ঢাকা , রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চার দাবিতে এনবিআর ও কাস্টমস অফিসে পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর প্রধান কার্যালয়ের নিচে শনিবার (২৪ মে) সকাল ৯টা থেকে ‘এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ’-এর ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করছেন কর্মকর্তারা। একই সঙ্গে সারা দেশের কর, কাস্টমস ও ভ্যাট দপ্তরেও চলছে একযোগে এই কর্মবিরতি।

তবে রপ্তানি কার্যক্রম ও আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা এ কর্মসূচির আওতামুক্ত রাখা হয়েছে। কর্মবিরতির অংশ হিসেবে আজ বিকেল ৪টায় একটি সংবাদ সম্মেলন করার কথা রয়েছে এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে।

এর আগে ২১ মে প্রধান উপদেষ্টার কাছে চার দফা দাবির একটি স্মারকলিপি প্রদান করে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ। একইসঙ্গে ২৪ ও ২৫ মে কাস্টমস হাউস ও এলসি স্টেশন ব্যতীত সব দপ্তরে পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়। আগামী ২৬ মে থেকে আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা বাদে সব দপ্তরেই পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতির ঘোষণা রয়েছে।

চারটি প্রধান দাবি হচ্ছে: ১. ‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ অবিলম্বে বাতিল, ২, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানকে অপসারণ, ৩. রাজস্ব সংস্কার পরামর্শক কমিটির সুপারিশ ওয়েবসাইটে প্রকাশ এবং ৪.সব অংশীজনের মতামত নিয়ে টেকসই রাজস্ব সংস্কার নিশ্চিত করা।

গত ২২ মে রাতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে আলোচনার মাধ্যমে অধ্যাদেশে সংশোধনের আশ্বাস দেওয়া হয় এবং এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানানো হয়।

তবে এই বিবৃতিকে ‘সাধুবাদযোগ্য’ বলে উল্লেখ করলেও দাবিগুলো পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।

এনবিআরের একাধিক কর্মকর্তা জানান, আমাদের দাবি কোনো গোষ্ঠীস্বার্থ নয়, বরং স্বতন্ত্র ও বিশেষায়িত একটি রাজস্ব এজেন্সি গঠনের দিকে এগিয়ে যাওয়া। হঠাৎ করে নয়, বরং ধাপে ধাপে সময় দিয়ে আমরা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছি। জনগণের দুর্ভোগ বিবেচনা করেই আমরা বারবার আন্দোলনে বিরতি দিয়েছি।

তারা আরও বলেন, সরকার শুরু থেকেই যদি আন্তরিক হতো, তবে এ সংকট সহজেই সমাধান করা যেত।

এর আগে ১৩ মে থেকে শুরু হওয়া অবস্থান ও কলম বিরতির মধ্য দিয়ে আন্দোলনের সূচনা হয়। এরপর ১৪, ১৫, ১৭, ১৮ ও ১৯ মে পালিত হয় কলম বিরতি। ২০ মে আলোচনা আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করা হলেও ২১ মে আবারও নতুন করে আন্দোলন ঘোষণা করা হয়।

জনপ্রিয়

চার দাবিতে এনবিআর ও কাস্টমস অফিসে পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি

প্রকাশিত: এক মিনিট আগে

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর প্রধান কার্যালয়ের নিচে শনিবার (২৪ মে) সকাল ৯টা থেকে ‘এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ’-এর ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করছেন কর্মকর্তারা। একই সঙ্গে সারা দেশের কর, কাস্টমস ও ভ্যাট দপ্তরেও চলছে একযোগে এই কর্মবিরতি।

তবে রপ্তানি কার্যক্রম ও আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা এ কর্মসূচির আওতামুক্ত রাখা হয়েছে। কর্মবিরতির অংশ হিসেবে আজ বিকেল ৪টায় একটি সংবাদ সম্মেলন করার কথা রয়েছে এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে।

এর আগে ২১ মে প্রধান উপদেষ্টার কাছে চার দফা দাবির একটি স্মারকলিপি প্রদান করে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ। একইসঙ্গে ২৪ ও ২৫ মে কাস্টমস হাউস ও এলসি স্টেশন ব্যতীত সব দপ্তরে পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়। আগামী ২৬ মে থেকে আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা বাদে সব দপ্তরেই পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতির ঘোষণা রয়েছে।

চারটি প্রধান দাবি হচ্ছে: ১. ‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ অবিলম্বে বাতিল, ২, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানকে অপসারণ, ৩. রাজস্ব সংস্কার পরামর্শক কমিটির সুপারিশ ওয়েবসাইটে প্রকাশ এবং ৪.সব অংশীজনের মতামত নিয়ে টেকসই রাজস্ব সংস্কার নিশ্চিত করা।

গত ২২ মে রাতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে আলোচনার মাধ্যমে অধ্যাদেশে সংশোধনের আশ্বাস দেওয়া হয় এবং এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানানো হয়।

তবে এই বিবৃতিকে ‘সাধুবাদযোগ্য’ বলে উল্লেখ করলেও দাবিগুলো পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।

এনবিআরের একাধিক কর্মকর্তা জানান, আমাদের দাবি কোনো গোষ্ঠীস্বার্থ নয়, বরং স্বতন্ত্র ও বিশেষায়িত একটি রাজস্ব এজেন্সি গঠনের দিকে এগিয়ে যাওয়া। হঠাৎ করে নয়, বরং ধাপে ধাপে সময় দিয়ে আমরা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছি। জনগণের দুর্ভোগ বিবেচনা করেই আমরা বারবার আন্দোলনে বিরতি দিয়েছি।

তারা আরও বলেন, সরকার শুরু থেকেই যদি আন্তরিক হতো, তবে এ সংকট সহজেই সমাধান করা যেত।

এর আগে ১৩ মে থেকে শুরু হওয়া অবস্থান ও কলম বিরতির মধ্য দিয়ে আন্দোলনের সূচনা হয়। এরপর ১৪, ১৫, ১৭, ১৮ ও ১৯ মে পালিত হয় কলম বিরতি। ২০ মে আলোচনা আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করা হলেও ২১ মে আবারও নতুন করে আন্দোলন ঘোষণা করা হয়।