ভারত দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশকে যে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা দিয়ে আসছিল, তা বাতিল করেছে। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ভারতীয় কেন্দ্রীয় সরকার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে তৃতীয় দেশে পণ্য রপ্তানির জন্য ভারতীয় স্থল শুল্ক স্টেশন (LCS) ব্যবহার করার সুযোগ আর থাকবে না।
২০২০ সালের জুনে ভারত বাংলাদেশকে এই সুবিধা দিয়েছিল, যা ভুটান, নেপাল এবং মিয়ানমারসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে বাংলাদেশের রপ্তানি সহজ করেছিল। তবে, সম্প্রতি ভারতীয় রপ্তানিকারকরা বিশেষ করে পোশাক খাতের শুল্ক সুবিধা বাতিলের আহ্বান জানালে, ভারতের সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভারতের শুল্ক বিভাগের আগের সার্কুলার বাতিল করা হয়েছে এবং এটি তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে। যদিও আগের প্রক্রিয়া অনুযায়ী, ভারতীয় ভূমিতে প্রবেশ করা বাংলাদেশি কার্গো এখনও ভারতে চলে যেতে পারবে।
ভারতীয় বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরা এই সিদ্ধান্তকে ভারতীয় রপ্তানি খাতের জন্য সহায়ক হিসেবে দেখছেন, তবে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকদের জন্য এটি একটি বড় ধাক্কা হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি এবং আমদানি কার্যক্রমে দেরি, উচ্চ ব্যয় এবং অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হতে পারে।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (WTO) নিয়ম অনুযায়ী, স্থলবেষ্টিত দেশগুলোর জন্য ট্রানজিট সুবিধা বাধাহীনভাবে দিতে হয়, যা এই সিদ্ধান্তের ফলে বাধাগ্রস্ত হতে পারে, বিশেষ করে নেপাল এবং ভুটানের মতো স্থলবেষ্টিত দেশগুলোর ক্ষেত্রে।