বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম। তার হাত ধরেই রোববার অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতকে উড়িয়ে দিয়ে টানা দ্বিতীয়বার এশীয় শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট মাথায় তুললেন বাংলাদেশের যুবারা। নানা প্রতিবন্ধকতা পাশ কাটিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন বিশ্বমঞ্চে। তার সাফল্যে গর্বিত পরিবার ও দেশবাসী। বইছে আনন্দের জোয়ার।
তামিম যশোর শহরের বারান্দিপাড়া এলাকার মাদ্রাসা শিক্ষক মোহাম্মদ হুসাইন ও গৃহিনী সুলতানা পারভীন দম্পতির সন্তান । চার সন্তানের মধ্যে তামিম সবার ছোট। তিনি যশোর শিক্ষা বোর্ড মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের এসএসসি পরীক্ষার্থী। ঘুমানোর সময়ও কোলবালিশের পরিবর্তে ব্যাট জড়িয়ে ধরে থাকত তামিম।
যশোর শহরের বারান্দিপাড়া অনিকা বসু লেন সড়কের চারতলা ভবনের দোতলায় সপরিবারে তামিমরা ভাড়া বাসাতে থাকেন।
তাদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, নিকটাত্মীয় ও প্রতিবেশীরা ভিড় জমিয়েছেন। তামিমের এই সাফল্যে বাড়িতে ভিড় করে খোঁজখবর নিচ্ছেন তামিমসহ গোটা পরিবারকে। প্রিয় সন্তানের এমন অর্জনে বাড়ির সবাই বেশ আনন্দিত ও ফুরফুরে লক্ষ্য করা গেছে। তামিমের বাড়িতে গিয়েই শোকেসে দেখা গেছে ক্রিকেটার তামিমের নানা সাফল্যের সাক্ষী হওয়া ক্রেস্ট ও পুরস্কার। বাবা মোহাম্মদ হুসাইন সেগুলো দেখাচ্ছে আর ছেলের সাফল্যের ডালা খুলে দিচ্ছেন। তবে তার এ অর্জনের পথটি যে মসৃণ ছিল না।
ক্রিকেটর প্রতি একাগ্রতা আর ভালোবাসার কারণে সব প্রতিবন্ধকতাকে পাশ কাটিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন বিশ্ব মঞ্চে। আর সে কারণেই তার এই সাফল্যে বাড়িতে ভিড় জমিয়েছেন এলাকাবাসীসহ গণমাধ্যম কর্মীরাও।
তামিমের বাবা যশোর আমিনিয়া কামিল মাদ্রাসার শিক্ষক ও নিবন্ধিত কাজী বাবা মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, আমার চার ছেলে-মেয়ে। তার মধ্যে তামিম সবার ছোট। চারজনকেই লেখাপড়া শিখিয়েছি। তাদের মধ্যে তামিম ক্রিকেটার হয়ে দেশের জন্য সুনাম বয়ে এনেছে। বাবা-মা হিসেবে এটা আমাদের জন্য বড় গর্বের। চার ছেলে-মেয়ের লেখাপড়ার পাশাপাশি তামিমের ক্রিকেট সরঞ্জামের টাকার জোগান দেওয়া অনেক কঠিন ছিল। ক্রিকেট খেলার সামগ্রীর অনেক দাম। সব সময় ছেলেকে সেসব কিনে দিতে পারিনি।