ঢাকা , বুধবার, ০৭ মে ২০২৫, ২৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চিকিৎসা সহযোগিতা বাড়াতে চীনের সাথে সমঝোতায় বাংলাদেশ

ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কে অবনতির পর থেকে বাংলাদেশি রোগীদের স্বাভাবিক সংখ্যায় মেডিকেল ভিসা দেয়ার ব্যাপারে গরিমসি করছে ভারত। এর ফলে বাংলাদেশের চিকিৎসাখাতে চীনের দুয়ার খোলার সুযোগ দেখা দিয়েছে।

 

চিকিৎসা সহযোগিতা বাড়াতে আগামী মাসেই চীনের সাথে বেশকিছু সমঝোতা স্মারক সই করবে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র উপদেষ্টার আমন্ত্রণে ১৯ থেকে ২১ এপ্রিল ঢাকা সফর করবে চীনের একটি ডেলিগেশন টিম। ইতোমধ্যে রোগী ও স্বজনসহ ৩১ জনের একটি দলকে বিনামূল্যে দেশটির কুনমিং প্রদেশ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সার্বিক উদ্দেশ্য হলো, চিকিৎসা ক্ষেত্রে আগ্রহ বৃদ্ধি। খরচ কমানোর পাশাপাশি সেবা জোরদারে কাজ করবে দু’দেশের নীতিনির্ধারকরা।

 

চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন গত সপ্তাহে জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে অন্তত ১৪টি চীনা কোম্পানি বাংলাদেশে ২৩০ কোটি ডলারেরও বেশি (১ ডলার = প্রায় ১২০ টাকা) বিনিয়োগ করেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলে কোনো দেশের এটিই বাংলাদেশে সর্বোচ্চ বিনিয়োগ।

 

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূস এই মাসেই চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দেখা করতে চীন সফর করবেন।

 

বাংলাদেশে একটি ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল খোলার কথাও চীনের বিবেচনায় রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। পাশাপাশি, চিকিৎসা নিতে চীন যেতে চাওয়া বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা সহজতর করার প্রক্রিয়াও শুরু করেছে দেশটি।

 

চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, তার দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতা ক্রমাগত গভীর করার জন্য একসঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক।

জনপ্রিয়

চিকিৎসা সহযোগিতা বাড়াতে চীনের সাথে সমঝোতায় বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কে অবনতির পর থেকে বাংলাদেশি রোগীদের স্বাভাবিক সংখ্যায় মেডিকেল ভিসা দেয়ার ব্যাপারে গরিমসি করছে ভারত। এর ফলে বাংলাদেশের চিকিৎসাখাতে চীনের দুয়ার খোলার সুযোগ দেখা দিয়েছে।

 

চিকিৎসা সহযোগিতা বাড়াতে আগামী মাসেই চীনের সাথে বেশকিছু সমঝোতা স্মারক সই করবে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র উপদেষ্টার আমন্ত্রণে ১৯ থেকে ২১ এপ্রিল ঢাকা সফর করবে চীনের একটি ডেলিগেশন টিম। ইতোমধ্যে রোগী ও স্বজনসহ ৩১ জনের একটি দলকে বিনামূল্যে দেশটির কুনমিং প্রদেশ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সার্বিক উদ্দেশ্য হলো, চিকিৎসা ক্ষেত্রে আগ্রহ বৃদ্ধি। খরচ কমানোর পাশাপাশি সেবা জোরদারে কাজ করবে দু’দেশের নীতিনির্ধারকরা।

 

চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন গত সপ্তাহে জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে অন্তত ১৪টি চীনা কোম্পানি বাংলাদেশে ২৩০ কোটি ডলারেরও বেশি (১ ডলার = প্রায় ১২০ টাকা) বিনিয়োগ করেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলে কোনো দেশের এটিই বাংলাদেশে সর্বোচ্চ বিনিয়োগ।

 

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূস এই মাসেই চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দেখা করতে চীন সফর করবেন।

 

বাংলাদেশে একটি ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল খোলার কথাও চীনের বিবেচনায় রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। পাশাপাশি, চিকিৎসা নিতে চীন যেতে চাওয়া বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা সহজতর করার প্রক্রিয়াও শুরু করেছে দেশটি।

 

চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, তার দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতা ক্রমাগত গভীর করার জন্য একসঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক।