ধ্বংস হলেও, চারুকলার শিল্পীরা নতুন উদ্যমে ফের তৈরি করছেন প্রতিবাদের এই প্রতীক।

 

শনিবার (১২ এপ্রিল) রাতে চারুকলা পরিদর্শনে এসে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, “আমরা একটি জাতীয় দায়িত্ব পালন করছি। ষড়যন্ত্র থাকবেই, কিন্তু আল্লাহর উপর ভরসা রেখে, মানুষের পরিশ্রমে আমরা এগিয়ে যাবো। শিল্পীদের ওপরই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এই প্রতিকৃতি ফের নির্মাণের।”

তিনি আরও জানান, সংশ্লিষ্ট সকলকে সহযোগিতার আহ্বান জানানো হয়েছে। চারুকলায় এরই মধ্যে ককশীটসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এসে গেছে, এবং শিল্পীরা দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।

 

ঢাবি প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমদ বলেন—

“এক মাস ধরে নির্মিত একটি শিল্পকর্ম এক দিনে বানানো কঠিন। তবে শিল্পীরা চিন্তা-ভাবনা করে যা করবেন, সেটা তাঁদের দক্ষতার ওপরই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”

 

অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন—

“শিল্পীদের স্পিরিট আমি দ্বিগুণ দেখলাম। যেভাবে তারা নাশকতার পরেও দাঁড়িয়েছে, তা সত্যিই অভাবনীয়। দেশবাসীকে আহ্বান জানাই, আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে এই ঐতিহ্যকে আরও উচ্চতায় নিয়ে যেতে।”

 

চারুকলার তৈরি “স্বৈরাচারের প্রতিকৃতি”তে রহস্যজনকভাবে আগুন লেগে যাওয়ার ঘটনাটি নিয়ে ইতোমধ্যে সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

 

শিল্পীরা বলছেন—

এটি ছিল একটি প্রতীকী প্রতিবাদ ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারবিরোধী চেতনার।

শিল্পীরা আরো বলেছেন, “এটি ছিল পরিকল্পিত ঘটনা, নাশকতার মাধ্যমে শিল্পীদের মনোবল দমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা।”

জনপ্রিয়

আগামী পাঁচ দিন ঝড়বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা, তাপমাত্রা থাকবে প্রায় অপরিবর্তিত

চারুকলায় আবারও নির্মিত হচ্ছে “স্বৈরাচারের প্রতিকৃতি”: আগুনের পর জবাব দিচ্ছেন শিল্পীরা

প্রকাশিত: ০৫:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের নববর্ষ আনন্দ শোভাযাত্রার মূল মোটিফ “স্বৈরাচারের প্রতিকৃতি” আবারও নতুন করে নির্মাণ শুরু হয়েছে। আগুনে পুড়ে যাওয়া আগের শিল্পকর্মটি ধ্বংস হলেও, চারুকলার শিল্পীরা নতুন উদ্যমে ফের তৈরি করছেন প্রতিবাদের এই প্রতীক।

 

শনিবার (১২ এপ্রিল) রাতে চারুকলা পরিদর্শনে এসে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, “আমরা একটি জাতীয় দায়িত্ব পালন করছি। ষড়যন্ত্র থাকবেই, কিন্তু আল্লাহর উপর ভরসা রেখে, মানুষের পরিশ্রমে আমরা এগিয়ে যাবো। শিল্পীদের ওপরই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এই প্রতিকৃতি ফের নির্মাণের।”

তিনি আরও জানান, সংশ্লিষ্ট সকলকে সহযোগিতার আহ্বান জানানো হয়েছে। চারুকলায় এরই মধ্যে ককশীটসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এসে গেছে, এবং শিল্পীরা দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।

 

ঢাবি প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমদ বলেন—

“এক মাস ধরে নির্মিত একটি শিল্পকর্ম এক দিনে বানানো কঠিন। তবে শিল্পীরা চিন্তা-ভাবনা করে যা করবেন, সেটা তাঁদের দক্ষতার ওপরই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”

 

অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন—

“শিল্পীদের স্পিরিট আমি দ্বিগুণ দেখলাম। যেভাবে তারা নাশকতার পরেও দাঁড়িয়েছে, তা সত্যিই অভাবনীয়। দেশবাসীকে আহ্বান জানাই, আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে এই ঐতিহ্যকে আরও উচ্চতায় নিয়ে যেতে।”

 

চারুকলার তৈরি “স্বৈরাচারের প্রতিকৃতি”তে রহস্যজনকভাবে আগুন লেগে যাওয়ার ঘটনাটি নিয়ে ইতোমধ্যে সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

 

শিল্পীরা বলছেন—

এটি ছিল একটি প্রতীকী প্রতিবাদ ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারবিরোধী চেতনার।

শিল্পীরা আরো বলেছেন, “এটি ছিল পরিকল্পিত ঘটনা, নাশকতার মাধ্যমে শিল্পীদের মনোবল দমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা।”