ঢাকা , সোমবার, ২৬ মে ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
পাকিস্তানের দাবি সিন্ধু চুক্তি স্থগিত হওয়ায় ২৪ কোটিরও বেশি মানুষের জীবন হুমকিতে এরদোয়ানের সঙ্গে আল-শারার বৈঠক, তুরস্ক-সিরিয়া সম্পর্ক জোরদারের ইঙ্গিত কসবা সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে আহত ২ প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে, ক্ষতিগ্রস্ত হবে ১ কোটি শিশু শিক্ষার্থী কোরবানির গরুর চামড়ার সর্বনিম্ন দাম ১১৫০ টাকা ঢাকায় ১৩৫০ চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামি এলাকায় ‘কুকি-চিনের’ ২০ হাজার পোশাক জব্দ লরির ধাক্কায় প্রাণ গেলো দুই তরুণ প্রকৌশলীর যাত্রীর নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরা চট্টগ্রাম বন্দর কাউকে দিচ্ছে না সরকার: প্রেস সচিব কিশোরগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নারীর মৃত্যু

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে চোখ হারানো চারজনের বিষপান

ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে চোখ হারানো চার আহত রাজধানীর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে বিষপান করেছেন। তারা হলেন শিমুল, মারুফ, সাগর ও আখতার হোসেন (তাহের)।

বিষপানের পর তাৎক্ষণিকভাবে তাদের শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তারা শঙ্কামুক্ত বলে জানান চিকিৎসকরা।

রোববার (২৫ মে) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে হাসপাতালটির পরিচালকের কক্ষে একটি বৈঠক চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালটির পরিচালকের কক্ষে জুলাই ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) সঙ্গে বৈঠক চলার সময় ওই চারজন দাবি নিয়ে কক্ষে প্রবেশ করেন।

সিইও তাদের অপেক্ষা করতে বললে ক্ষুব্ধ হয়ে তারা সেখানেই বিষপান করেন। ধারণা করা হচ্ছে আগে থেকে তাদের কাছে বিষ ছিল।

বিষপানের ঘটনা নিশ্চিত করে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. খায়ের আহমেদ চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে আহত হয়ে ভর্তি থাকা চারজন আজ বিষপান করেছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে তারা সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন।’

আহতদের একজন বলেন, ‘এই সরকারের কাছ থেকে কিছু পেতে হলে আন্দোলনে নামতেই হয়। শান্তিপূর্ণভাবে কিছু চাওয়া যায় না। আমাদের চিকিৎসার জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি।’

জুলাই গণ-আন্দোলনে চোখ হারানো আহতরা বলছেন, দীর্ঘ নয় মাসেও তাদের উন্নত চিকিৎসা বা পুনর্বাসনের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বরং প্রতিশ্রুতি দিয়ে নানা টালবাহানা করা হচ্ছে।

এর আগে গতকাল শনিবার (২৪ মে) দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে জুলাই ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) সঙ্গে বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন ১০-১২ জন আহতকে আর্থিক সহায়তা এবং পুনর্বাসন বিষয়ে বাগবিতণ্ডায় হয়।

এ সময় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) উদ্দেশ্য আহতরা বলেন, ‘স্যার, আমাদের হয় সহযোগিতা দেন, না হয় আমাদের বিষ কিনে দেন খেয়ে মরে যাই। তাহলে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’

জনপ্রিয়

পাকিস্তানের দাবি সিন্ধু চুক্তি স্থগিত হওয়ায় ২৪ কোটিরও বেশি মানুষের জীবন হুমকিতে

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে চোখ হারানো চারজনের বিষপান

প্রকাশিত: ৪ ঘন্টা আগে

ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে চোখ হারানো চার আহত রাজধানীর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে বিষপান করেছেন। তারা হলেন শিমুল, মারুফ, সাগর ও আখতার হোসেন (তাহের)।

বিষপানের পর তাৎক্ষণিকভাবে তাদের শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তারা শঙ্কামুক্ত বলে জানান চিকিৎসকরা।

রোববার (২৫ মে) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে হাসপাতালটির পরিচালকের কক্ষে একটি বৈঠক চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালটির পরিচালকের কক্ষে জুলাই ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) সঙ্গে বৈঠক চলার সময় ওই চারজন দাবি নিয়ে কক্ষে প্রবেশ করেন।

সিইও তাদের অপেক্ষা করতে বললে ক্ষুব্ধ হয়ে তারা সেখানেই বিষপান করেন। ধারণা করা হচ্ছে আগে থেকে তাদের কাছে বিষ ছিল।

বিষপানের ঘটনা নিশ্চিত করে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. খায়ের আহমেদ চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে আহত হয়ে ভর্তি থাকা চারজন আজ বিষপান করেছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে তারা সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন।’

আহতদের একজন বলেন, ‘এই সরকারের কাছ থেকে কিছু পেতে হলে আন্দোলনে নামতেই হয়। শান্তিপূর্ণভাবে কিছু চাওয়া যায় না। আমাদের চিকিৎসার জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি।’

জুলাই গণ-আন্দোলনে চোখ হারানো আহতরা বলছেন, দীর্ঘ নয় মাসেও তাদের উন্নত চিকিৎসা বা পুনর্বাসনের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বরং প্রতিশ্রুতি দিয়ে নানা টালবাহানা করা হচ্ছে।

এর আগে গতকাল শনিবার (২৪ মে) দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে জুলাই ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) সঙ্গে বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন ১০-১২ জন আহতকে আর্থিক সহায়তা এবং পুনর্বাসন বিষয়ে বাগবিতণ্ডায় হয়।

এ সময় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) উদ্দেশ্য আহতরা বলেন, ‘স্যার, আমাদের হয় সহযোগিতা দেন, না হয় আমাদের বিষ কিনে দেন খেয়ে মরে যাই। তাহলে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’