ভারতের পেট্রাপোল বন্দর ও কাস্টমসের ডি জি সিস্টেম লিংক সফটওয়্যার সেবা সাত দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ঢিমেতালে চলছে আমদানি-রপ্তানি। এতে পেট্রাপোল বন্দরে ভয়াবহ পণ্যজট দেখা দিয়েছে। বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় ৯৩৭ পণ্যবাহী ট্রাক।
ভারতে পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়াডিং এজেন্ট স্ট্যাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তি বলেন, পেট্রাপোল কাস্টমস ও বন্দরে লিংক সার্ভিসটি টাটা কোম্পানি দিয়ে থাকে। গত ২৮ এপ্রিল দুপুরে ঝড়ের পর লিংক সমস্যা দেখা দিয়েছে। আজ রোববার পর্যন্ত ঠিক হয়নি। টাটা কোম্পানির কলকাতা অফিস কোনো সমস্যা ধরতে পারেনি। এখন দিল্লির ডি জি সিস্টেম বিষয়টি মনিটরিং করছে। বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় পেট্রাপোল বন্দরে ৯৩৭ ভারতীয় পণ্যবোঝাই ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে। কাস্টম ও বন্দর কর্তৃপক্ষ অনলাইন সিস্টেমের বিকল্প হিসেবে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ট্যাবে ওয়াইফাই সংযোগ দিয়ে কাঁচামাল পণ্য ও আগের শিপিং বিলের কাজ সম্পন্ন করা পণ্য ঢিমেতালে আমদানি-রপ্তানি করছে। কবে সমাধান হবে কেউ বলছে না।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্ট্যাফ অ্যাসোসিয়েশনের কার্গো সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রাকিব বলেন, ভারতের পেট্রাপোল বন্দর ও কাস্টমসে লিংক না থাকায় আমদানি-রপ্তানিতে বিঘ্ন ঘটছে। আগে প্রতিদিন ৫০০ ট্রাকের বেশি পণ্য আমদানি হতো, কিন্তু এখন আমদানি হচ্ছে খুবই কম। আজ রোবার দুপুর ২টা পর্যন্ত পণ্য আমদানি হয়েছে ২ ট্রাক। আর রপ্তানি হয়েছে ৯২ ট্রাক পণ্য।
তিনি আরও বলেন, ২৮ এপ্রিল পণ্য আমদানি হয়েছে ৩০২ ট্রাক ও রপ্তানি হয়েছে ১৮৬ ট্রাক, ২৯ এপ্রিল আমদানি হয়েছে ৪৮ ট্রাক ও রপ্তানি হয়েছে ২৪০ ট্রাক, ৩০ এপ্রিল আমদানি ৪৪৯ ট্রাক ও রপ্তানি ১৮৭ ট্রাক। ৩ মে আমদানি হয়েছে ১৫০ ট্রাক পণ্য ও রপ্তানি হয়েছে ২১৩ ট্রাক পণ্য। এভাবে আমদানি-রপ্তানি চললে বাংলাদেশের অনেক শিল্প কলকারখানায় কাঁচা মাল সংকট দেখা দেবে।
বেনাপোল কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব অফিসার আবু তাহের বলেন, পার্শ্ববর্তী পেট্রাপোল বন্দরে ইন্টারনেট লিংক না থাকায় তারা অনলাইন সিস্টেমে কাজ করতে পারছে না। অনলাইনের বিকল্প হিসেবে ট্যাবে ওয়াইফাই কানেকশন দিয়ে নামমাত্র আমদানি-রপ্তানি চালু রেখেছে পেট্রাপোল কাস্টমস।