ঢাকা , সোমবার, ০৫ মে ২০২৫, ২২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
কাশ্মীর উত্তেজনার মধ্যে ভারতের প্রতিরক্ষা ওয়েবসাইটে পাকিস্তানি হ্যাকারদের সাইবার হামলার অভিযোগ সাবেক বিমান বাহিনী প্রধান শেখ আব্দুল হান্নান ও পরিবারের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা বিএইসি’র প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও স্ত্রীর দেশত্যাগে আদালতের নিষেধাজ্ঞা সাবেক এমপি সুজনকে শ্যোন অ্যারেস্ট আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা অভিযুক্ত হিটু বললেন, ‘হামিদা আর আকাশকে ধরেন সত্য বেরিয়ে আসবে’ গণভবন-সংসদ ভবনের মালিক জনগণ রূপগঞ্জে কারখানায় মিটার বিস্ফোরণে দগ্ধ দুজনের মৃত্যু পাক-ভারত উত্তেজনা মালয়েশিয়া সফর বাতিল করলেন শেহবাজ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতিতে সন্তুষ্ট এডিবি: অর্থ উপদেষ্টা কোরবানির পশুর চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনের নির্দেশ

আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা অভিযুক্ত হিটু বললেন, ‘হামিদা আর আকাশকে ধরেন সত্য বেরিয়ে আসবে’

মাগুরার আলোচিত ৮ বছরের শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ষষ্ঠ দিনের মতো সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ১১টায় জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষ্য নেওয়া হয়। এদিন চার জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এর আগে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে কারাগার থেকে আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়।

এদিন মামলার প্রধান আসামি হিটু শেখ আদালত থেকে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, সজীবের (তার ছেলে) স্ত্রী হামিদার সঙ্গে আকাশ নামে এক যুবকের অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। ওই জেরে এ হত্যাকাণ্ড। তাদের ধরেন; তাহলে সব সত্য ঘটনা বেরিয়ে আসবে। এ সময় তিনি মামলার সঠিক তদন্ত দাবি করেন।

যদিও হিটু শেখ ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেওয়ার সময় এ ঘটনার সঙ্গে তিনি একাই জড়িত বলে জানান।

বাদীপক্ষের আইনজীবী ও নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, সোমবার চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। তারা হচ্ছেন- মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন, হিটুর শেখের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী গ্রহণকারী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সব্যসাচী রায়, ঢাকার গুলশান থানার এসআই আনজু মনোয়ারা, মাগুরার রেকর্ড অফিসার মাগুরা সদর থানার ওসি আইয়ুব আলী।

আদালতে সাক্ষ্য দেওয়া সবাই ধর্ষণের ফলে আছিয়ার মৃত্যু হয়েছে বলে সাক্ষ্য দেন। সোমবারসহ গত ৬ কার্যদিবস একটানা সাক্ষ্যগ্রহণ চলেছে। এনিয়ে মোট ২৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হলো। এ মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে। মঙ্গলবার ফরেনসিক বিভাগের দুইজন চিকিৎসকের সাক্ষ্যগ্রহণের দিন রয়েছে।

প্রসঙ্গত, বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ৬ মার্চ রাতে মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুর হিটু শেখ ৮ বছরের শিশু আছিয়াকে ধর্ষণ করে। পরে তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা সিমএমএইচে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ মার্চ শিশুটি মারা যায়।

এ ঘটনায় শিশু আছিয়ার মা আয়েশা আক্তার আছিয়ার বোনের শ্বশুর হিটু শেখ, ভগ্নীপতি সজীব শেখ, তার ভাই রাতুল শেখ ও হিটু শেখের স্ত্রী রোকেয়া বেগমের নামে মাগুরা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মামলায় অভিযুক্ত সব আসামিদের গ্রেপ্তার করে ও আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ চার আসামির সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন। বিচারক প্রধান আসামী হিটু শেখকে ৭ দিন ও অপর তিন আসামীর ৫ দিনের রিমান্ড প্রদান করেন। রিমান্ডে প্রধান আসামি হিটু শেখ ধর্ষণের কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে।

জনপ্রিয়

কাশ্মীর উত্তেজনার মধ্যে ভারতের প্রতিরক্ষা ওয়েবসাইটে পাকিস্তানি হ্যাকারদের সাইবার হামলার অভিযোগ

আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা অভিযুক্ত হিটু বললেন, ‘হামিদা আর আকাশকে ধরেন সত্য বেরিয়ে আসবে’

প্রকাশিত: ৩ ঘন্টা আগে

মাগুরার আলোচিত ৮ বছরের শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ষষ্ঠ দিনের মতো সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ১১টায় জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষ্য নেওয়া হয়। এদিন চার জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এর আগে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে কারাগার থেকে আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়।

এদিন মামলার প্রধান আসামি হিটু শেখ আদালত থেকে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, সজীবের (তার ছেলে) স্ত্রী হামিদার সঙ্গে আকাশ নামে এক যুবকের অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। ওই জেরে এ হত্যাকাণ্ড। তাদের ধরেন; তাহলে সব সত্য ঘটনা বেরিয়ে আসবে। এ সময় তিনি মামলার সঠিক তদন্ত দাবি করেন।

যদিও হিটু শেখ ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেওয়ার সময় এ ঘটনার সঙ্গে তিনি একাই জড়িত বলে জানান।

বাদীপক্ষের আইনজীবী ও নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, সোমবার চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। তারা হচ্ছেন- মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন, হিটুর শেখের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী গ্রহণকারী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সব্যসাচী রায়, ঢাকার গুলশান থানার এসআই আনজু মনোয়ারা, মাগুরার রেকর্ড অফিসার মাগুরা সদর থানার ওসি আইয়ুব আলী।

আদালতে সাক্ষ্য দেওয়া সবাই ধর্ষণের ফলে আছিয়ার মৃত্যু হয়েছে বলে সাক্ষ্য দেন। সোমবারসহ গত ৬ কার্যদিবস একটানা সাক্ষ্যগ্রহণ চলেছে। এনিয়ে মোট ২৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হলো। এ মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে। মঙ্গলবার ফরেনসিক বিভাগের দুইজন চিকিৎসকের সাক্ষ্যগ্রহণের দিন রয়েছে।

প্রসঙ্গত, বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ৬ মার্চ রাতে মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুর হিটু শেখ ৮ বছরের শিশু আছিয়াকে ধর্ষণ করে। পরে তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা সিমএমএইচে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ মার্চ শিশুটি মারা যায়।

এ ঘটনায় শিশু আছিয়ার মা আয়েশা আক্তার আছিয়ার বোনের শ্বশুর হিটু শেখ, ভগ্নীপতি সজীব শেখ, তার ভাই রাতুল শেখ ও হিটু শেখের স্ত্রী রোকেয়া বেগমের নামে মাগুরা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মামলায় অভিযুক্ত সব আসামিদের গ্রেপ্তার করে ও আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ চার আসামির সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন। বিচারক প্রধান আসামী হিটু শেখকে ৭ দিন ও অপর তিন আসামীর ৫ দিনের রিমান্ড প্রদান করেন। রিমান্ডে প্রধান আসামি হিটু শেখ ধর্ষণের কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে।