ঢাকা , রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে আরাফা: তাওবা ও রহমতের মহান দিন হামজা চৌধুরীর আগমনে জোয়ার বাংলাদেশ ফুটবলে, ভুটানের বিপক্ষে আজ প্রস্তুতি ম্যাচ রিলসের নামে অশ্লীলতার প্রতিযোগিতা: ভিউয়ের পেছনে দৌড়ে সমাজ হারাচ্ছে মূল্যবোধ আজ মিনায় অবস্থানের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা ভাঙ্গায় মাহিন্দ্রা-বাস সংঘর্ষে ৪ জন নিহত, আহত ৩ মাদরাসা ধ্বংস ঠেকাতে সরকারের বিরুদ্ধে আইনী লড়াই চালিয়ে যাবে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ মাংস বিক্রেতাদের সরাসরি গুলি করার হুমকি দিয়েছেন ভারতের গাজিয়াবাদ বিধায়ক গুর্জ ইসরাইলের সাথে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক ছিন্ন ও ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি বাতিল করেছে স্পেন বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়নি: এনবিআর চেয়ারম্যান

গুম কমিশনকে যা জানালেন সাবেক সেনাপ্রধান ইকবাল করিম

জাতীয় গুম কমিশনে তথ্য দিয়েছেন সাবেক সেনাপ্রধান ইকবাল করিম। আজ বুধবার তিনি এক ফেসবুক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ওই ফেসবুক পোস্টে সাবেক সেনাপ্রধান বলেন, ‘আমার কর্ম অভিজ্ঞতায় সঞ্চিত কিছু লেখা সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ায় তা রাষ্ট্র, সমাজ ও সংস্থার বিভিন্ন অংশের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সেই পটভূমিতে অনেক ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এর বিভিন্ন দিক ও বিষয়ে জানার আগ্রহ জন্মেছে।’ ইকবাল করিম বলেন, ‘সে পরিপ্রেক্ষিতে “গুম-সংক্রান্ত কমিশন ফর ইনকোয়ারি” আজ ১৯ মার্চ (বুধবার) বেলা ১১টায় গুলশানে অবস্থিত তাঁদের কার্যালয়ে আমাকে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। তাঁদের ডাকে সাড়া দিয়ে আমি যথাসময়ে সেখানে যাই এবং মহামান্য কমিশন বিভিন্ন বিষয়ে আমার কাছে আরও বিস্তারে জানতে চান। আমার স্মৃতিতে থাকা বিষয়গুলো তাঁদের জানাই এবং উনাদের নানান জিজ্ঞাসা ও প্রশ্নের জবাব দিই। জাতীয় প্রয়োজনে গঠিত গুরুত্বপূর্ণ এই কমিশনের কার্যক্রম অধিকতর ফলপ্রসূ করার লক্ষ্যে আমার সঙ্গে উনাদের আলোচনা ৩ ঘণ্টা ২৩ মিনিট স্থায়ী হয়ে বেলা ২টা ২৩ মিনিটে শেষ হয়।’

ইকবাল করিম আরও বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে জ্ঞাত বা অজ্ঞাত স্থানে বলপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান ও তাঁদের শনাক্ত করা এবং কোন পরিস্থিতিতে গুম হয়েছিলেন, তা নির্ধারণ করা প্রয়োজন। সেই উদ্দেশ্যে গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যসহ কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের নিকট থাকা তথ্য ও প্রমাণ সরবরাহ করে গুম-সংক্রান্ত কমিশনের কার্যক্রমকে বেগবান করা আমাদের সবার দায়িত্ব ও কর্তব্য। আর তা যথাযথভাবে পালন করা গেলেই ভবিষ্যতে মানবতাবিরোধী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।’

ইকবাল করিম আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘একজন নাগরিক হিসেবে আমি বিশ্বাস করি, ‘গুম-সংক্রান্ত কমিশন ফর ইনকোয়ারির এমন গুরুত্বপূর্ণ কাজে সহযোগিতা করার জন্য এ কাজে জড়িত সকল পক্ষ, ব্যক্তি ও চাকরিরত বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসা উচিত। গুম ও অপহরণ-সংক্রান্ত যেসব মানবতাবিরোধী অপরাধ দেশে সংঘটিত হয়েছে, এর সঙ্গে জড়িতদের সম্পর্কে যে যেখানে যতটুকু জানেন, তা এই কমিশনকে অবহিত করা দরকার।’

জনপ্রিয়

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে

গুম কমিশনকে যা জানালেন সাবেক সেনাপ্রধান ইকবাল করিম

প্রকাশিত: ১১:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫

জাতীয় গুম কমিশনে তথ্য দিয়েছেন সাবেক সেনাপ্রধান ইকবাল করিম। আজ বুধবার তিনি এক ফেসবুক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ওই ফেসবুক পোস্টে সাবেক সেনাপ্রধান বলেন, ‘আমার কর্ম অভিজ্ঞতায় সঞ্চিত কিছু লেখা সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ায় তা রাষ্ট্র, সমাজ ও সংস্থার বিভিন্ন অংশের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সেই পটভূমিতে অনেক ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এর বিভিন্ন দিক ও বিষয়ে জানার আগ্রহ জন্মেছে।’ ইকবাল করিম বলেন, ‘সে পরিপ্রেক্ষিতে “গুম-সংক্রান্ত কমিশন ফর ইনকোয়ারি” আজ ১৯ মার্চ (বুধবার) বেলা ১১টায় গুলশানে অবস্থিত তাঁদের কার্যালয়ে আমাকে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। তাঁদের ডাকে সাড়া দিয়ে আমি যথাসময়ে সেখানে যাই এবং মহামান্য কমিশন বিভিন্ন বিষয়ে আমার কাছে আরও বিস্তারে জানতে চান। আমার স্মৃতিতে থাকা বিষয়গুলো তাঁদের জানাই এবং উনাদের নানান জিজ্ঞাসা ও প্রশ্নের জবাব দিই। জাতীয় প্রয়োজনে গঠিত গুরুত্বপূর্ণ এই কমিশনের কার্যক্রম অধিকতর ফলপ্রসূ করার লক্ষ্যে আমার সঙ্গে উনাদের আলোচনা ৩ ঘণ্টা ২৩ মিনিট স্থায়ী হয়ে বেলা ২টা ২৩ মিনিটে শেষ হয়।’

ইকবাল করিম আরও বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে জ্ঞাত বা অজ্ঞাত স্থানে বলপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান ও তাঁদের শনাক্ত করা এবং কোন পরিস্থিতিতে গুম হয়েছিলেন, তা নির্ধারণ করা প্রয়োজন। সেই উদ্দেশ্যে গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যসহ কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের নিকট থাকা তথ্য ও প্রমাণ সরবরাহ করে গুম-সংক্রান্ত কমিশনের কার্যক্রমকে বেগবান করা আমাদের সবার দায়িত্ব ও কর্তব্য। আর তা যথাযথভাবে পালন করা গেলেই ভবিষ্যতে মানবতাবিরোধী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।’

ইকবাল করিম আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘একজন নাগরিক হিসেবে আমি বিশ্বাস করি, ‘গুম-সংক্রান্ত কমিশন ফর ইনকোয়ারির এমন গুরুত্বপূর্ণ কাজে সহযোগিতা করার জন্য এ কাজে জড়িত সকল পক্ষ, ব্যক্তি ও চাকরিরত বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসা উচিত। গুম ও অপহরণ-সংক্রান্ত যেসব মানবতাবিরোধী অপরাধ দেশে সংঘটিত হয়েছে, এর সঙ্গে জড়িতদের সম্পর্কে যে যেখানে যতটুকু জানেন, তা এই কমিশনকে অবহিত করা দরকার।’