দখলকৃত পশ্চিম তীরের জেনিনে ইসরাইলের বর্বর হামলা ও বেসামরিক নাগরিক হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে কাতার । দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই হামলাকে ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও মানবিক আইনের চরম লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করেছে।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, তারা যেন ইসরাইলের এসব অন্যায় কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয় এবং আন্তর্জাতিক আইন ও সংশ্লিষ্ট চুক্তির আলোকে বেসামরিক নাগরিকদের পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘কাতার পুনরায় নিশ্চিত করছে যে, ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায্য অধিকার ও তাদের ন্যায়সঙ্গত দাবির প্রতি আমাদের অটল সমর্থন রয়েছে। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ১৯৬৭ সালের সীমারেখার ভিত্তিতে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অধিকার।’
কাতার দীর্ঘদিন ধরেই ফিলিস্তিন ইস্যুতে জোরালো অবস্থান ধরে রেখেছে এবং নিরীহ মানুষের ওপর ইসরাইলের দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে সরব থেকেছে।
গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার মাত্র দুই দিন পরই ইসরাইলি বাহিনী দখলকৃত পশ্চিম তীরে ‘অপারেশন আয়রন ওয়াল’ নামে নতুন অভিযান শুরু করে। এই অভিযানের অংশ হিসেবে তারা বিমান হামলার পাশাপাশি হেলিকপ্টার ও ড্রোন ব্যবহার করে আক্রমণ চালায়।
একইসঙ্গে, সাঁজোয়া যান ও বুলডোজারের সহায়তায় বিপুলসংখ্যক ইসরাইলি সেনা জেনিন শরণার্থীশিবিরে প্রবেশ করে। এর আগে, পশ্চিম তীরের বিভিন্ন শহরের গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথ অবরুদ্ধ করে দেওয়া হয়, যাতে শিবিরে প্রবেশ ও বাহিরে যাওয়ার সব পথ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। গত মঙ্গলবার শুরু হওয়া এ অভিযানে ইতোমধ্যে ১২ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে।