রোববার (১৬ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি মার্চ মাসের প্রথম ১৫ দিনে দেশে মোট ১৬৫ কোটি ৬১ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। তবে দেশের ৭টি ব্যাংকে এই সময়ে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি। এর মধ্যে রয়েছে একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক, একটি বিশেষায়িত ব্যাংক, ২টি বেসরকারি ব্যাংক এবং ৩টি বিদেশি ব্যাংক।
রেমিট্যান্স না আসা ব্যাংকসমূহ:
-রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক: বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল)।
– বিশেষায়িত ব্যাংক: রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব)।
-বেসরকারি ব্যাংক: পদ্মা ব্যাংক পিএলসি ও আইসিবি ইসলামী ব্যাংক।
-বিদেশি ব্যাংক: ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং উরি ব্যাংক।
রেমিট্যান্সের পরিসংখ্যান:
-মার্চের প্রথম ১৫ দিন: মোট রেমিট্যান্স এসেছে ১৬৫ কোটি ৬১ লাখ মার্কিন ডলার।-
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক: ৩৭ কোটি ১১ লাখ ৪০ হাজার ডলার।
– বিশেষায়িত ব্যাংক: ১৩ কোটি ২ লাখ ৪০ হাজার ডলার।
-বেসরকারি ব্যাংক: ১১৫ কোটি ১৬ লাখ ২০ হাজার ডলার।
-বিদেশি ব্যাংক: ৩১ লাখ ডলার।
– মার্চের সাপ্তাহিক রেমিট্যান্স:
– ৯ থেকে ১৫ মার্চ: ৮৪ কোটি ১৮ লাখ ২০ হাজার ডলার।
– ২ থেকে ৮ মার্চ: ৭৮ কোটি ৪২ লাখ ডলার।
– ১ মার্চ: ৩ কোটি ৮০ হাজার ডলার।
গত মাসগুলোর রেমিট্যান্স:
– ফেব্রুয়ারি ২০২৫: ২৫২ কোটি ৭৬ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার।
– জানুয়ারি ২০২৫: ২১৮ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলার।
২০২৪ সালে দেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ৬৮৮ কোটি ৯১ লাখ মার্কিন ডলার। মাসভিত্তিক রেমিট্যান্সের পরিমাণ নিম্নরূপ:
– জানুয়ারি: ২১১ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার।
– ফেব্রুয়ারি: ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার।
– মার্চ: ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ ৭০ হাজার ডলার।
– এপ্রিল: ২০৪ কোটি ৪২ লাখ ৩০ হাজার ডলার।
– মে: ২২৫ কোটি ৪৯ লাখ ৩০ হাজার ডলার।
– জুন: ২৫৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার।
– জুলাই: ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার।
– আগস্ট: ২২২ কোটি ৪১ লাখ ৫০ হাজার ডলার।
– সেপ্টেম্বর: ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার ডলার।
– অক্টোবর: ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ৮ হাজার ডলার।
– নভেম্বর: ২১৯ কোটি ৯৫ লাখ ১০ হাজার ডলার।
– ডিসেম্বর: ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজার ডলার।
রেমিট্যান্স বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। তবে কিছু ব্যাংকে রেমিট্যান্স না আসার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম ও সেবার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মিত মনিটরিং ও তদারকির মাধ্যমে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।