ঢাকা , রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ‘শহীদ তুরাব স্ট্যান্ড’ নামকরণ চার বছরে এসএসসি পরীক্ষার্থী কমেছে তিন লাখের বেশি চাঁদপুরে পুকুর খননের সময় মিলল পুরনো থ্রি নট থ্রি রাইফেল ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে আইন উপদেষ্টা পদে নিয়োগ প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছুরিকাঘাতে নিহত, অভিযুক্ত একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানে বাড়ছে বিদেশি পর্যটকদের ভিড় ক্রিমিয়া নিয়ে ছাড়? শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে রাশিয়াকে স্বীকৃতি দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ব্লুমবার্গ যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ইয়েমেনের রাস ঈসা বন্দরে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮০, আহত ১৭১ দিলীপ ঘোষের বিয়ে ঘিরে প্রশ্ন: আরএসএস প্রচারকেরা কি বিয়ে করতে পারেন? সংগঠনটির প্রচারক ছিলেন মোদিও নিখোঁজের ১৪ ঘণ্টা পর চট্টগ্রামে শিশুর লাশ উদ্ধার

গুলিবিদ্ধ শিশু মুসা দেশে ফিরেছে, চলছে পুনর্বাসনের প্রস্তুতি

জুলাই মাসে গণ–অভ্যুত্থানের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত সাত বছর বয়সী শিশু বাসিত খান মুসা অবশেষে দেশে ফিরেছে। সিঙ্গাপুরে দীর্ঘ পাঁচ মাস ১২ দিন চিকিৎসার পর গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে সে ঢাকায় আসে।

 

মুসা মুস্তাফিজুর রহমান ও নিশামনি দম্পতির একমাত্র সন্তান। গত ১৯ জুলাই রাজধানীর রামপুরার মেরাদিয়া হাট এলাকায় নিজ বাসার নিচে দাদির সঙ্গে আইসক্রিম কিনতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয় সে। মুসার দাদি মায়া ইসলাম (৬০) একই ঘটনায় মারা যান।

 

আহতের পর মুসাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। সংকটাপন্ন অবস্থায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ২২ অক্টোবর সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে পাঠায় সরকার।

 

মুসার মা নিশামনি জানান, সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকেরা সতর্ক করেছেন, মুসার সংক্রমণের ঝুঁকি এখনও খুব বেশি। তাই তাকে অন্তত তিন মাস সবার থেকে আলাদাভাবে রাখতে হবে।

 

চিকিৎসকদের তথ্যমতে, গুলিটি মুসার মাথার বাঁ দিক দিয়ে ঢুকে ডান পাশে আটকে গেছে, যা এখনো শরীরেই রয়েছে। তার পুরো ডান পাশ পক্ষাঘাতগ্রস্ত, নিজে থেকে বসতে পারে না, নাকে নল দিয়ে খাওয়াতে হয়, কথা বলতে পারে না।

 

চিকিৎসার অংশ হিসেবে তার মাথা, গলা ও পেটে ২০টির বেশি অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। দীর্ঘ মেয়াদে দেওয়া ব্যয়বহুল অ্যান্টিবায়োটিকে তার সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে।

 

বর্তমানে মুসাকে সিএমএইচে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এরপর তাকে সাভারের সিআরপিতে নেওয়া হবে, যেখানে ফিজিওথেরাপি, অকুপেশনাল থেরাপি ও স্পিচ থেরাপির মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি পুনর্বাসন চলবে। এই চিকিৎসা ব্যয়ের সম্পূর্ণ দায়ভার সরকার নিয়েছে।

 

সিএমএইচের পেডিয়াট্রিক নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক কর্নেল নাজমুল হামিদ জানান, শিশু মুসার দ্রুত পুনর্বাসনের লক্ষ্যে সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, যাতে সে আবার নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে।

জনপ্রিয়

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ‘শহীদ তুরাব স্ট্যান্ড’ নামকরণ

গুলিবিদ্ধ শিশু মুসা দেশে ফিরেছে, চলছে পুনর্বাসনের প্রস্তুতি

প্রকাশিত: ০৮:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ এপ্রিল ২০২৫

জুলাই মাসে গণ–অভ্যুত্থানের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত সাত বছর বয়সী শিশু বাসিত খান মুসা অবশেষে দেশে ফিরেছে। সিঙ্গাপুরে দীর্ঘ পাঁচ মাস ১২ দিন চিকিৎসার পর গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে সে ঢাকায় আসে।

 

মুসা মুস্তাফিজুর রহমান ও নিশামনি দম্পতির একমাত্র সন্তান। গত ১৯ জুলাই রাজধানীর রামপুরার মেরাদিয়া হাট এলাকায় নিজ বাসার নিচে দাদির সঙ্গে আইসক্রিম কিনতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয় সে। মুসার দাদি মায়া ইসলাম (৬০) একই ঘটনায় মারা যান।

 

আহতের পর মুসাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। সংকটাপন্ন অবস্থায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ২২ অক্টোবর সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে পাঠায় সরকার।

 

মুসার মা নিশামনি জানান, সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকেরা সতর্ক করেছেন, মুসার সংক্রমণের ঝুঁকি এখনও খুব বেশি। তাই তাকে অন্তত তিন মাস সবার থেকে আলাদাভাবে রাখতে হবে।

 

চিকিৎসকদের তথ্যমতে, গুলিটি মুসার মাথার বাঁ দিক দিয়ে ঢুকে ডান পাশে আটকে গেছে, যা এখনো শরীরেই রয়েছে। তার পুরো ডান পাশ পক্ষাঘাতগ্রস্ত, নিজে থেকে বসতে পারে না, নাকে নল দিয়ে খাওয়াতে হয়, কথা বলতে পারে না।

 

চিকিৎসার অংশ হিসেবে তার মাথা, গলা ও পেটে ২০টির বেশি অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। দীর্ঘ মেয়াদে দেওয়া ব্যয়বহুল অ্যান্টিবায়োটিকে তার সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে।

 

বর্তমানে মুসাকে সিএমএইচে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এরপর তাকে সাভারের সিআরপিতে নেওয়া হবে, যেখানে ফিজিওথেরাপি, অকুপেশনাল থেরাপি ও স্পিচ থেরাপির মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি পুনর্বাসন চলবে। এই চিকিৎসা ব্যয়ের সম্পূর্ণ দায়ভার সরকার নিয়েছে।

 

সিএমএইচের পেডিয়াট্রিক নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক কর্নেল নাজমুল হামিদ জানান, শিশু মুসার দ্রুত পুনর্বাসনের লক্ষ্যে সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, যাতে সে আবার নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে।