রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজকে একীভূত করে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ নামে নতুন প্রশাসনিক কাঠামোর প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করেছেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। রবিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় কলেজটির শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘তিতুমীর ঐক্য’র পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে।
সংগঠনটির দপ্তর সম্পাদক মো. বেল্লাল হোসেনের সই করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত নতুন কাঠামো সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সভায় সরকারি তিতুমীর কলেজের চারজন প্রতিনিধি আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন। তবে তাদের মধ্যে তিনজন প্রস্তাবটি অকুণ্ঠচিত্তে প্রত্যাখ্যান করেন। তারা স্পষ্টভাবে জানান, শিক্ষার্থীদের সম্মতি ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে না এবং তারা এই সিদ্ধান্তের বৈধতা স্বীকার করেননি।
একই সভায় উপস্থিত থাকা প্রতিনিধি রেজায়ে রাব্বি জায়েদ তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে সভা ত্যাগ করেন এবং শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির পক্ষে অবিচল থাকার ঘোষণা দেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, এই ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হয়েছে, সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের ঐতিহ্য, আত্মপরিচয় ও মর্যাদার প্রশ্নে আপসহীন। তারা যে কোনো অন্যায় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে প্রস্তুত।
তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের সংগঠন তিতুমীর ঐক্যের মিডিয়া উইং সদস্য ওয়াহিদ ইসলাম অনিক বলেন, তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’তে যেতে আগ্রহী নন। আমরা তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে অনড় আছি। দাবি না মানলে আবারও কঠোর আন্দোলনে নামবে তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, রবিবার দুপুরে রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ নাম চূড়ান্ত করা হয়। এই সিদ্ধান্ত ইউজিসির সভায় শিক্ষার্থীদের ৩২ সদস্যের প্রতিনিধিদল নিয়ে অনুষ্ঠিত এক সভা শেষে জানানো হয়।
সাত কলেজের মধ্যে রয়েছে ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, মিরপুর বাংলা কলেজ এবং সরকারি তিতুমীর কলেজ।