ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটি লিখেছে, গত বছরের কার্যাদেশ অনুযায়ী ৮০০ টন ওজনের একটি সমুদ্রগামী অত্যাধুনিক টাগ বোট নির্মাণের কথা ছিল কলকাতাভিত্তিক রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিরক্ষা জাহাজ নির্মাণ কোম্পানি গার্ডেন রীচ শিপবিল্ডিং অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্সের।
বাতিল হওয়া চুক্তিতে ৬১ মিটার দৈর্ঘ্যের টাগ বোটের নকশা, নির্মাণ এবং ২৪ মাসের মধ্যে সরবরাহের বিষয় ছিল। পূর্ণবোঝাই অবস্থায় এই টাগ জাহাজের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১৩ নট (প্রায় ২৪ কিমি/ঘণ্টা) হওয়ার কথা ছিল।
ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে ২০২৩ সালে কার্যকর হওয়া ৫০০ মিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা ঋণের অধীনে এটাই ছিল প্রথম বড় চুক্তি।
গত বছরের জুলাইয়ে ঢাকায় প্রতিরক্ষা ক্রয় মহাপরিদপ্তরের নৌবাহিনী উইং ও গার্ডেন রীচ শিপবিল্ডিং অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্সের মধ্যে এই চুক্তি হয়।
চুক্তি বাতিলের খবরের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের বক্তব্য জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া লিখেছে, ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশ কে ত্রিপাঠির বাংলাদেশে চার দিনের সফরের সময় এই চুক্তি হয়েছিল, যেখানে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করা এবং সামুদ্রিক সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচনের কথা বলা হয়েছিল।
গত বছরের অগাস্টে শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে।
কয়েক বছর আগে প্রথমবারের মতো চীন থেকে ডিজেল চালিত ইলেকট্রিক সাবমেরিন সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। বেইজিংয়ের কৌশলগত প্রভাব বৃদ্ধির বিপরীতে এরপর বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক জোরদার করেছিল ভারত।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী এই বছরের শুরুতেই বলেছিলেন, ভারত ও বাংলাদেশ একে অপরকে ‘কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ’ প্রতিবেশী হিসেবে বিবেচনা করে এবং উভয় দেশের মধ্যে কোনো ধরনের ‘শত্রুতা’ কারও জন্যই মঙ্গলজনক নয়।