ঢাকা , শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
কক্সবাজারে মার্কিন সেনা উপস্থিতি নিয়ে যে মন্তব্য করলো ভারত ভারতকে দেওয়া জাহাজ নির্মাণের কার্যাদেশ বাতিলের খবর হার্ভার্ডে বিদেশি ভর্তি বন্ধে ট্রাম্পের পরিকল্পনা আটকাল আদালত পাল্টাপাল্টি বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞায় ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ-ভারত আমি হলে হাসনাতকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দায়িত্ব দিতাম: ইলিয়াস রাজধানীর মোহাম্মদপুরে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৬ ৪ সমুদ্রবন্দর থেকে সতর্ক সংকেত নামলো সেনাবাহিনী রাজনীতিতে নাক গলাতে পারবে না : ফয়েজ তৈয়্যব ‘প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন না’ স্ট্যাটাসটি আমার ব্যক্তিগত মতামত: ফয়েজ ট্রাম্পের শুল্কে বাণিজ্য খরচ বাড়বে বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর: জাতিসংঘ

হার্ভার্ডে বিদেশি ভর্তি বন্ধে ট্রাম্পের পরিকল্পনা আটকাল আদালত

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার যে পরিকল্পনা করেছিল ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন, তা আটকে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের এক বিচারক।

শুক্রবার হার্ভার্ডের এক মামলার প্রেক্ষিতে সংক্ষিপ্ত এক রায়ে ডিস্ট্রিক্ট বিচারক অ্যালিস বারাস এ সংক্রান্ত ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির (ডিএইচএস) পদক্ষেপ কার্যকরে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

বৃহস্পতিবার ডিএইচএস হার্ভার্ডের ‘স্টুডেন্ট অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ ভিজিটর প্রোগ্রাম সার্টিফিকেশন’ বাতিলের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিল।

একে আইন ও মতপ্রকাশের অধিকারের ‘নির্লজ্জ লঙ্ঘন’ অভিহিত করে শুক্রবার বোস্টনের আদালতে মামলা করে দেয় হার্ভার্ড।

তাদের ওই মামলার প্রেক্ষিতেই বিচারক বারাস এ সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দেন।

ট্রাম্প প্রশাসন বলছে, এন্টিসেমেটিজমের বিরুদ্ধে লড়াই এবং নিয়োগ ও ভর্তি প্রক্রিয়া বদলাতে হার্ভার্ড পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নেয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

“কলমের এক খোঁচায় সরকার হার্ভার্ডের শিক্ষার্থী বহরের এক চতুর্থাংশকে মুছে দিতে চাইছে, এ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে,” মামলায় দেওয়া যুক্তিতে বলেছে হার্ভার্ড।

এ নিয়ে এক চিঠিতে হার্ভার্ডের প্রেসিডেন্ট অ্যালান গার্বার লিখেছিলেন, “বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া সরকারের চলমান পদক্ষেপের অংশ, যা হার্ভার্ডের বিরুদ্ধে একহাত নেয়ার জন্য করা হচ্ছে, কেননা আমরা আমাদের একাডেমিক স্বাধীনতা হারাতে চাইনি এবং আমাদের পাঠ্যক্রম, শিক্ষক ও ছাত্রসমাজের ওপর ফেডারেল সরকারের অবৈধ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টার কাছে আত্মসমর্পণ করতে রাজি হইনি।”

এপ্রিলেই ট্রাম্প প্রশাসন হার্ভার্ডের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসাধারী কয়েকজনের তথ্য চেয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, তা না দিলে বিশ্ববিদ্যালয়টি বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ হারাতে পারে।

ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউজে ফেরার পর থেকেই উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে তার প্রশাসনের টানাপড়েন শুরু হয়। হার্ভার্ডের পাশাপাশি নিউ ইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ও কথিত ‘এন্টিসেমেটিজমের’ অভিযোগে ট্রাম্প প্রশাসনের নিশানায় পরিণত হয়েছে।

রিপাবলিকান প্রশাসনের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ‘চরম বামপন্থি, মার্ক্সবাদী ও মার্কিন-বিরোধী’ চিন্তাধারায় প্রভাবিত হয়ে পড়েছে।

হার্ভার্ডের বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের অভিযোগ, তারা শিক্ষার্থী ভর্তি প্রক্রিয়ায় জাতিগত পরিচয়কে প্রাধান্য দিচ্ছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সুযোগ দিয়ে ইহুদি শিক্ষার্থীদের বৈষম্যের শিকার হতে দিচ্ছে।

গত কয়েক সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন হার্ভার্ডের জন্য বরাদ্দ প্রায় ৩০০ কোটি ডলারের ফেডারেল অনুদান এবং চুক্তি জব্দ বা বাতিল করে।

সবশেষ গত সোমবার ইহুদি শিক্ষার্থীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ ও জাতিগত হয়রানির অভিযোগে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দ ৬ কোটি ডলারের ফেডারেল অনুদান বাতিল করে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য ও মানব সেবা মন্ত্রণালয় (এইচএইচএস)।

জনপ্রিয়

কক্সবাজারে মার্কিন সেনা উপস্থিতি নিয়ে যে মন্তব্য করলো ভারত

হার্ভার্ডে বিদেশি ভর্তি বন্ধে ট্রাম্পের পরিকল্পনা আটকাল আদালত

প্রকাশিত: ১৪ মিনিট আগে

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার যে পরিকল্পনা করেছিল ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন, তা আটকে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের এক বিচারক।

শুক্রবার হার্ভার্ডের এক মামলার প্রেক্ষিতে সংক্ষিপ্ত এক রায়ে ডিস্ট্রিক্ট বিচারক অ্যালিস বারাস এ সংক্রান্ত ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির (ডিএইচএস) পদক্ষেপ কার্যকরে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

বৃহস্পতিবার ডিএইচএস হার্ভার্ডের ‘স্টুডেন্ট অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ ভিজিটর প্রোগ্রাম সার্টিফিকেশন’ বাতিলের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিল।

একে আইন ও মতপ্রকাশের অধিকারের ‘নির্লজ্জ লঙ্ঘন’ অভিহিত করে শুক্রবার বোস্টনের আদালতে মামলা করে দেয় হার্ভার্ড।

তাদের ওই মামলার প্রেক্ষিতেই বিচারক বারাস এ সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দেন।

ট্রাম্প প্রশাসন বলছে, এন্টিসেমেটিজমের বিরুদ্ধে লড়াই এবং নিয়োগ ও ভর্তি প্রক্রিয়া বদলাতে হার্ভার্ড পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নেয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

“কলমের এক খোঁচায় সরকার হার্ভার্ডের শিক্ষার্থী বহরের এক চতুর্থাংশকে মুছে দিতে চাইছে, এ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে,” মামলায় দেওয়া যুক্তিতে বলেছে হার্ভার্ড।

এ নিয়ে এক চিঠিতে হার্ভার্ডের প্রেসিডেন্ট অ্যালান গার্বার লিখেছিলেন, “বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া সরকারের চলমান পদক্ষেপের অংশ, যা হার্ভার্ডের বিরুদ্ধে একহাত নেয়ার জন্য করা হচ্ছে, কেননা আমরা আমাদের একাডেমিক স্বাধীনতা হারাতে চাইনি এবং আমাদের পাঠ্যক্রম, শিক্ষক ও ছাত্রসমাজের ওপর ফেডারেল সরকারের অবৈধ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টার কাছে আত্মসমর্পণ করতে রাজি হইনি।”

এপ্রিলেই ট্রাম্প প্রশাসন হার্ভার্ডের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসাধারী কয়েকজনের তথ্য চেয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, তা না দিলে বিশ্ববিদ্যালয়টি বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ হারাতে পারে।

ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউজে ফেরার পর থেকেই উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে তার প্রশাসনের টানাপড়েন শুরু হয়। হার্ভার্ডের পাশাপাশি নিউ ইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ও কথিত ‘এন্টিসেমেটিজমের’ অভিযোগে ট্রাম্প প্রশাসনের নিশানায় পরিণত হয়েছে।

রিপাবলিকান প্রশাসনের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ‘চরম বামপন্থি, মার্ক্সবাদী ও মার্কিন-বিরোধী’ চিন্তাধারায় প্রভাবিত হয়ে পড়েছে।

হার্ভার্ডের বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের অভিযোগ, তারা শিক্ষার্থী ভর্তি প্রক্রিয়ায় জাতিগত পরিচয়কে প্রাধান্য দিচ্ছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সুযোগ দিয়ে ইহুদি শিক্ষার্থীদের বৈষম্যের শিকার হতে দিচ্ছে।

গত কয়েক সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন হার্ভার্ডের জন্য বরাদ্দ প্রায় ৩০০ কোটি ডলারের ফেডারেল অনুদান এবং চুক্তি জব্দ বা বাতিল করে।

সবশেষ গত সোমবার ইহুদি শিক্ষার্থীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ ও জাতিগত হয়রানির অভিযোগে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দ ৬ কোটি ডলারের ফেডারেল অনুদান বাতিল করে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য ও মানব সেবা মন্ত্রণালয় (এইচএইচএস)।