কক্সবাজারের পেকুয়ায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাইদের হামলায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অবসরপ্রাপ্ত এক সেনা সদস্য মারা গেছেন।
নিহত মুহাম্মদ মামুন (৫৪) পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের ষাটদুনিয়া পাড়ার মৃত আমির হামজার ছেলে। তিনি সেনাবাহিনীতে সার্জেন্ট পদে কর্মরত ছিলেন।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল মোস্তফা জানান, অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মুহাম্মদ মামুনের সঙ্গে তার ছোট ভাই মোজাম্মেল হক ও মমতাজুল ইসলামের পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত কিছু জমির মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। গত শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিরোধীয় জমির মালিকানা নির্ধারণের জন্য সার্ভেয়ার দিয়ে জমি পরিমাপ করা হয়। একপর্যায়ে মামুনের সঙ্গে তার দুই ভাইয়ের বাকবিতণ্ডা হয়, যা পরে হাতাহাতিতে রূপ নেয়। দুই ভাইয়ের মারধরে মামুন গুরুতর আহত হন। দীর্ঘ সময় তিনি ঘটনাস্থলের পাশের রাস্তায় পড়ে ছিলেন।
খবর পেয়ে বিকালে বান্দরবানে অবস্থানকারী স্ত্রী ও সন্তানরা এলাকায় পৌঁছে মুহাম্মদ মামুনকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে স্বজনরা তাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন।
ওসি আরও জানান, রাতে বাড়িতে থাকাকালে মুহাম্মদ মামুনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আবারও পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। মারধরের আঘাতে সৃষ্ট তীব্র ব্যথায় কাতর হয়ে একপর্যায়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
নিহতের স্ত্রী পাপিয়া সরওয়ার আরভি বলেন, মেয়ের পড়ালেখার কারণে তিনি স্বামী-সন্তানসহ বান্দরবানে বসবাস করছিলেন। ঘটনার দিন সকালে জমি বিরোধের জেরে স্বামীকে ভাইয়েরা মারধর করে ফেলে রাখার খবর পান স্থানীয়দের কাছ থেকে। বিকালে এলাকায় পৌঁছে রাস্তার পাশে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমার দেবর মমতাজুল ইসলাম ও মোজাম্মেল হক দীর্ঘদিন ধরে পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত জমি জোরপূর্বক দখল করে রেখেছেন। এমনকি তারা ভূমি অফিসে জমির বাৎসরিক খাজনাও পরিশোধ করতেন না।
ওসি সিরাজুল মোস্তফা জানান, ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে মামলা গ্রহণ করা হবে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।