ঢাকা , সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
বর্ষার আগেই কদম ফুলের আগমন, প্রকৃতিতে জেগেছে অনন্য রূপ টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বললেন বিরাট কোহলি, ১৪ বছরের জার্সি গর্বের স্মৃতি হয়ে রইল ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মাঝেও আফগান সীমান্তে শান্তির বার্তা, কাবুলে চীন-পাকিস্তান-আফগানিস্তান ত্রিপাক্ষিক বৈঠক জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ও শাপলা চত্বরে গণহত্যা: মানবতাবিরোধী অপরাধে ট্রাইব্যুনালে শুনানি পিলখানা বিদ্রোহ: বিস্ফোরক মামলায় ৪০ বিডিআর সদস্যের জামিন মঞ্জুর সিভিল সার্জনদের আন্তরিকতায় স্বাস্থ্যসেবার মান ২৫ শতাংশ বাড়ানো সম্ভব: ড. ইউনূস চট্টগ্রামে বজ্রবৃষ্টি ও ঝড়ের পূর্বাভাস দিল্লির গোলামির জিঞ্জির ছিন্ন করেছি পিন্ডির দাসত্ব করতে নয়: ক্রীড়া উপদেষ্টা আফগানিস্তানে দাবা খেলা নিষিদ্ধ করলো তালেবান প্রাথমিকে দেশসেরা প্রধান শিক্ষক হলেন মোস্তফা কামাল স্বপন

বর্ষার আগেই কদম ফুলের আগমন, প্রকৃতিতে জেগেছে অনন্য রূপ

প্রচণ্ড গ্রীষ্মের দাবদাহে যখন জনজীবন স্থবির, ঠিক তখনই প্রকৃতি উপহার দিল এক বিস্ময়—বর্ষার আগেই ফুটেছে কদম ফুল। রাজশাহীর নগর গ্রামীণ অঞ্চলে এই সৌন্দর্যের সাক্ষী হয়ে উঠেছে পথচারীরা। কদম, যা সাধারণত বর্ষাকালে ফুটে, এবার সে রীতির ব্যতিক্রম ঘটিয়ে গ্রীষ্মেই তার আগমন জানাল।

নগরীর ফুলতলা, ভদ্রার মোড়, গ্রামীণ জনপদসহ নানা স্থানে গাছের ডালে ঝুলে থাকা সাদা হলুদের মিশ্রণে তৈরি গোলাকৃতি এই ফুল প্রকৃতিপ্রেমীদের নজর কেড়েছে। থোকায় থোকায় ফুটে থাকা ফুলগুলো যেন দাবদাহের মধ্যেও এক স্বস্তির বার্তা নিয়ে এসেছে।

বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফারিয়া জামান সুহানা বলেন,
বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে ভদ্রার মোড়ে একটি কদম গাছ সবসময়ই চোখে পড়ে। এবার বর্ষা না আসতেই ফুল দেখে অবাক হয়েছি। কদম দেখলেই মনটা জুড়িয়ে যায়, শৈশবের কত স্মৃতি মনে পড়ে যায়।”

শুধু সৌন্দর্যই নয়, কদম ফুলের ঘ্রাণও মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। ছোটবেলার খেলার সঙ্গী এই ফুল আজও অনেকের আবেগের অংশ। তরুণ-তরুণীদের প্রিয়জনকে উপহার দেওয়া কিংবা মেয়েদের খোঁপায় গুঁজে নেওয়া—সব কিছুতেই কদমের আবেদন চিরন্তন।

রাজশাহীর প্রচ্ছদশিল্পী মো. সাদিতউজজামান বলেন,
কদম ফুল আমার অনেক পছন্দের। মনে হয় যেন বর্ষা এসে গেছে। যদিও এখন শহরে কদম গাছের সংখ্যা কমে গেছে, তারপরও যাদের ভালোবাসা আছে, তাদের চোখ এড়ায় না। আমার আঁকার ক্যানভাসে কদম প্রায়ই ফিরে আসে। ঠিক যেমন বর্ষা ফিরে আসে বছর ঘুরে।”

বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা যায়, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে অনেক গাছপালার ফুল ফোটার ঋতুচক্রে পরিবর্তন আসছে। গ্রীষ্মের প্রখরতা এবং হঠাৎ বৃষ্টি কদম গাছে অকাল ফুটন্তের একটি কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

কদম গাছের উপকারিতাও অনেক। এর কাঠ ব্যবহার হয় আসবাবপত্র জ্বালানিতে। গাছের ছাল জ্বরের ওষুধ হিসেবে, পাতার রস কৃমিনাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ফল বাদুড় কাঠবিড়ালীর প্রিয় খাদ্য, যারা এর বীজ বিস্তারে ভূমিকা রাখে।

গ্রীষ্মের ক্লান্তিকর দিনে কদম ফুল যেন প্রকৃতির পক্ষ থেকে এক শীতল আশ্বাস—বর্ষা আসছে, প্রকৃতি তার রূপে ফিরবে। আর সেই আগমনের বার্তাবাহক হয়ে কদম ফুটে উঠেছে রাজশাহীর গাছে গাছে।

জনপ্রিয়

বর্ষার আগেই কদম ফুলের আগমন, প্রকৃতিতে জেগেছে অনন্য রূপ

বর্ষার আগেই কদম ফুলের আগমন, প্রকৃতিতে জেগেছে অনন্য রূপ

প্রকাশিত: ৫ ঘন্টা আগে

প্রচণ্ড গ্রীষ্মের দাবদাহে যখন জনজীবন স্থবির, ঠিক তখনই প্রকৃতি উপহার দিল এক বিস্ময়—বর্ষার আগেই ফুটেছে কদম ফুল। রাজশাহীর নগর গ্রামীণ অঞ্চলে এই সৌন্দর্যের সাক্ষী হয়ে উঠেছে পথচারীরা। কদম, যা সাধারণত বর্ষাকালে ফুটে, এবার সে রীতির ব্যতিক্রম ঘটিয়ে গ্রীষ্মেই তার আগমন জানাল।

নগরীর ফুলতলা, ভদ্রার মোড়, গ্রামীণ জনপদসহ নানা স্থানে গাছের ডালে ঝুলে থাকা সাদা হলুদের মিশ্রণে তৈরি গোলাকৃতি এই ফুল প্রকৃতিপ্রেমীদের নজর কেড়েছে। থোকায় থোকায় ফুটে থাকা ফুলগুলো যেন দাবদাহের মধ্যেও এক স্বস্তির বার্তা নিয়ে এসেছে।

বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফারিয়া জামান সুহানা বলেন,
বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে ভদ্রার মোড়ে একটি কদম গাছ সবসময়ই চোখে পড়ে। এবার বর্ষা না আসতেই ফুল দেখে অবাক হয়েছি। কদম দেখলেই মনটা জুড়িয়ে যায়, শৈশবের কত স্মৃতি মনে পড়ে যায়।”

শুধু সৌন্দর্যই নয়, কদম ফুলের ঘ্রাণও মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। ছোটবেলার খেলার সঙ্গী এই ফুল আজও অনেকের আবেগের অংশ। তরুণ-তরুণীদের প্রিয়জনকে উপহার দেওয়া কিংবা মেয়েদের খোঁপায় গুঁজে নেওয়া—সব কিছুতেই কদমের আবেদন চিরন্তন।

রাজশাহীর প্রচ্ছদশিল্পী মো. সাদিতউজজামান বলেন,
কদম ফুল আমার অনেক পছন্দের। মনে হয় যেন বর্ষা এসে গেছে। যদিও এখন শহরে কদম গাছের সংখ্যা কমে গেছে, তারপরও যাদের ভালোবাসা আছে, তাদের চোখ এড়ায় না। আমার আঁকার ক্যানভাসে কদম প্রায়ই ফিরে আসে। ঠিক যেমন বর্ষা ফিরে আসে বছর ঘুরে।”

বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা যায়, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে অনেক গাছপালার ফুল ফোটার ঋতুচক্রে পরিবর্তন আসছে। গ্রীষ্মের প্রখরতা এবং হঠাৎ বৃষ্টি কদম গাছে অকাল ফুটন্তের একটি কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

কদম গাছের উপকারিতাও অনেক। এর কাঠ ব্যবহার হয় আসবাবপত্র জ্বালানিতে। গাছের ছাল জ্বরের ওষুধ হিসেবে, পাতার রস কৃমিনাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ফল বাদুড় কাঠবিড়ালীর প্রিয় খাদ্য, যারা এর বীজ বিস্তারে ভূমিকা রাখে।

গ্রীষ্মের ক্লান্তিকর দিনে কদম ফুল যেন প্রকৃতির পক্ষ থেকে এক শীতল আশ্বাস—বর্ষা আসছে, প্রকৃতি তার রূপে ফিরবে। আর সেই আগমনের বার্তাবাহক হয়ে কদম ফুটে উঠেছে রাজশাহীর গাছে গাছে।