ঢাকা , শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
ক্রিমিয়া নিয়ে ছাড়? শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে রাশিয়াকে স্বীকৃতি দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ব্লুমবার্গ যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ইয়েমেনের রাস ঈসা বন্দরে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮০, আহত ১৭১ দিলীপ ঘোষের বিয়ে ঘিরে প্রশ্ন: আরএসএস প্রচারকেরা কি বিয়ে করতে পারেন? সংগঠনটির প্রচারক ছিলেন মোদিও নিখোঁজের ১৪ ঘণ্টা পর চট্টগ্রামে শিশুর লাশ উদ্ধার টাঙ্গাইলে অবৈধ ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু শায়েস্তাগঞ্জে আগুনে পুড়ল ১৫ টি দোকান বিডিআর হত্যাকাণ্ড: সহায়ক তথ্য আহ্বান করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশিসহ ৫০৬ জন অভিবাসী আটক ইভ্যালির অর্থ আত্মসাৎ: গ্রাহকদের মানববন্ধন ও রাসেলের গ্রেফতারের দাবি কক্সবাজার-মহেশখালী রুটে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলো সি-ট্রাক

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করবে ভোটের সময় : প্রেস সচিব

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে নিয়ে রাজনৈতিক দল এবং নাগরিক সমাজের আলোচনায় ঐকমত্যের ভিত্তিতে যে জুলাই সনদ হবে, তার বাস্তবায়নের উপর নির্ভর করবে আগামী জাতীয় নির্বাচনের সময়। বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন বুধবার তাদের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়ার পর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। শফিকুল আলম বলেন, জুলাই চার্টারের বাস্তবায়নের আলোকে নির্ভর করবে ইলেকশনটা কি এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে হবে, নাকি আগামী বছর জুলাইয়ের মধ্যে হবে।

 

সংবাদ সম্মেলনে শফিকুল আলম বলেন, ছয়টা কমিশনের পুরো প্রতিবেদন নিয়ে দেশের রাজনৈতিক দল ও সিভিল সোসাইটির সাথে কথা বলবেন ঐকমত্য কমিশন। কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর কথার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হবে কতটুকু সংস্কার আসলে দ্রুত করতে হবে, কতটুকু পরে করা যাবে। তিনি বলেন, কিছু সংস্কার সুপারিশ বাস্তবায়নে সংবিধান সংশোধনেরও প্রয়োজন পড়বে না, বরং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সংস্কার সম্ভব হবে। আর কোনটা (সংস্কার) করার জন্য ‘কন্সটিটিউশনের এমেন্ডমেন্ট’ দরকার। আবার কিছু সংস্কারের জন্য একটা ইমেডিয়েটলি মিনিস্ট্রি করতে পারে, সেটার জন্য কন্সটিটিউশন রিফর্মের দরকার হয় না, এমনকি পলিটিক্যাল পার্টির সাথেও সেভাবে কথা বলার প্রয়োজন নাও হতে পারে। কিন্তু উনারা সবার সাথে কথা বলবেন।

 

ঐকমত্যের ভিত্তিতেই জুলাই সনদ প্রণয়নের কথা তুলে ধরে প্রেস সচিব বলেন, পুরো সংস্কারগুলো নিয়ে সবাই ঐকমত্যে আসবেন। ধরেন ৫ হাজার সংস্কারের মধ্যে ২ হাজারের ব্যাপারে ঐকমত্যে এলেন, এই কনসেনসাসে যেটা রিচ হবে, সবাই একমত হবে, সেটা রাজনৈতিক দলগুলো স্বাক্ষর করবে। স্বাক্ষর করার পর যেটা দাঁড়াবে সেটা হবে ‘জুলাই চার্টার’। এ জুলাই চার্টারের বাস্তবায়ন এ সরকার কিছু করবে, পরবর্তী সরকারগুলো এসে করবে। এ বাস্তবায়নের আলোকে নির্ভর করবে ইলেকশনটা কি এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে হবে নাকি আগামী বছর জুলাইয়ের মধ্যে হবে।

 

আগামী নির্বাচন কবে হবে, তার কোনো সুনির্দিষ্ট তারিখ এখনো ঘোষণা করা হয়। তবে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সংস্কার কতটা করে ভোটে যাওয়া হবে তার ওপর নির্ভর করে ২০২৫ সালের শেষ অথবা ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে হতে পারে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন। বিএনপি যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন চেয়ে এলেও অন্তবর্তী সরকারের উপদেষ্টা এবং জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা আগে রাষ্ট্র সংস্কারের কাজ সারার ওপর জোর দিচ্ছেন।

জনপ্রিয়

ক্রিমিয়া নিয়ে ছাড়? শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে রাশিয়াকে স্বীকৃতি দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ব্লুমবার্গ

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করবে ভোটের সময় : প্রেস সচিব

প্রকাশিত: ০৮:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে নিয়ে রাজনৈতিক দল এবং নাগরিক সমাজের আলোচনায় ঐকমত্যের ভিত্তিতে যে জুলাই সনদ হবে, তার বাস্তবায়নের উপর নির্ভর করবে আগামী জাতীয় নির্বাচনের সময়। বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন বুধবার তাদের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়ার পর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। শফিকুল আলম বলেন, জুলাই চার্টারের বাস্তবায়নের আলোকে নির্ভর করবে ইলেকশনটা কি এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে হবে, নাকি আগামী বছর জুলাইয়ের মধ্যে হবে।

 

সংবাদ সম্মেলনে শফিকুল আলম বলেন, ছয়টা কমিশনের পুরো প্রতিবেদন নিয়ে দেশের রাজনৈতিক দল ও সিভিল সোসাইটির সাথে কথা বলবেন ঐকমত্য কমিশন। কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর কথার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হবে কতটুকু সংস্কার আসলে দ্রুত করতে হবে, কতটুকু পরে করা যাবে। তিনি বলেন, কিছু সংস্কার সুপারিশ বাস্তবায়নে সংবিধান সংশোধনেরও প্রয়োজন পড়বে না, বরং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সংস্কার সম্ভব হবে। আর কোনটা (সংস্কার) করার জন্য ‘কন্সটিটিউশনের এমেন্ডমেন্ট’ দরকার। আবার কিছু সংস্কারের জন্য একটা ইমেডিয়েটলি মিনিস্ট্রি করতে পারে, সেটার জন্য কন্সটিটিউশন রিফর্মের দরকার হয় না, এমনকি পলিটিক্যাল পার্টির সাথেও সেভাবে কথা বলার প্রয়োজন নাও হতে পারে। কিন্তু উনারা সবার সাথে কথা বলবেন।

 

ঐকমত্যের ভিত্তিতেই জুলাই সনদ প্রণয়নের কথা তুলে ধরে প্রেস সচিব বলেন, পুরো সংস্কারগুলো নিয়ে সবাই ঐকমত্যে আসবেন। ধরেন ৫ হাজার সংস্কারের মধ্যে ২ হাজারের ব্যাপারে ঐকমত্যে এলেন, এই কনসেনসাসে যেটা রিচ হবে, সবাই একমত হবে, সেটা রাজনৈতিক দলগুলো স্বাক্ষর করবে। স্বাক্ষর করার পর যেটা দাঁড়াবে সেটা হবে ‘জুলাই চার্টার’। এ জুলাই চার্টারের বাস্তবায়ন এ সরকার কিছু করবে, পরবর্তী সরকারগুলো এসে করবে। এ বাস্তবায়নের আলোকে নির্ভর করবে ইলেকশনটা কি এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে হবে নাকি আগামী বছর জুলাইয়ের মধ্যে হবে।

 

আগামী নির্বাচন কবে হবে, তার কোনো সুনির্দিষ্ট তারিখ এখনো ঘোষণা করা হয়। তবে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সংস্কার কতটা করে ভোটে যাওয়া হবে তার ওপর নির্ভর করে ২০২৫ সালের শেষ অথবা ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে হতে পারে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন। বিএনপি যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন চেয়ে এলেও অন্তবর্তী সরকারের উপদেষ্টা এবং জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা আগে রাষ্ট্র সংস্কারের কাজ সারার ওপর জোর দিচ্ছেন।