মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর সম্প্রতি তাদের ওয়েবসাইট থেকে ‘আমরা তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে সমর্থন করি না’—এই বিবৃতি সরিয়ে ফেলেছে, যা নিয়ে চীনের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। চীন দাবি করেছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির কাছে ভুল বার্তা পৌঁছাতে পারে এবং তাদের অবস্থান সংশোধন করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আগে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের তথ্যপত্রে এই বাক্যটি অন্তর্ভুক্ত ছিল, যা গত সপ্তাহে নিয়মিত হালনাগাদের অংশ হিসেবে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এক্ষেত্রে, যুক্তরাষ্ট্র জানায়, তারা তাইওয়ানের সদস্য পদে সমর্থন দেবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে চীন বলেছে, এই পদক্ষেপ তাইওয়ানের স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলার উদ্দেশ্যে ভুল বার্তা দিতে পারে, যা বেইজিংয়ের জন্য অগ্রহণযোগ্য।
তবে তাইওয়ানকে পৃথক দেশ হিসেবে দেখতে না চাইলেও, এটি চীনের সঙ্গে যুক্ত হতে রাজি নয় বলে বেশিরভাগ তাইওয়ানিরা বিশ্বাস করেন। তাইওয়ান সরকারের মুখপাত্র জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এ পদক্ষেপ তাইওয়ানবান্ধব এবং ইতিবাচক বলে তারা ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
এদিকে, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মার্কিন পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে মন্তব্য করেছে, এতে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান চীন-পন্থী হয়ে পড়েছে এবং এটি তাইওয়ান বিষয়ে তাদের পূর্বের অবস্থান থেকে এক ধরনের পিছনে সরে যাওয়ার ইঙ্গিত বহন করছে।