ইরানে বৃহৎ হামলার পর উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বিশ্বব্যাপী নিজেদের সব দূতাবাস বন্ধ ঘোষণা করেছে ইসরায়েল। একইসঙ্গে ইসরায়েলি নাগরিকদের সতর্ক থাকারও আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়া উন্মুক্ত স্থানে ইহুদি বা ইসরায়েলি প্রতীক প্রদর্শন না করতে সতর্ক করা হয়েছে। খবরটি প্রকাশ করেছে রয়টার্স।
শুক্রবার (১৩ জুন) ইসরায়েলি দূতাবাসের ওয়েবসাইটে পোস্ট করা এক বিবৃতির মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর আলোকে বিশ্বজুড়ে ইসরায়েলি মিশন বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং কনস্যুলার পরিষেবা প্রদান করা হবে না। নাগরিকরা যেকোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে আহ্বান জানানো হচ্ছে।’
ঠিক কতদিন দূতাবাসের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হবে তার নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমার কথা বলা হয়নি। এ বিষয়ে জানতে চেয়ে জামার্নির বার্লিন দূতাবাসে ফোন করে রয়টার্স, একজন ব্যক্তি ফোন ধরলেও তিনি কোনো তথ্য দেননি। এ বিষয়ে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি।
এছাড়াও বিদেশে বসবাসকারী ইসরায়েলি নাগরিকদের তাদের অবস্থান সম্পর্কে জানাতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি ফরম পূরণের নির্দেশনা জারি করেছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর পাল্টা হামলা চালানোর জন্য ইসরায়েল রিজার্ভ সৈন্যদের ফেরাতে এমন নির্দেশনা জারি করা হয়েছিল।
এর আগে শুক্রবার ভোরে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি এবং দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র কারখানা লক্ষ করে প্রায় ২০০ যুদ্ধবিমান দিয়ে ব্যাপক হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ৭৮ জন নিহত এবং ৩২৯ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। নিহতদের মধ্যে দেশটির দুই শীর্ষ সামরিক কমান্ডার এবং কমপক্ষে ছয় শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানীও রয়েছেন। জবাবে ইসরায়েলের দিকে প্রায় ১০০টি ড্রোন ছোঁড়ে তেহরান। তবে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী দাবি করেছে, ইসরায়েলের দিকে ছোঁড়া সব ইরানি ড্রোন সফলভাবে ভূপাতিত করা হয়েছে।