ঢাকা , বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
মাদরাসা ধ্বংস ঠেকাতে সরকারের বিরুদ্ধে আইনী লড়াই চালিয়ে যাবে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ মাংস বিক্রেতাদের সরাসরি গুলি করার হুমকি দিয়েছেন ভারতের গাজিয়াবাদ বিধায়ক গুর্জ ইসরাইলের সাথে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক ছিন্ন ও ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি বাতিল করেছে স্পেন বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়নি: এনবিআর চেয়ারম্যান খাবার আনতে যাওয়া ২৭ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল ইসরাইল ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রী হয়রানি বন্ধের দাবি জানালো যাত্রী কল্যাণ সমিতি দেশপ্রেম শেখাতে ভারতের মহারাষ্ট্রে প্রথম শ্রেণি থেকেই দেওয়া হবে সামরিক প্রশিক্ষণ আফগানিস্তানের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ১৫টি স্কুল নির্মাণ করেছে তালেবান সরকার ঈদুল আজহা উপলক্ষে গরুর ট্রাক-ট্রলারে বিশৃঙ্খলা করলে কঠোর ব্যবস্থা: র‍্যাব ভৈরব নদে কার্গোর সঙ্গে সংঘর্ষে বাল্কহেড ডুবি, নৌ চলাচল বন্ধ

অধ্যাপক ড. শাহ আলিমুজ্জামান পদত্যাগ করেছেন

বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহ আলিমুজ্জামান পদত্যাগ করেছেন। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সকালে আচার্য বরাবর পদত্যাগ পত্র জমা দেন তিনি।

উপাচার্য পদ থেকে ইস্তফা প্রসঙ্গে চিঠিতে তিনি লেখেন, বুটেক্সের চতুর্থ উপাচার্য হিসেবে গত বছরের ৩০ এপ্রিল থেকে দায়িত্ব পালন করে আসছি এবং এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ সততা, দক্ষতা, ডেডিকেশনের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে কাজ করে গেছি। কিন্তু গত ৫ আগস্টের পরের দিন থেকেই সমস্ত দাপ্তরিক কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে শুরু হলেও পদোন্নতির দাবিতে কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী আন্দোলন শুরু করে, যার সাথে পরবর্তীতে কিছু শিক্ষকও যোগ দেয়। কিন্তু প্রায় সবাই আমার ওপর আস্থা রেখে ক্লাস শুরু করে। বিগত কয়েক সপ্তাহে আন্দোলনকারী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ আমার বিরুদ্ধে যেসকল মিথ্যা, বানোয়াট, মানহানি রিপোর্ট, সংবাদ ও অভিযোগ প্রচার করে যাচ্ছে ১০টি বিভাগের মধ্যে ২টি বিভাগের শিক্ষার্থীদের একাংশ তা বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন, যা আমার জন্য বেদনাদায়ক।

তিনি আরও লেখেন, যাদের জন্য আমি দিনরাত এক করে কাজ করে গেছি বিশ্ববিদ্যালয় তথা শিক্ষার্থীদের ভালোর জন্য সেখানে তারাই প্ররোচনাকারীদের মিথ্যা প্রচারণার ফাঁদে ফেলে আমাকে ভুল বুঝে সেখানে আমার আর এই দায়িত্বে থাকা সমীচীন হবে না। আমি সরে এসেছি এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছি বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও শৃঙ্খলা পালনের স্বার্থে আমি উপাচার্য পদ থেকে পদত্যাগ করব।

অধ্যাপক ড. শাহ আলিমুজ্জামান একটি লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি চাইলে পদত্যাগ নাও করতে পারতাম। একমাত্র চ্যাঞ্চেলর ছাড়া আর কারো ক্ষমতা ছিল না আমাকে অপসারণ করার। আমি চেয়েছি, আমার সারা জীবনের অর্জন, শিক্ষক হিসেবে যে সম্মান তা এসেছে শিক্ষার্থী বান্ধব হওয়ার কারণেই। আমি এই অর্জন হারাতে চাই না। সাপ্লিমেন্ট পরীক্ষা নিয়ে যে ইস্যু তৈরি হয়েছে, তা পরিকল্পিত। ৭ তারিখে সিন্ডিকেট করতে পারলে এটা পাশ হয়ে যেত, একেবারে হুবহু তাই পাশ করতাম যে ফর্মে একাডেমিক কাউন্সিলে পাশ হয়েছিল। ‘জরুরী সিন্ডিকেট’ বলতে যা বুঝায় তার পরিবেশ এটা নয়। আমার পদত্যাগও বরং সহজ। আর যেহেতু শিক্ষার্থীরা অপেক্ষাও করবে না, তাই আমি শিক্ষার্থীদের ক্ষতির দায় নিতে চাই না। এটা আমার ব্যক্তিত্ব ও ব্রান্ডিং-এর বিপক্ষে।

মাদরাসা ধ্বংস ঠেকাতে সরকারের বিরুদ্ধে আইনী লড়াই চালিয়ে যাবে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ

অধ্যাপক ড. শাহ আলিমুজ্জামান পদত্যাগ করেছেন

প্রকাশিত: ০৫:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ২০২৪

বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহ আলিমুজ্জামান পদত্যাগ করেছেন। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সকালে আচার্য বরাবর পদত্যাগ পত্র জমা দেন তিনি।

উপাচার্য পদ থেকে ইস্তফা প্রসঙ্গে চিঠিতে তিনি লেখেন, বুটেক্সের চতুর্থ উপাচার্য হিসেবে গত বছরের ৩০ এপ্রিল থেকে দায়িত্ব পালন করে আসছি এবং এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ সততা, দক্ষতা, ডেডিকেশনের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে কাজ করে গেছি। কিন্তু গত ৫ আগস্টের পরের দিন থেকেই সমস্ত দাপ্তরিক কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে শুরু হলেও পদোন্নতির দাবিতে কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী আন্দোলন শুরু করে, যার সাথে পরবর্তীতে কিছু শিক্ষকও যোগ দেয়। কিন্তু প্রায় সবাই আমার ওপর আস্থা রেখে ক্লাস শুরু করে। বিগত কয়েক সপ্তাহে আন্দোলনকারী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ আমার বিরুদ্ধে যেসকল মিথ্যা, বানোয়াট, মানহানি রিপোর্ট, সংবাদ ও অভিযোগ প্রচার করে যাচ্ছে ১০টি বিভাগের মধ্যে ২টি বিভাগের শিক্ষার্থীদের একাংশ তা বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন, যা আমার জন্য বেদনাদায়ক।

তিনি আরও লেখেন, যাদের জন্য আমি দিনরাত এক করে কাজ করে গেছি বিশ্ববিদ্যালয় তথা শিক্ষার্থীদের ভালোর জন্য সেখানে তারাই প্ররোচনাকারীদের মিথ্যা প্রচারণার ফাঁদে ফেলে আমাকে ভুল বুঝে সেখানে আমার আর এই দায়িত্বে থাকা সমীচীন হবে না। আমি সরে এসেছি এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছি বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও শৃঙ্খলা পালনের স্বার্থে আমি উপাচার্য পদ থেকে পদত্যাগ করব।

অধ্যাপক ড. শাহ আলিমুজ্জামান একটি লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি চাইলে পদত্যাগ নাও করতে পারতাম। একমাত্র চ্যাঞ্চেলর ছাড়া আর কারো ক্ষমতা ছিল না আমাকে অপসারণ করার। আমি চেয়েছি, আমার সারা জীবনের অর্জন, শিক্ষক হিসেবে যে সম্মান তা এসেছে শিক্ষার্থী বান্ধব হওয়ার কারণেই। আমি এই অর্জন হারাতে চাই না। সাপ্লিমেন্ট পরীক্ষা নিয়ে যে ইস্যু তৈরি হয়েছে, তা পরিকল্পিত। ৭ তারিখে সিন্ডিকেট করতে পারলে এটা পাশ হয়ে যেত, একেবারে হুবহু তাই পাশ করতাম যে ফর্মে একাডেমিক কাউন্সিলে পাশ হয়েছিল। ‘জরুরী সিন্ডিকেট’ বলতে যা বুঝায় তার পরিবেশ এটা নয়। আমার পদত্যাগও বরং সহজ। আর যেহেতু শিক্ষার্থীরা অপেক্ষাও করবে না, তাই আমি শিক্ষার্থীদের ক্ষতির দায় নিতে চাই না। এটা আমার ব্যক্তিত্ব ও ব্রান্ডিং-এর বিপক্ষে।