ঢাকা , সোমবার, ২৬ মে ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
পাকিস্তানের দাবি সিন্ধু চুক্তি স্থগিত হওয়ায় ২৪ কোটিরও বেশি মানুষের জীবন হুমকিতে এরদোয়ানের সঙ্গে আল-শারার বৈঠক, তুরস্ক-সিরিয়া সম্পর্ক জোরদারের ইঙ্গিত কসবা সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে আহত ২ প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে, ক্ষতিগ্রস্ত হবে ১ কোটি শিশু শিক্ষার্থী কোরবানির গরুর চামড়ার সর্বনিম্ন দাম ১১৫০ টাকা ঢাকায় ১৩৫০ চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামি এলাকায় ‘কুকি-চিনের’ ২০ হাজার পোশাক জব্দ লরির ধাক্কায় প্রাণ গেলো দুই তরুণ প্রকৌশলীর যাত্রীর নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরা চট্টগ্রাম বন্দর কাউকে দিচ্ছে না সরকার: প্রেস সচিব কিশোরগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নারীর মৃত্যু

যাত্রীর নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরা

দেশের বিভিন্ন মহাসড়কে ডাকাতির ঘটনায় আতঙ্ক বিরাজ করছে যাত্রীদের মাঝে। যাত্রীবেশে বাসে উঠে চালক, সহকারী ও সুপারভাইজারসহ যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সর্বস্ব ছিনতাই করে নিচ্ছে ডাকাতদল।

ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তায় দূরপাল্লার বাসে বসছে সিটি ক্যামেরা। ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেটসহ বিভিন্ন রুটের বাসে বসছে সিসি ক্যামেরা। এখন ডাকাতি, ছিনতাই ও চুরির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কের নাম হয়ে উঠেছে মহাসড়ক।

ভুক্তভোগীরা বলছেন, হাইওয়ে পুলিশের অদক্ষতা ও নির্লিপ্ততায় ডাকাতি-ছিনতাইয়ের প্রবণতা বেড়েছে। সরকার পতনের পর হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে থানা পুলিশের পর হাইওয়ে পুলিশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ঢাকা আসা ও ঢাকা থেকে দেশের জেলা শহরে চলাচলকারী বাসেই বেশি ডাকাতি হয়। বাসে যাত্রী নিয়ে চলাচল করলে অনেক সময় যাত্রী বেশে ডাকাত দলের সদস্যরা উঠে পরে তাদের দেয়া তথ্যের উপর মহাসড়ক থেকে অন্য সদস্যরা উঠে পড়ে। তাদের আগে থেকে নির্ধারিত স্থানেই ডাকাতির ঘটনা ঘটায়। ডাকাতরা দেশীয় অস্ত্রের পাশাপাশি আধুনিক অস্ত্র দেখিয়ে যাত্রীদের জিম্মি করে সবকিছু লুট করে নিয়ে যায়। ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের জিম্মি করে বাস বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে ডাকাতি ও নারীদের শ্লীলতাহানি করে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাস চালকরা বলছেন, মহাসড়কে গাড়ি চালানোর সময় আতঙ্কে থাকি কখন ডাকাতরা হামলা করে। বাসে ডাকাতি আগের চেয়ে বেড়ে গেছে। সামনে ঈদ এই সময় ডাকাতি বাড়লে যাত্রীরা ভয়ে থাকে। পুলিশের তদারকি বাড়ানো দরকার।

ঈদযাত্রায় দূলপাল্লার বাসে ডাকাতি-ছিনতাইসহ মহিলা যাত্রী হেনস্থা বন্ধে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। এই বিষয়ে জরুরি নির্দেশনা দিয়ে বাস মালিক এবং সমিতিসহ জেলা শাখার অন্তুর্ভুক্ত কোম্পানিদের চিঠি পাঠায় মালিক সমিতি। এরআগে এসব বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে মালিক সমিতিকে গত ৮ এপ্রিল চিঠি দিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব মো. সাইফুল আলম সাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, বেশ কিছুদিন যাবত দূরপাল্লা রুটের বাসে যাতায়াতের ক্ষেত্রে যাত্রীগণ প্রায়ই ডাকাতি-ছিনতাইসহ মহিলা যাত্রীরা বিভিন্নভাবে লাঞ্চনা-হেনস্থার শিকার হচ্ছেন এবং ওভারস্পীডে গাড়ি চালানোর কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে। উল্লেখিত ঘটনা সঠিকভাবে নির্ণয় ও তদন্ত করা এবং বন্ধ করার জন্য প্রতিটি বাসে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা অত্যাবশ্যক হয়ে পড়েছে। এই ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে বিষয়টি বাধ্যতামূলক করে আমাদেরকে কঠোর নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এতে বলা হয়, এমতাবস্থায়, দূরপাল্লা রুটে চলাচলকারী প্রতিটি কোম্পানি ও সমিতির বাসে অনতিবিলম্বে আগামী সাত দিনের (১ জুন) মধ্যে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করার জন্য মালিকদেরকে নির্দেশ প্রদান করতে বলা হয়। এই নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন না করলে স্ব-স্ব গাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সিসি ক্যামেরা স্থাপন না করলে এবং গাড়ির স্পীড গভর্নর সীল করা না থাকলে প্রয়োজনে সেই সকল গাড়ি চলাচলে সিরিয়াল প্রদান বন্ধ রাখার জন্য বলা হলো।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, প্রতিটি মহাসড়কেই এখন গণপরিবহনে ডাকাতির ভয় রয়েছে। শুধু যে রাজধানীর কাছাকাছি এলাকায় তাই নয় জেলা, উপজেলা পর্যায়ে ও আঞ্চলিক সড়কেও গণপরিবহনে ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনা চলতে থাকলে যাত্রীরা নিরাপত্তা কোথায় পাবে। যাত্রীদের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত কর্তৃপক্ষকে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

সেভ দ্য রোডের মহাসচিব শান্তা ফারজানা বলেন, কেবলমাত্র পুলিশ-প্রশাসনের যথাযথ পদক্ষেপের অভাবে গণপরিবহনে ডাকাতি ও নারীরা নির্যাতিত হচ্ছে। গণপরিবহনে ডাকাতিরোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। প্রতি তিন কিলোমিটার অন্তর পুলিশ বুথ বা ওয়াচ টাওয়ার ও সিসি ক্যামেরা স্থাপনের পাশাপাশি সড়ক ও মহাসড়কে নিরাপত্তা বাড়াতে হবে। দূরপাল্লার বাসে নিরাপত্তা বাড়ানো প্রয়োজন। টহল পুলিশের সংখ্যা বৃদ্ধি করা দরকার।

জনপ্রিয়

পাকিস্তানের দাবি সিন্ধু চুক্তি স্থগিত হওয়ায় ২৪ কোটিরও বেশি মানুষের জীবন হুমকিতে

যাত্রীর নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরা

প্রকাশিত: ৩ ঘন্টা আগে

দেশের বিভিন্ন মহাসড়কে ডাকাতির ঘটনায় আতঙ্ক বিরাজ করছে যাত্রীদের মাঝে। যাত্রীবেশে বাসে উঠে চালক, সহকারী ও সুপারভাইজারসহ যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সর্বস্ব ছিনতাই করে নিচ্ছে ডাকাতদল।

ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তায় দূরপাল্লার বাসে বসছে সিটি ক্যামেরা। ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেটসহ বিভিন্ন রুটের বাসে বসছে সিসি ক্যামেরা। এখন ডাকাতি, ছিনতাই ও চুরির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কের নাম হয়ে উঠেছে মহাসড়ক।

ভুক্তভোগীরা বলছেন, হাইওয়ে পুলিশের অদক্ষতা ও নির্লিপ্ততায় ডাকাতি-ছিনতাইয়ের প্রবণতা বেড়েছে। সরকার পতনের পর হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে থানা পুলিশের পর হাইওয়ে পুলিশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ঢাকা আসা ও ঢাকা থেকে দেশের জেলা শহরে চলাচলকারী বাসেই বেশি ডাকাতি হয়। বাসে যাত্রী নিয়ে চলাচল করলে অনেক সময় যাত্রী বেশে ডাকাত দলের সদস্যরা উঠে পরে তাদের দেয়া তথ্যের উপর মহাসড়ক থেকে অন্য সদস্যরা উঠে পড়ে। তাদের আগে থেকে নির্ধারিত স্থানেই ডাকাতির ঘটনা ঘটায়। ডাকাতরা দেশীয় অস্ত্রের পাশাপাশি আধুনিক অস্ত্র দেখিয়ে যাত্রীদের জিম্মি করে সবকিছু লুট করে নিয়ে যায়। ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের জিম্মি করে বাস বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে ডাকাতি ও নারীদের শ্লীলতাহানি করে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাস চালকরা বলছেন, মহাসড়কে গাড়ি চালানোর সময় আতঙ্কে থাকি কখন ডাকাতরা হামলা করে। বাসে ডাকাতি আগের চেয়ে বেড়ে গেছে। সামনে ঈদ এই সময় ডাকাতি বাড়লে যাত্রীরা ভয়ে থাকে। পুলিশের তদারকি বাড়ানো দরকার।

ঈদযাত্রায় দূলপাল্লার বাসে ডাকাতি-ছিনতাইসহ মহিলা যাত্রী হেনস্থা বন্ধে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। এই বিষয়ে জরুরি নির্দেশনা দিয়ে বাস মালিক এবং সমিতিসহ জেলা শাখার অন্তুর্ভুক্ত কোম্পানিদের চিঠি পাঠায় মালিক সমিতি। এরআগে এসব বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে মালিক সমিতিকে গত ৮ এপ্রিল চিঠি দিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব মো. সাইফুল আলম সাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, বেশ কিছুদিন যাবত দূরপাল্লা রুটের বাসে যাতায়াতের ক্ষেত্রে যাত্রীগণ প্রায়ই ডাকাতি-ছিনতাইসহ মহিলা যাত্রীরা বিভিন্নভাবে লাঞ্চনা-হেনস্থার শিকার হচ্ছেন এবং ওভারস্পীডে গাড়ি চালানোর কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে। উল্লেখিত ঘটনা সঠিকভাবে নির্ণয় ও তদন্ত করা এবং বন্ধ করার জন্য প্রতিটি বাসে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা অত্যাবশ্যক হয়ে পড়েছে। এই ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে বিষয়টি বাধ্যতামূলক করে আমাদেরকে কঠোর নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এতে বলা হয়, এমতাবস্থায়, দূরপাল্লা রুটে চলাচলকারী প্রতিটি কোম্পানি ও সমিতির বাসে অনতিবিলম্বে আগামী সাত দিনের (১ জুন) মধ্যে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করার জন্য মালিকদেরকে নির্দেশ প্রদান করতে বলা হয়। এই নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন না করলে স্ব-স্ব গাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সিসি ক্যামেরা স্থাপন না করলে এবং গাড়ির স্পীড গভর্নর সীল করা না থাকলে প্রয়োজনে সেই সকল গাড়ি চলাচলে সিরিয়াল প্রদান বন্ধ রাখার জন্য বলা হলো।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, প্রতিটি মহাসড়কেই এখন গণপরিবহনে ডাকাতির ভয় রয়েছে। শুধু যে রাজধানীর কাছাকাছি এলাকায় তাই নয় জেলা, উপজেলা পর্যায়ে ও আঞ্চলিক সড়কেও গণপরিবহনে ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনা চলতে থাকলে যাত্রীরা নিরাপত্তা কোথায় পাবে। যাত্রীদের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত কর্তৃপক্ষকে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

সেভ দ্য রোডের মহাসচিব শান্তা ফারজানা বলেন, কেবলমাত্র পুলিশ-প্রশাসনের যথাযথ পদক্ষেপের অভাবে গণপরিবহনে ডাকাতি ও নারীরা নির্যাতিত হচ্ছে। গণপরিবহনে ডাকাতিরোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। প্রতি তিন কিলোমিটার অন্তর পুলিশ বুথ বা ওয়াচ টাওয়ার ও সিসি ক্যামেরা স্থাপনের পাশাপাশি সড়ক ও মহাসড়কে নিরাপত্তা বাড়াতে হবে। দূরপাল্লার বাসে নিরাপত্তা বাড়ানো প্রয়োজন। টহল পুলিশের সংখ্যা বৃদ্ধি করা দরকার।