মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হোয়াইট হাউজে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পরই এক ভারতীয় সাংবাদিকের প্রশ্নে আলোচিত হলো বাংলাদেশ।
সাংবাদিক জানতে চান, “বাইডেন প্রশাসনের সময় মার্কিন ডিপ স্টেট বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদলে জড়িত ছিল কিনা, এবং সম্প্রতি মুহাম্মদ ইউনূস এবং জুনিয়র সোরোসের বৈঠকে তা প্রমাণিত হয়েছে বলে। তাই বাংলাদেশ নিয়ে আপনার মন্তব্য কি?”
ট্রাম্প জবাব দেন, “না, আমাদের ডিপ স্টেটের এখানে কোনো ভূমিকা ছিল না। ভারতের প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়টা নিয়ে বহুদিন ধরে কাজ করছেন এবং এটি নিয়ে ভারত শত বছর ধরে কাজ করছে।”
তিনি আরও বলেন, “কাজেই বাংলাদেশের বিষয়টি আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ওপরই ছেড়ে দেবো,” এবং নরেন্দ্র মোদির দিকে ইঙ্গিত করেন।
দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে ভারতই সবচেয়ে প্রভাবশালী শক্তি এবং বাংলাদেশ সংক্রান্ত বিষয়ে আমেরিকা এখন ভারতকে ডিঙ্গিয়ে কোনো ধরনের সক্রিয়তা বা হস্তক্ষেপ দেখাতে চাইবে না, এমনটাই ব্যাখ্যা করেছেন দিল্লির কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এটাই প্রথমবার আমেরিকার শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে ভারত এতটা আশাব্যঞ্জক বার্তা পেলো। যদিও ট্রাম্পের ‘ট্যারিফ যুদ্ধ’ বিষয়টি নিয়ে সংশয় ছিল।
হোয়াইট হাউজে মোদির সঙ্গে বৈঠকের ঘণ্টাখানেক আগে ট্রাম্প ঘোষণা দেন যে আমেরিকার পণ্যের ওপর চড়া শুল্ক বসানো দেশগুলোর বিরুদ্ধে ‘রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ’ লাগু হবে। এর ফলে ভারতের মতো দেশের ওপরও পাল্টা শুল্ক বসবে।
তবে বৈঠকে বাংলাদেশের বিষয়ও বিশদে আলোচিত হয়। বৈঠকের পর ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি জানান, বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং ট্রাম্প বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল, গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল ও সমৃদ্ধ হওয়ার নীতির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন।
মোদি আরও বৈঠক করেন মার্কিন ন্যাশনাল ইনটেলিজেন্স প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালজের সঙ্গে, যেখানে বাংলাদেশ প্রসঙ্গও আলোচিত হয়।