ঢাকা , শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
ক্রিমিয়া নিয়ে ছাড়? শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে রাশিয়াকে স্বীকৃতি দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ব্লুমবার্গ যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ইয়েমেনের রাস ঈসা বন্দরে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮০, আহত ১৭১ দিলীপ ঘোষের বিয়ে ঘিরে প্রশ্ন: আরএসএস প্রচারকেরা কি বিয়ে করতে পারেন? সংগঠনটির প্রচারক ছিলেন মোদিও নিখোঁজের ১৪ ঘণ্টা পর চট্টগ্রামে শিশুর লাশ উদ্ধার টাঙ্গাইলে অবৈধ ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু শায়েস্তাগঞ্জে আগুনে পুড়ল ১৫ টি দোকান বিডিআর হত্যাকাণ্ড: সহায়ক তথ্য আহ্বান করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশিসহ ৫০৬ জন অভিবাসী আটক ইভ্যালির অর্থ আত্মসাৎ: গ্রাহকদের মানববন্ধন ও রাসেলের গ্রেফতারের দাবি কক্সবাজার-মহেশখালী রুটে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলো সি-ট্রাক

৫৮ লাখ টাকা নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগে চবি কর্মচারীকে বরখাস্ত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ১৫ জনকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ৫৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে চবির এক কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এটি জানানো হয়।

 

অফিস আদেশে বলা হয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার অফিসের জেনারেল শাখায় কর্মরত নিম্নমান সহকারী মো. এমরান হোসেনের বিরুদ্ধে চবিতে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদে ১৫ জনকে চাকরি দেওয়ার নামে ৫৮ লাখ টাকা গ্রহণ করে তা আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটির তদন্তের স্বার্থে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী (দক্ষতা ও শৃঙ্খলা) সংবিধির ১৫ (বি) ধারা অনুসারে মো. এমরান হোসেনকে মঙ্গলবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত (সাসপেন্ড) করা হলো। তিনি সাময়িকভাবে বরখাস্ত থাকাকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী জীবিকা ভাতাদি পাবেন।

 

অপরদিকে এদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিগত সময়ে সকল পর্যায়ের নিয়োগ বা পদোন্নতি ও প্রকল্প সংক্রান্ত অনিয়ম অনুসন্ধানে তথ্য চেয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে চবি কর্তৃপক্ষ। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০০৮ সাল থেকে ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ বা পদোন্নতির ক্ষেত্রে এবং বিভিন্ন ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ কাজসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক বিষয়ে কোনো অনিয়ম, দুর্নীতি বা আর্থিক অপচয় হয়েছে কিনা, তা উদঘাটনের জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তথ্য অনুসন্ধান কমিটি (ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি) গঠন করেছে। এই কমিটি নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ অনুসন্ধানের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকলের কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট ও নির্ভরযোগ্য তথ্য আহ্বান করছে। কোনো সুনির্দিষ্ট ও নির্ভরযোগ্য তথ্য থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নয়ন ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ১৫ এপ্রিলের মধ্যে প্রদান করতে অনুরোধ করা হচ্ছে। বিজ্ঞপ্তিতে সরাসরি হাজির হয়ে, কুরিয়ারে, ডাকযোগে ও মেইলে তথ্য প্রেরণের ঠিকানা দেওয়া হয়। তথ্যপ্রদানকারীর সকল পরিচয় গোপনীয়তার সাথে সংরক্ষণ করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয় চবি।

 

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যলয়ের উপ–উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নিয়োগ বাণিজ্যের সাথে জড়িত সিন্ডিকেটের অন্যতম হোতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী এমরানকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় নিয়োগ বাণিজ্যের সাথে জড়িত কেউ এ ধরনের সিন্ডিকেট গড়ে তুললে আমাদেরকে খবর দিন। বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশীয় আইনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দয়া করে কেউ এ রকম সিন্ডিকেট দ্বারা প্রতারিত হবেন না।

জনপ্রিয়

ক্রিমিয়া নিয়ে ছাড়? শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে রাশিয়াকে স্বীকৃতি দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ব্লুমবার্গ

৫৮ লাখ টাকা নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগে চবি কর্মচারীকে বরখাস্ত

প্রকাশিত: ০১:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ১৫ জনকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ৫৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে চবির এক কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এটি জানানো হয়।

 

অফিস আদেশে বলা হয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার অফিসের জেনারেল শাখায় কর্মরত নিম্নমান সহকারী মো. এমরান হোসেনের বিরুদ্ধে চবিতে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদে ১৫ জনকে চাকরি দেওয়ার নামে ৫৮ লাখ টাকা গ্রহণ করে তা আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটির তদন্তের স্বার্থে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী (দক্ষতা ও শৃঙ্খলা) সংবিধির ১৫ (বি) ধারা অনুসারে মো. এমরান হোসেনকে মঙ্গলবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত (সাসপেন্ড) করা হলো। তিনি সাময়িকভাবে বরখাস্ত থাকাকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী জীবিকা ভাতাদি পাবেন।

 

অপরদিকে এদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিগত সময়ে সকল পর্যায়ের নিয়োগ বা পদোন্নতি ও প্রকল্প সংক্রান্ত অনিয়ম অনুসন্ধানে তথ্য চেয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে চবি কর্তৃপক্ষ। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০০৮ সাল থেকে ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ বা পদোন্নতির ক্ষেত্রে এবং বিভিন্ন ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ কাজসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক বিষয়ে কোনো অনিয়ম, দুর্নীতি বা আর্থিক অপচয় হয়েছে কিনা, তা উদঘাটনের জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তথ্য অনুসন্ধান কমিটি (ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি) গঠন করেছে। এই কমিটি নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ অনুসন্ধানের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকলের কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট ও নির্ভরযোগ্য তথ্য আহ্বান করছে। কোনো সুনির্দিষ্ট ও নির্ভরযোগ্য তথ্য থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নয়ন ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ১৫ এপ্রিলের মধ্যে প্রদান করতে অনুরোধ করা হচ্ছে। বিজ্ঞপ্তিতে সরাসরি হাজির হয়ে, কুরিয়ারে, ডাকযোগে ও মেইলে তথ্য প্রেরণের ঠিকানা দেওয়া হয়। তথ্যপ্রদানকারীর সকল পরিচয় গোপনীয়তার সাথে সংরক্ষণ করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয় চবি।

 

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যলয়ের উপ–উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নিয়োগ বাণিজ্যের সাথে জড়িত সিন্ডিকেটের অন্যতম হোতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী এমরানকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় নিয়োগ বাণিজ্যের সাথে জড়িত কেউ এ ধরনের সিন্ডিকেট গড়ে তুললে আমাদেরকে খবর দিন। বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশীয় আইনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দয়া করে কেউ এ রকম সিন্ডিকেট দ্বারা প্রতারিত হবেন না।