সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর করা হয়েছে বলে চূড়ান্ত ঘোষণা দিয়েছেন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
এর ফলে, বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করতে ইচ্ছুক প্রার্থীরা পূর্বের ৩০ বছরের পরিবর্তে এখন ৩২ বছর বয়স পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। তিনি জানান, “এই সিদ্ধান্ত আর পরিবর্তন হবে না। তবে বয়সসীমা ৩৫ করার জন্য আন্দোলন হলে সরকার তা বিবেচনায় নেবে।”
এই সিদ্ধান্ত দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ও কর্মসংস্থানের বাস্তবতা বিবেচনা করে নেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘদিন ধরে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন, কারণ অনেক শিক্ষার্থী তাদের শিক্ষাজীবন শেষ করতে বেশি সময় নিচ্ছেন।
এছাড়াও সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন, “সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোনো প্রার্থী সর্বোচ্চ তিনবার বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন।” তার মতে, “একই ব্যক্তি বারবার পরীক্ষা দিলে অন্য প্রার্থীরা সুযোগ হারাতে পারে, তাই সর্বোচ্চ তিনবার পরীক্ষা দেওয়ার সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।”
এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে সমান সুযোগ নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে, উপদেষ্টা উল্লেখ করেছেন যে, অবসরের বয়সসীমা নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
নতুন এই নিয়মের ফলে বিসিএস পরীক্ষার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ মনে করছেন, এটি প্রতিযোগিতার সুযোগকে সীমিত করবে, আবার অনেকে মনে করছেন, এটি নতুন প্রার্থীদের জন্য সুবিধাজনক হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম।