চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানায় দায়ের হওয়া জোড়া খুনের মামলায় গ্রেপ্তার দুই আসামি মো. মানিক ও মো. বেলালের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ার এই আদেশ দেন।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন জানান, পুলিশ আসামিদের সাত দিনের রিমান্ড চাইলেও আদালত চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
একই মামলায় সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদকে হুকুমের আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনও মঞ্জুর হয়েছে। তাঁর স্ত্রী তামান্না শারমিনকেও আসামি করা হয়েছে।
২৯ মার্চ রাতে কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতু সংলগ্ন এলাকায় একটি প্রাইভেট কারে হামলা চালানো হয়।
পাঁচটি মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা প্রাইভেট কারটিকে ধাওয়া করে এবং এলোপাতাড়ি গুলি চালায়।পাল্টা গুলি চালান গাড়ির আরোহীরাও।ঘটনাস্থলেই নিহত হন বখতিয়ার হোসেন (৩০) ও মো. আবদুল্লাহ (৩২)—তারা সন্ত্রাসী সরোয়ার হোসেনের অনুসারী বলে পরিচিত।গাড়িতে সরোয়ার হোসেনও ছিলেন, তবে তিনি রক্ষা পান।মামলায় দাবি করা হয়, ছোট সাজ্জাদ ও সরোয়ারের মধ্যে বিরোধ থেকেই এ হামলা হয়েছে।ফিরোজা বেগম, নিহত বখতিয়ারের মা, ৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন:
ছোট সাজ্জাদ (হুকুমদাতা), তামান্না শারমিন (সাজ্জাদের স্ত্রী), মো. হাছান, মোবারক হোসেন, মো. খোরশেদ, মো. রায়হান, মো. বোরহান।
বেলাল ও মানিককে সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে শনাক্ত করে পুলিশ গত বুধবার রাতে গ্রেপ্তার করে।
এই জোড়া খুনের ঘটনায় চট্টগ্রামের অপরাধ জগতের পুরনো বিরোধ এবং আধিপত্য বিস্তারের চিত্র উঠে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত অব্যাহত আছে এবং আরও গ্রেপ্তারের সম্ভাবনা রয়েছে।